উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি॥
জোরপূর্বক একটি বেইলী ব্রীজের মুখে ক্যানেল মাটি ফেলে ভরাট করায় পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে একটি বিলে। এতে ওই বিলের অভ্যান্তরে ১শ একর জমিতে চাষাবাদ করতে পারছে কৃষকেরা। এমন দূর্ভোগ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের চত্রাবিলে হাজারো কৃষকের। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ দুই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে কৃষকরা গণস্বাক্ষর সহ উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তর বারাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর দক্ষিণপাড়া গ্রামের মসজিদের পাশে বেইলী ব্রীজের মুখে সরকারি ক্যানেল মাটি ফেলে ভরাট করা হয়। ওই গ্রামের মানছুর শেখের পুত্র ওয়াহিদুল্লাহ শেখ ও ছোরহাব আলীর পুত্র ওমর আলী ওই ক্যানেল বন্ধ করে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, তারা নিজেদের উদ্যোগে দীর্ঘদিন আগে ওই ক্যানেলটি খনন করে বিলের পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করে। অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হাসান নান্নুর যোগ সাজসে ওই ক্যানেলের পাশে তাদের ব্যক্তি জায়গা সহ ক্যানেলটি মাটি ফেলে ভরাট করে। এতে পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে চত্রাবিলে কৃষকদের ১শ একর জমিতে এখন স্থায়ী জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এই বিলটির মধ্যে ডজন খানেক ইঞ্জিন চালিত অগভীর নলকুপ বসিয়ে ইরি-বোরো ধান চাষাবাদ করা হতো। জলাবদ্ধাতা তৈরি হওয়ার পর থেকে এ বিলে এখন আর চাষাবাদ সম্ভব হচ্ছে না। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরা। কৃষকরা তাদের এমন দূর্দশার প্রতিকার চেয়ে গনস্বাক্ষর করে গত ১৮-১০-২০১৭ ইং তারিখে ক্যানেলটি সচল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর বরাবর লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু তা আমলে নেয়া হয়নি। পুনরায় কৃষকরা ৩ সেপ্টেম্বর আবারোও বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বড়হর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ওই বিলের ভুমি মালিক আলহাজ আবু সাঈদ বাদশা জানান, কৃষকদের এমন দূর্দশার কথা জানিয়ে প্রশাসনের কাছে বারবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। চাষাবাদ করতে না পেরে এ বিলের শত শত কৃষক চরম ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুজ্জামান জানান, কৃষকদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।