আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় মন্ত্রিসভায় কোটা বাতিলের সুপারিশ উত্থাপন করা হবে। এদিনের বৈঠকের কার্যতালিকায় এক নম্বর ক্রমিকে এ বিষয়টি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় ১ নভেম্বরের বৈঠকটি হবে ৩ নভেম্বর বুধবার। এরআগে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলে সচিব কমিটির সুপারিশ গত ২০ সেপ্টেম্বর অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারি চাকরিতে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যাডার-নন ক্যাডার পদে কোটা প্রত্যাহার এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির অন্যান্য পদগুলোতে চাকরির কোটা বহাল রাখার সুপারিশ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সচিব কমিটি। গত সোমবার সচিব কমিটির এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। আগামী ১ অক্টোবর মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য বৈঠকে এই সুপারিশ মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন করলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাহী আদেশ দিয়ে পরিবর্তিত কোটা সম্পর্কিত আদেশ জারি করবে। সাধারণভাবে আদেশ জারির তারিখ থেকে তা কার্যকর হবে।
প্রধানমন্ত্রী গত ২০ তারিখ রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে যান। ৩০ সেপ্টেম্বর ফেরার কথা থাকলেও বিলম্বিত হচ্ছে। তাই পরবর্তী মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৩ নভেম্বর উঠবে ওই সুপারিশ। সুপারিশ মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কোটা সম্পর্কিত পূর্বের ব্যবস্থা বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করবে।
প্রসঙ্গত. সরকারি চাকরিতে প্রচলিত কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন শুরু করে। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে কোটা বাতিল করে দেয়ার ঘোষণা দেন। এরপর গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার -বাতিলে পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রদানের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি গত ১৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সুপারিশ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করে।