• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

শেখ হাসিনা সেতু’র উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেটঃ : রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

রংপুর অফিস॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রবিবার দুপুর ১২টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার মানুষের দাবি বহুল প্রতিক্ষীত মহিপুর টু কাকিনা সড়কে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু’র শুভ উদ্বোধন করেন। সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে প্রশাসন সেতুর উত্তর প্রান্তে সুশজ্জিত মঞ্চ তৈরীর করে। সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, সমাজ সেবা প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান, হাতিবান্ধার এমপি মোতাহার হোসেন, অ্যাডভোকেট ছফুরা খানম এমপিসহ বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, এলজিইডির প্রকৌশলী, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির পক্ষ্য থেকে প্রধানমস্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে ফেস্টুন, ব্যানার মঞ্চ এলাকায় শোভা পায়। দলীয় লোকজন আনন্দ মিছিল করে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর জেলা প্রশাসক এনামুল হাবীব সেতু উদ্বোধনের ফলে এ অঞ্চলের অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। পরে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কৃষক ও শিক্ষা ভাতাভোগী প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী কথা বলেন।
সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী বৈঠকে (একনেক) দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতুর নির্মাণে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে বৃহত্তর রংপুর দিনাজপুর গ্রামীণ যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর ও লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কাকিনা রুটে ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্যরে ও সাড়ে ৯ মিটার প্রস্থ দ্বিতীয় তিস্তা সেতু নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। সেতু নির্মাণ এলাকার দুই পার্শ্বে রংপুরের গঙ্গাচড়া হলেও অদৃশ্য কারণে এটি বাস্তবায়নের দ্বায়িত্ব পায় লালমনিরহাট এলজিইডি। সেতুটি নির্মাণ কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নাভানা কনস্ট্রাকশন। প্রথমে সেতুটির নির্মান সময় ছিল দুই বছর চার মাস। নিদির্ষ্ট সময়ে সেতুর কাজ শেষ করতে না পারায় কয়েক দফায় সময় বাড়িয়ে এ বছরের জানুয়ারীতে শেষ হয়। প্রধানমন্ত্রী সেতু উদ্বোধন করবেন এ প্রতিক্ষায় মানুষজন অধীর আগ্রহে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষা না করে এ বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে রাতের আঁধারে অজ্ঞাত ব্যাক্তিরা সেতুর দু-পার্শ্বের গেট চলাচলের জন্য খুলে দেয়। ফলে তখন থেকে বিভিন্ন যানবাহনসহ মানুষজন সেতু দিয়ে চলাচল করছে। প্রধানমন্ত্রী কর্র্তৃক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে দ্বিতীয় তিস্তা সড়ক সেতু প্রধানমন্ত্রীর নামে “গঙ্গাচড়া শেখ হাসিনা সেতু” নাম করণ করা হয়।
সেতু চালু হওয়ায় লালমনিরহাটের কালিগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম ও আদিতমারী উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ অল্প সময়ে রংপুর তথা দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াতের যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রায় ৫০ কিলোমিটার কমিয়ে এসেছে। বুড়িমারীস্থল বন্দরসহ ব্যাবসা বানিজ্যে প্রসার ঘটবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ অঞ্চলের মানুষের কৃষিতেও আসবে পরিবর্তন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ