• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু হাই-টেকসিটি রেল ষ্টেশন

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি॥
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাকিষবাথান এলাকায় নির্মিত বঙ্গবন্ধু হাই-টেকসিটি রেল ষ্টেশনটির সকল কার্যক্রম ইতিমধ্যেই শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু ত্রুটিপূর্ণ মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই মাসের যে কোন দিন উদ্বোধন করবেন রেলষ্টেশনটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই কালিয়াকৈর উপজেলার মাকিষবাথান, জানেরচালা ও বক্তারপুর এলাকার কয়েকশত একরজমির উপর বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি গড়ে তোলা হয়। ওই পার্কে আইটি বিষয়ে দেশি বিদেশি আইটি কোম্পানি এখানে উন্নত ডিভাইসসহ নানাধরনের সফটয়ার তৈরি করবেন। ইতিমধ্যে ডাটা সফট নামের একটি কোম্পানি তাদের তৈরি সফটয়ার বিদেশে রপ্তানি শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুহাই-টেক সিটিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ নিয়ে হাই-টেক সিটির কাজ এগিয়ে চলছে। ওই সব কোম্পানিতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানসহ, গাজীপুর জেলা শহর থেকে যেন অল্প সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে এসে কাজ করতে পারেন এবং বিকেলে অফিসের কাজ শেষ করে আবার যেন সময় মত বাসায় ফির যেতে পারেন এজন্য হাই-টেক সিটির পশ্চিম পাশে একটি অত্যাধুনিক রেলষ্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে রেল ষ্টেশনের নির্মানের প্রায় শতভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন শুধু ত্রুটিপূর্ণ মেরামতের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
রেলষ্টেশন নির্মাণাধীণ প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাষ্টাকচার লিমিটেড এর প্রকৌশলী সাইদুল ইসলাম জানান, রেল ষ্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়। রেল কর্তৃপক্ষের নিদের্শমতে ত্রুটি কিংবা কিছু বর্ধিক কাজ করা হচ্ছে। আমরা এ মাসের প্রথম সাপ্তাহে এই রেল ষ্টেশনটি রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিতে পারবো বলে আশা করছি।
রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, এই রেল ষ্টেশনটি শুধু হাইটেক পার্কের জন্য নয়। কালিয়াকৈর বাসীসহ এই এলাকায় বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় কর্মরত বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লোকজন এর উপকার ভোগ করতে পারবে। বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটির জন্য মির্জাপুর ও মৌচাক ষ্টেশনের মধ্যবর্তী কালিয়াকৈরে একটি বি-ক্লাশ ষ্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এই রেলষ্টেশনের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছেন জি ও বি নামক একটি প্রতিষ্ঠান। যার ব্যয় মূল্য ৩৪ কোটি, ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৪ টাকা ছিল। অতি চমৎকার এ রেল রেলষ্টেশনটি ছোট হলেও মুল ডিজাইন কমলাপুর রেলষ্টেশনের আদলে করা হয়েছে। ঢাকা থেকে এই রেলস্টেশনে ও এই রেল ষ্টেশন থেকে ঢাকায় কয়েক ধাপে ডেমু ট্রেন চলাচল করবে। তবে ইতিমধ্যে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ও ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী সকালে দুইটি আর বিকেলে দুইটি আন্তঃনগর ট্রেনে এখান থেকে যাত্রী উঠানো নামানোর জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব করা হয়েছে।
শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানান, এই রেলষ্টেশনটি চালু হলে গাজীপুর, আশুলিয়া, সাভার, টঙ্গীর শত শত শ্রমিক অনায়াসে ট্রেনে উত্তরবঙ্গ হতে ঢাকা আর ঢাকা হতে উত্তরবঙ্গে যাতায়াত করতে পারবে। এতে মহা-সড়কের উপর চাপ অনেকটা কমে আসবে।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, এ মাসের যে কোন দিন প্রধানমন্ত্রী এই রেল ষ্টেশনটি উদ্বোধন করবেন। তবে এই রেলষ্টেশনে সাধারণ যাত্রীদের কথা চিন্তা করে এবং ঢাকা ও রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেন থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page