• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের থেকে এগিয়ে এমপি ফারুক

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর কোনো বিকল্প নাই এখানো অপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে তার দৃঢ় অবস্থান ও একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রয়েছে। এখানে প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা, জনমত জরিপ ও জনপ্রিয়তায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের খেকে এমপি ফারুক যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের আজকের যেই জয়জয়কার অবস্থান সেটিও তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও নেতৃত্বে তার হাত ধরেই হয়েছে সেই অবদানের কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তিনি আওয়ামী লীগে আশার আগের অবস্থান ও আশার পরের অবস্থান বিশ্লেসণ করলেই এই সত্য সকলের কাছে দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, রাজনীতিতে আশার আগেই এমপি ফারুক সিআইপি, রাজশাহীর প্রথম স্বচ্ছ আয়কর দাতা, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হয়েছেন। এছাড়াও তিনি শহীদ পরিবারের সন্তান ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ভাগ্নে, তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে রাজশাহী আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন, তিসি বিশ বছরে কি বিশ হাজার মানুষের উপকার করতে পারে নি যদি করেন তাহলে তো তার বিশ হাজার কর্মী মাঠে রয়েছে, তিনি দু’বার সাংসদ ও একবার প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন, এছাড়াও তিনি দলের নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি বিশস্ত কারণ জেলা পরিষদ নির্বাচনে অবৈধ সুবিধার বিনিময়ে অধিকাংশ নেতা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামলেও একমাত্র ফারুক চৌধূরী দলের সঙ্গে বেঈমানি না করে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ছিলেন। এসব বিবেচনায় তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এমপি ফারুক চৌধূরীর সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে আকাশ-পাতাল পার্থক্য উঠে এসেছে। সূত্র জানায়, প্রার্থীর পারিবারিক ও আর্থিক অবস্থান, উন্নয়ন কাজের মানসিকতা, নেতৃত্বগুন, দল-নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য-বিশ্বাস, তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা, শারীরিক-মানসিক দৃঢতা, ব্যক্তি ইমেজ, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ইত্যাদি বিচার-বিশ্লেণণ ও পর্যালোচনা করে সারাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রথম পর্যায়ে প্রাথমিক ভাবে ১৫১টি সংসদীয় আসনে সাম্ভব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছেন, যেখানে রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নাম এসেছে ওমর ফারুক চৌধূরীর। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও (সাবেক) শিল্প প্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধূরী এমপির ওপরই ফের আস্থা এবং ভরসা রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আগামি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো তাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠ গোছানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
অপরদিকে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদের (সাবেক) চেয়ারম্যান একেএম আতাউর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (সাবেক) মতিউর রহমান, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র গোলাম রাব্বানী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বদরুজ্জামান রবু মিয়া ও এ্যাডঃ মকবুল হোসেন খাঁ, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও গোদাগাড়ী পৌরসভার মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু, এবং জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল ওহাব জেমস প্রমূখ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যশা ও এমপি ফারুকের মনোনয়ন ঠেকানোর ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামে এবং (সেভেন স্টার) নামে পরিচিতি লাভ করে। কিšত্ত তৃণমূলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ সেভেন স্টারের সঙ্গে এমপি ফারুকের তুলনা করতে গিয়ে আকাশ-পাতাল পার্থক্য লক্ষ্য তরেছেন। আর এই বোধদয়-এর পর রাজনীতির দৃশ্যপট পুরোপুরি পাল্টে গেছে যেখানে এমপি ফারুক জনপ্রিয়তায় সেভেন স্টারের থেকে যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন।
অপরদিকে তৃণমূলের ভাষ্য, সেভেন স্টারের মধ্যে একেএম আতাউর রহমান বার্ধক্যজনিত কারণে রাজনীতিতে অনেকটা আনফিট এছাড়াও তিনি গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। ওদিকে অতিরিক্ত আইজিপি (সাবেক) মতিউর রহমান পুলিশের লোক হওয়ায় মাঠে তার তেমন কোনো জনসম্পৃক্ততা নাই, নাই কর্মী বাহিনী। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা তাকে সরাসরি দেখেননি আবার তিনি কখানো আওয়ামী লীগের কোনো সভা-সমাবেশ করেননি। এদিকে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানি দু’বার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নে তানোর উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণ করে দু’বারই বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন অথচ তানোরের থেকে গোদাগাড়ী উজেলার ভোটের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন। অর বাকিদের নিয়ে এমপি নির্বাচনে আলোচনা করার মতো তেমন কোনো সুযোগ নাই তৃণমূলের অভিমত। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা উঠেছে, তাহলে এরা কি হেভিওয়েট ও অপ্রতিদ্বন্দ্বি নেতা এমপি ফারুকের শূণ্য স্থান পূরুণ বা এমপি নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবেন-? না কি-? কর্মী-জনবান্ধব ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব এমপি ফারুকের পরিবর্তে এদের কাউকে নতুন মূখ মনোনয়ন দিয়ে আওয়ামী লীগ ঝুঁকি নিতে চাইবে এটা তো আওয়ামী লীগবিরোধীরাও বিশ্বাস করে না। যেখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমপি ফারুকের বিপুল অবদান রয়েছে, সেখানে সেভেন স্টারের উল্লেখ করার মতো কিছুই নাই। এসব বিবেচনায় (সেভেন স্টার) মনোনয়ন প্রত্যাশীদের থেকে এমপি ফারুক জনমত জরিপ ও জনপ্রিয়তায় যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছে ফলে এখানে তার মনোনয়ন নিশ্চিত বলেও একাধিক সূত্র এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page