• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার শ্যালকের প্রার্থীতা প্রত্যাহারে টেলিফোন নির্দেশ নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান রাষ্ট্রপতির দেশে হিট অ্যালার্ট জারি, শঙ্কায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর দাবি ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্ব প্রতিক্রিয়া নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার সিদ্ধান্ত আইসিসি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা ইসফাহানে ‘বিস্ফোরণের’ শব্দের কারণ জানালো ইরান এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা কারাগার: রিজভী রাজধানীর শিশু হাসপাতালে আগুন বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা রাজনৈতিক নয়: প্রধানমন্ত্রী

পাবনায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে পাঁচশ’ হেক্টর জমি নদী গর্ভে বিলীন ॥ ৬শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

পাবনা প্রতিনিধি॥
পাবনায় পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের ৬ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেকের বাড়ী, ফসলসহ ফসলী জমি, ফলজ ও বনজ বাগান ছাড়াও আবাদ যোগ্য পতিত জমি সহ প্রায় পাঁচশ’ হেক্টর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও ঝুকির মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি-কলেজ সহ অনেকের বাড়ি-ঘর ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ভাঙ্গন রক্ষার্থে পানি উন্নয়ন বিভাগ কিছু কাজ করলেও স্থায়ী ভাঙ্গন রোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। জেলার সুজানগর উপজেলা নাজিরগঞ্জ, ক্ষেতুপাড়া ও সাগরকান্দি ইউনিয়ন পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে সব চেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আ. হামিদ জানান, সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি, মানিকহাট, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের বরখাপুর, বুলচন্দ্রপুর, মোখারজি, সন্তোষপুর, চরদূর্গাপুর, কালিকাপুর, হাসামপুর, শিবরামপুরসহ প্রায় ২০টি গ্রাম ভাঙ্গনের কবলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় স্থায়ী স্থাপনা রক্ষার্থে বালির বস্তা ফেলে ভাঙ্গনের গতি রোধের চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতি বছরই এই এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে থাকে। সে কারনে ভাঙ্গন প্রতিরোধের স্থায়ী ব্যবস্থা নেবার জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের বরখাপুর, বুলচন্দ্রপুর, হাসামপুর এলাকার হামিদ শেখ, গোলাম মওলা, বজে সেখ, খাদিজা বেওয়া, আনার খা আলেয়া খাতুন সহ বেশ কয়েকজন জানান, দীর্ঘদিন তাদের এলাকা পদ্মার ভাঙ্গন কবলিত হলেও জেলা প্রশাসন এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ায়নি। ক্ষতিগ্রস্থ অনেকেরই শেষ সম্বলটুকুও পদ্মা কেড়ে নিয়েছে। ইউএনও অন্য এলাকায় দু-একবার আসলেও সব এলাকা পরিদর্শন করেন নাই। ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের খোজ-খবর ও বিপদের সময় তাদের পাশে প্রশাসনের কাউকে কাছে না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে পাবনা কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আজাহার আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে ৬০ হেক্টর রোপা আমন, ৫০ হেক্টর বোনা আমন, ২০ হেক্টর মাস কালাই ও ৩০ হেক্টর শাকসবজি সহ মোট ১৬১ হেক্টর জমি ফসলসহ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়াও ফলজ ও বনজ বাগান, পেয়াজ, টমেটো ও চিনাবাদাম আবাদের জন্য পতিত জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের সংখ্যা কমপক্ষে ৬৩০ জন। তিনি আরো জানান, সরকারী প্রনোদনার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজিৎ দেবনাথ জানান, নাজিরগঞ্জ, ক্ষেতুপাড়া ও সাগরকান্দি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে পদ্মা নদীর ভ্ঙ্গান শুরু হয়েছে। ফসলী জমি, বাড়ি-ঘর ও বাগান ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এলাকার কেউ ত্রানের জন্য আবেদন না করায় ত্রান সরবরাহ করা হয়নি। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের বিষয়টি নজরে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাবনা জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ভাঙ্গনের বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেখান থেকে রিপোর্ট পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page