• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের কান্ডারী এমপি ফারুক

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর কোনো বিকল্প নাই তিনি এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের কান্ডারী তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতা, দক্ষ নেতৃত্ব ও তার হাতে এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের নবউঙ্খান হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগে আশার আগের ও পরের অবস্থান বিশ্লেষণ করলে সেটা দৃশ্যমান হবে আর রাজশাহী হরিয়ান চিনিকল মাঠে আওয়ামী লীগের স্মরণকালে সর্ববৃহত ও সফল জনসভা আয়োজনের মধ্যদিয়ে তিনি সেটিও আবারো প্রমাণ দিলেন। বিগত ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহ¯প্রতিবার পবা উপজেলার হরিয়ান চিনিকল মাঠে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ও স্মরণকালের সর্ববৃহত সফল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরী। এদিকে জনসভার মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর হাস্ব্যজ্জ্বল আলাপচারিতায় এটাই প্রমাণ হয় প্রধানমন্ত্রী যেই বিশ্বাষ ও আস্থা নিয়ে তাকে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি করেছিলেন তাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রীর এখানো সেই পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাষ অটুট রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।
অন্যদিকে জনসভা পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত হলেও জেলা সভাপতি হিসেবে ওমর ফারুক চৌধূরী জনসভা সফল করতে স্থান নির্ধারণ, মাঠের দেখভাল, কর্মীসভা. পথাসভা, প্রচার-প্রচারণা ও নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ও স্মরণকালের সর্ববৃহত জনসভা শতভাগ সফল করে দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে জাতীয় নেতা-নেত্রীদের জনসভা আয়োজন ও সফল করতে হয়। আর এই ঐতিহাসিক জনসভা সফলের মাধমে এমপি ফারুক চৌধূরী ফের প্রমাণ দিলেন রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো তাঁর কোনো বিকল্প নাই। রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখন গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে সেটার সিংহভাগ কৃতিত্ব এমপি ফারুক চৌধূরীর। বিগত ২০০১ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদানের আগে বিএনপি-জামায়াত অধ্যুাষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অধিকাংশক্ষেত্রে স্বাচ্চন্দে দলের পরিচয় দিতে ভয় পেতো বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ কেনো তাকে কর্মী,  জনবান্ধব ও গণমানুষের নেতা হিসেবে উপাধী দিয়েছেন সেটি তিনি ইতমধ্যে একাধিকবার প্রমাণ দিয়েছেন। সম্প্রতি তানোর উপজেলা অডিটেরিয়ামে ১৬২তম সাওতাল বিদ্রোহ দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করতে তিনি রাজশাহী শহরের নিজ বাড়ি থেকে তানোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং যাত্রা পথে তানোরের একটি ফসলের মাঠে প্রচন্ড রোদে কিছু সাওতাল নারী-পুরুষ শ্রমিককে ধান কাটতে দেখে, তিনি পায়ে হেটে সেখানে উপস্থিত হন ও এসব শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন তাদের খোজখবর নেন। এ সময় এমপিকে দেখে এসব শ্রমিকরা বিশ্বয়ে হতবাক ও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে এভাবে পায়ে হেটে এসে সাধারণ শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সেটা তারা কখনও কল্পনাও করতে পারেননি আবার এর পূর্বে এমন ঘটনাও ঘটেনি। এমপিকে কাছে পেয়ে তারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে ও আনন্দ তাদের চোখ বেয়ে আনন্দ অশ্র“ গড়িয়ে পড়ে। একজন রাজনৈতিক নেতা কতটা মেধাবী, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা সম্পন্ন এবং কর্মী-জনবান্ধব ও সাধারণ মানুষপ্রিয় হলে এমনটি হয় এমপি ফারুক চৌধূরী সেটি বার বার প্রমাণ করলেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, এমপি ফারুক চৌধূরী ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে দীর্ঘসময় রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। রাজনীতিতে সুস্থধারা, সহাবস্থান, স্পস্টবাদী, মৃদুভাষী, পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা ও তার নেতৃত্বের গুণে গণমানুষের নেতা হিসাবে রাজশাহী অঞ্চলে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়। রাজশাহী অঞ্চলের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ যে কোনো সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšত্ত তিনি মনোযোগ দিয়ে তাদের কথা শোনেন। দেশ স্বাধীনের পর পরই রাজশাহী অঞ্চল বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। কিšত্ত ওমর ফারুক চৌধূরী বিগত ২০০১ সালের ৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এর পর শুধু তানোর-গোদাগাড়ী নয় রাজশাহীর প্রতিটি অঞ্চলে তিনি নিরলস ছুটে বেড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করতে, ফলে তাঁর হাত ধরে ও নেতৃত্বের গুনে রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের আজকের এই নবউঙ্খান হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলে আওয়ামী লীগের এখন যে গণজোয়ার ও শক্ত অবস্থান তার সিংহভাগ কৃতিত্ব ওমর ফারুক চৌধূরীর। জামায়াত-বিএনপির দূর্গ বলে পরিচিত রাজশাহীতে এক সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিনা বাধায় কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি, এমনকি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের নেতা বা কর্মীর পরিচয় দিতেও তারা ভয় করতেন। কিšত্ত ওমর ফারুক চৌধূরী রাজশাহী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার পরে সেই চিত্র পাল্টে যায়, তার নেতৃত্বের গুনেই আওয়ামী লীগে সৃষ্টি গণজোয়ার। দীর্ঘসময় ধরে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি থেকেছেন সামনের সারিতে। দল ও জনগণের অধিকার রক্ষার তিনি একজন পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন, এখনো যাচ্ছেন কখনই নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পিছুটান দেননি। তার আপোষহীণ ভূমিকা ও গতিশীল নেতৃত্বের কারণে এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। তিনি প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও অর্থলিস্পা ও লোভ-লালসার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার ও দিনবদলের সংগ্রাম। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। রাজশাহীর প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামসহ দলের প্রতিটি রাজনৈতিক অবস্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এখনো আছেন। নিরঅহংকার, শান্ত-শিষ্ট ও মৃদুভাষী কিšত্ত কর্তব্য পালনে অত্যন্ত কঠোর প্রচার বিমূখ এই মানুষটি আজ রাজশাহী অঞ্চলের গৌরব, আওয়ামী লীগের কান্ডারী, আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ও জনবান্ধব পরীক্ষিত নেতা। রাজশাহী মহানগর, জেলা বা উপজেলা যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা তাঁর মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ।
জানা যায়, শহীদ পরিবারের সন্ত্রান, তাঁর মামা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কারুজ্জামান ফলে মুক্তিযদ্ধের চেতনাপুষ্ট পারিবারিক আবহে বেড়ে উঠেছেন ওমর ফারুক চৌধূরী। বিগত ২০০০ সালে ব্যাপক আলোচিত রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং একই বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘সিআইপি’ নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে রাজশাহী জেলার কাউন্সিলের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে রাজশাহী মহানগরীর মাদরাসা মাঠে মহাজোটের সফল ঐতিহাসিক মহা সমাবেশের আয়োজনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বচ্ছ আয়কর প্রদানকারী হিসেবে জাতীয় পুরুস্কার, বনায়ন করার জন্য জাতীয় প্রথম পুরুস্কার, কৃষি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরুস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিক পুরুস্কার লাভ করেছেন। তিনি তানোর-গোদাগাড়ীর সর্বস্তরের সমস্ত মানুষকে নিয়ে দলমতের উর্দ্ধে উঠে এই অঞ্চলের মানুষের শিক্ষা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে আগামীতেও আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় নিয়ে আসতে দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। এমপি ফারুকের সব থেকে বড় গুন তিনি ভোটের পাবার আশায় সাধারণ মানুষকে কখনোই মিথ্যা প্রতিশ্র“তি দেন সা, তিনি সব সময় বলেন চেস্টা করবো বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছে তিনি সহায় হলে অবশ্যই হবে যেটা সাধারণ মানুষকে এমপিমূখী হতে  বিপুলভাবে আকৃষ্ট করেছে।
এদিকে তানোর-গোদাগাড়ীর দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ ওমর ফারুক চৌধূরীকে মন্ত্রী সভায় অর্ন্তভুক্ত করার জোর দাবি করেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত এ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি আরো প্রতিষ্ঠিত ও সাংগঠানিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে অবশ্যই ওমর ফারুক চৌধূরীকে মন্ত্রী সভায় অর্ন্তভুক্ত করতে হবে, নইলে এ অঞ্চলে রাজনীতির মাঠে ব্যক্তি ফারুক চৌধূরী নয় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে এখানে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এখানকার সংসদ সদস্য। তাঁর পর থেকে এই নির্বাচনী আসনটি হেভিওয়েট মর্যাদা লাভ করেছে। এখান থেকে যারাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা সব সময় সরকারের মন্ত্রী সভায় ঠাঁই পেয়েছে। ওমর ফারুক চৌধূরী ইতমধ্যে বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। কিšত্ত তাকে মন্ত্রীসভায় স্থান না দেয়ায় এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের একটু আক্ষেপ ও অপূর্ণতা রয়ে গেছে। ফলে এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীকে মন্ত্রী সভায় অর্ন্তভুক্ত করার দাবির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন দিন দিন বাড়ছে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page