• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ন

সংসদ নির্বাচন: এবার চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৯৯টি

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশনের মাঠ প্রশাসন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয় তাদের চূড়ান্ত ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষের তালিকা পাঠিয়েছে ইসিতে। তবে আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাঠানো এ সব ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যাও শেষ মুহূর্তে এসে পরিবর্তন হতে পারে। তাদের পাঠানো তালিকা যাচাই-বাছাই করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ২৫ দিন আগে চূড়ান্ত তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে কমিশন।
তালিকা অনুযায়ী মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ১৯৯টি এবং ভোট কক্ষ ২ লাখ ৬ হাজার ৫৪০টি। এর আগে একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ৫ আগস্ট সারা দেশে ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকা অনুযায়ী ভোট কেন্দ্র ছিল ৪০ হাজার ৬৫৭টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার ৪১৬টি। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, খসড়া তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি গ্রহণের শেষ তারিখ ছিল ১৯ আগস্ট ; নিষ্পত্তির শেষ হয় গত ৩০ আগস্ট। দাবি আপত্তি-নিষ্পত্তির পর গত ৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশে ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
খসড়া তালিকার সঙ্গে আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাঠানো চূড়ান্ত তালিকার তুলনা করলে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমেছে এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা কমেছে ৪৫৮টি এবং ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে ৮৭৬টি। আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে পাঠানো ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যা সমন্বয় করে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশন।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের ২৫ দিন আগে গেজেট আকারে ভোট কেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করব। ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার পর, কোনো ভোট কেন্দ্র কোনো প্রার্থীর বাড়ির কাছে অথবা প্রভাব বলয়ের মধ্যে পড়েছে বলে কোনো প্রার্থীর কাছে প্রতীয়মান হলে তিনি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা তদন্ত করে অভিযোগের যথার্থতা নিশ্চিত করে প্রতিবেদন দাখিল করলে নির্বাচন কমিশন তা পরিবর্তন করে দিতে পারে। ইসির তালিকা অনুযায়ী, ১০টি অঞ্চলের মধ্যে প্রত্যেকটিতেই ভোট কেন্দ্র ও ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়েছে। দশম জাতীয় নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি, ২ হাজার ৪৯২টি ভোট কেন্দ্র বেড়ে একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৯৯টি।
রংপুর অঞ্চলে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ৪ হাজার ৩৩৫টি, একাদশ নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৪৯২; রাজশাহী অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ৪ হাজার ৮১৫, একাদশে তা ৫ হাজার ১১১; খুলনা অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ৪ হাজার ৫৮২টি, একাদশে তা ৪ হাজার ৮৩৪; বরিশাল অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ২ হাজার ৩৪২, একাদশে তা ২ হাজার ৬৭৬; ময়মনসিংহ অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ৪ হাজার ৪৯৭, একাদশে তা ৪ হাজার ৭৫৯; ঢাকা অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ৫ হাজার ৭৪৯, একাদশে তা ৬ হাজার ১৫; ফরিদপুর অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ১ হাজার ৯১৭, একাদশে তা ২ হাজার ৭৪; সিলেট অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ২ হাজার ৬২৪, একাদশে তা ২ হাজার ৮০২; কুমিল্লা অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ৩ হাজার ৯৯৫, একাদশে তা ৪ হাজার ৩৫৪ এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ২ হাজার ৮৫১, একাদশ নির্বাচনে হয়েছে তা ২ হাজার ৯৮২টি ভোট কেন্দ্র।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১৭ হাজার ৪৬২টি ভোট কক্ষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৫৪০টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোট কক্ষের সংখ্যা ৯৭ হাজার ৮৫৯টি এবং নারী ভোট কক্ষ ১ লাখ ৮ হাজার ৬৮১টি।
তালিকা অনুযায়ী, রংপুর অঞ্চলে দশম জাতীয় নির্বাচনে ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৫১০টি, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৯৩৩টি; রাজশাহী অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ২৫ হাজার ২১০টি, একাদশে তা ২৭ হাজার ৭৩৭টি; খুলনা অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ২৩ হাজার ৩৮৭টি, একাদশে তা ২৪ হাজার ২০২টি; বরিশাল অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ১১ হাজার ৭৪০টি, একাদশে তা ১৩ হাজার ৪৪৫টি; ময়মনসিংহ অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ২৩ হাজার ৩০৯টি, একাদশে তা ২৫ হাজার ১৫৪টি; ঢাকা অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ২৭ হাজার ৯০৬টি, একাদশে তা ৩০ হাজার ৭০৭টি; ফরিদপুর অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ৮ হাজার ৭৮৭টি, একাদশে তা ৯ হাজার ৭৩৩টি; সিলেট অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ১১ হাজার ৫৭১টি, একাদশে তা ১৩ হাজার ৫৯৬টি; কুমিল্লা অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ২১ হাজার ১২০টি, একাদশে তা ২৩ হাজার ৩১২টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে দশম নির্বাচনে ছিল ১৪ হাজার ৫৩৮টি, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭২১টি।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page