• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন

রাজশাহী-১ এমপি ফারুকবিরোধী অপপ্রচার ‘বুমেরাং’

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : সোমবার, ১ অক্টোবর, ২০১৮

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী, বিলাস-প্রচার বিমূখ, সৎ রাজনৈতিকের প্রতিকৃতি, কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা সবার প্রিয় আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরী এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে জামায়াত-বিএনপির আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের বিপদগামী কতিপয় নেতার নেপথ্যে মদদে গড়ে উঠা একটি অশুভ চক্র। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এই অশুভ চক্রের বিরুদ্ধে তৃলমূলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, বিরাজ করছে বিস্ফোরণমূখ পরিস্থিতি। তৃণমূল এতোটাই বিক্ষুব্ধ যে কোনো সময় তারা এই অশুভ চক্রের ওপর চাড়াও হয়ে গণধাওয়া বা গণপিটুনি দিতে পারে বলে গুঞ্জন বইছে। এমপি ফারুকবিরোধী শিবিরের সব চক্রান্ত অপপ্রচার ‘বুমেরাং’ হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, এসব অশুভ চক্রের মদদে মাদকের পৃষ্ঠপোষক ও জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের চাকরি দেয়ার অভিযোগে তুলে একটি জাতীয় দৈনিক ও বে-সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে খবর প্রচার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড় এবং জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন কারা কেনো এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে করছে এসব অপপ্রচার, এমপি ফারুক প্রথমেই রাজনৈতিক সহাবস্থান সৃষ্টি, রাজনৈতিক দূর্বুত্তায়ন-লেজুড় বৃত্তি প্রতিরোধ ও দালাল মুক্ত প্রশাসন উপহার দিয়ে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশা ও সাধারণ মানুষের মন জয় করেছেন। এখানে আমি এমপির আতœীয়, ঘনিষ্ঠ বা আওয়ামী লীগ করি এসব কথা বলে কেউ কোনো অনৈতিক কাজ করে পার পাবে না। সাধারণ মানুষ বলছে, দেশের গতানুগতিক রাজনীতিতে যখন অনেক জনপদে এখানো এমপির স্ত্রী-পুত্র-কন্যা, ভাই-ভাতিজা,মামা-চাচা ইত্যাদি আতœীয়-স্বজনদের ভারে জনপদ ভারাক্রান্ত। তখন এমপি ফারুকের স্ত্রী-পুত্র-কন্যা তো দুরের কথা তার কোনো নিকট আতœীয়-স্বজন তার পরিচয়ে কোনো অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন নির্বাচনী এলাকার কোনো মানুষ বলতে পারবে না এমন কথা। এমনকি তারা তাদের কখানো চোখে দেখেননি, যেটা দেশের গতানুগতিক রাজনীতিতে অনেকটা বিরল ঘটনা। অথচ সেই সৃষ্টিশীল পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজের অধিকারী এমন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে কেনো এতো অপপ্রচার। আবার অত্যন্ত বেদনাদায়ক হলেও সত্যি এমপি ফারুক যাদের কাছে টেনে দু’হাত ভরে দিয়েছেন তারাই এসব অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। রাজশাহীর তানোর-গোদাড়াগী নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে উদ্বেগজনক তথ্য পাওয়া গেছে, রাজশাহী আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব ও ক্ষমতার ভাগাভাগী নিয়ে একশ্রেণীর নেতা দীঘদিন ধরে তার বিরোধীতা করে আসছে। তারা বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে জিম্মি করে রাজনীতি করেছেন। কিšত্ত এমপি ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পর তাকে জিম্মি করতে ব্যর্থ হয়ে তারা তার বিরুদ্ধে নানামূখী প্রাসাদ-ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে উঠেছে। তাদের উদ্দেশ্যে যেকোনো মূল্য এমপি ফারুককে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে  খেকে শরিয়ে দেয়া। কারণ আওয়ামী লীগে এমপি ফারুক যতদিন থাকবেন ততোদিন তাকে জিম্মি করে রাজনীতি করা যাবে না এমনকি তাকে ডেঙ্গিয়ে অন্যকেউ নেতৃত্বে আসতেও পারবেন না। এছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এখানে নৌকা প্রতিকে এমপি ফারুক নির্বাচন করলে তাকে পরাজিত করে বিজয়ী হওয়া যেকোনো প্রার্থীর কাছে প্রায় অসম্ভব। এসব কারণে আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর নেতা এমপির বিরোধীতা ও তাকে বির্তকিত করতে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে যোগসাজশ করে তাকে শরাতে তারা নানা কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে জামায়াত-বিএনপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে। এমপিবিরোধী শিবিরের নেপথ্যে যোগসাজশে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত এসব খবর প্রচার অবশেষে  ‘বুমেরাং’ বা হিতে বিপরীত হয়ে উঠেছে। এমপিবিরোধী শিবির যেই প্রত্যাশা নিয়ে এমপি ফারুক চৌধূরীকে বির্তকিত করতে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে এসব খবর প্রচারে মদদ দিয়েছে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও সাধারণ মানুষের তোপের মূখে তাদের প্রত্যাশা উবে গেছে। এমপি ফারুককে নিয়ে এমন মনগড়া খবর প্রকাশের পর এমপির রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ওপর নেতিবাচক কোনো প্রভাব তো পড়েই নি বরং সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধভাবে এমপি মূখী হয়েছে। তৃণমূলের অভিমত, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তিম মূহুর্তে এমন খবর প্রচার অবশ্যই উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। এদিকে একজন কর্মী ও জনবান্ধব নেতার বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের আগে তৃণমূলের মতামত যাচাই না করে একটি মাত্র প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা ধরণের মূখরুচক গুঞ্জন বইছে। এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে এমন ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, রাজনীতি আসার অনেক আগেই এমপি ওমর ফারুক চৌধূরী (সিআইপি) ও জেলার শ্রেষ্ঠ স্বচ্ছ আয়কর দাতা, বৃক্ষপোরণে অনন্য অবদান রাখায় একবার রাস্ট্রপতি ও একবার প্রধানমন্ত্রী পদক অর্জন করেছেন, একবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি, দুবার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এছাড়াও একবার শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও দু’বারের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করে চলেছেন। তিনি  শহীদ পরিবারের সন্তান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও জাতীয় চর নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ভাগ্নে।
বিশ্লেষকদের অভিমত, মাদকের পৃষ্ঠপোষক হতে হলে বিস্তর নেটওয়ার্কের প্রয়োজন, তাঁর প্রায় দীর্ঘ কুড়ি বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো কি ? তাঁর মাদকের কোনো চালান ধরা পড়েছে, বা কখনো কি ? কথানো কি কোনো মাদক ব্যবসায়ী ধরা পড়ে তার নাম বলেছে, বা তাঁর গাড়ি কিংবা গাড়ি বহরে কখনো কি ? কোনো মাদকদ্রব্য কেউ পেয়েছে, তিনি কখনো কি ? কোনো মাদক ব্যবসায়ীর পক্ষে কোনো সুপারিশ করেছেন, তার বিরুদ্ধে কখানো কি মাদকের কোনো মামলা হয়েছে এমন ঘটনার কথা কেউ কখনোই বলতে পারবেন না। তাহলে যে রাজনৈতিক নেতার দীর্ঘ কুড়ি বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বা সূত্র হয়নি সেই নেতা কি ? ভাবে মাদকের পৃষ্ঠপোষক হয় ?। তাদের দাবি অনুযায়ী যদি এসব অভিযোগের সত্যতা থাকে তাহলে তো তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একটি বারের জন্য হলেও মাদক সংশ্লিষ্ট কোনো ঘটনা ঘটা ছিল স্বাভাবিক। কিšত্ত এখানো তাঁর বিরুদ্ধে তেমন কোনো ঘটনার সূত্রপাত হয়নি কেউ বলতেও পারবেন না। এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর কঠোর অবস্থান ছিল সব ধরণের অসামাজিক কর্মকান্ড, অশ্লীলতা-বেহায়াপনা, জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে যা এখানো রয়েছে। এমপি নির্বাচিত হবার পর তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় লটারি জুয়া, যাত্রা-পুতুল নাচের নামে অশ্লীল নুত্যর আসর, অসামাজিক কর্মকান্ড ও অপসংস্কৃতির অসুস্থ প্রতিযোগীতা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাঙ্গালির নিজস্ব সংস্কৃতি ও সুস্থ বিনোদের জন্য এসবের পরিবর্তে তিনি প্রচলন করেছেন বিজ্ঞান মেলা, স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগীতা, বৈশাখী মেলা, বইমেলা, চাকরির মেলা, উন্নয়ন মেলা, নবান্ন ও পিঠা উৎসব ইত্যাদি। অথচ এমন সৃজনশীল রাজনৈতিক নেতার পরিচ্ছন্ন ব্যক্তি ইমেজ ও আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা নষ্টের জন্য তাকে মাদকের পৃষ্ঠপোষক বলে প্রচারণা করা হয়েছে যার সঙ্গে তাঁর বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্ট নাই এমনকি কেউ প্রমাণ দিতে পারবেন না। তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যদি কেউ কখনো তার বিরুদ্ধে কোনো মাদক বা অপসংস্কৃতির সংশ্লিস্ট প্রমান করতে পারেন তাহলে তিনি রাজনীতিই ছেড়ে দিবেন। আর এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে উঙ্খাপিত এসব অভিযোগ সাধারণ মানুষ বা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তো দুরের কথা আওয়ামী লীগ বিরোধীরাও বিশ্বাস করেন না। আওয়ামী লীগ বিরোধীরাও অপকটে শিকার করেছেন তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অন্যকোনো অভিযোগ থাকতে পারে, কিšত্ত মাদক বা সমাজবিরোধী কোনো কর্মকান্ডের সঙ্গে তিনি লিপ্ত থাকতে পারেন না এটা একবারেই বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মনগড়া ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। এছাড়াও অবৈধ অর্থলিপসা না থাকায় যেই রাজনৈতিক নেতা সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যর তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তি সেচ্ছায় দান করেছেন এমনকি এমপির সম্মানি ভাতার একটি টাকা নিজে না নিয়ে সেই টাকা এলাকার হতদরিদ্র পরিবার ও নেতাকর্মীদের মধ্যে বিতরণ করে আসছেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগেই সিআইপি মর্যাদা অর্জন করেছেন, হয়েছেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচিত সভাপতি সেই বিত্তশীল ও ধনাঢ্য নেতার কি এমন অর্খের প্রয়োজন যে তিনি মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন ?।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, এক দিনে কেউ মাদকের পৃষ্ঠপোষক হয় না এর জন্য বিস্তর নেটওয়ার্ক ও দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। অথচ এমপি ফারুকের দীর্ঘ কুড়ি বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনো কেউ তার বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি হঠাৎ রাতারাতি তিনি কি ভাবে মাদকের পৃষ্ঠপোষক হলেন। যদি তাই হয় তাহলে এই কুড়ি বছরের রাজনৈতিক জীবনে কি একটি বারের জন্য হলেও বিষয়টি প্রকাশ পেতো না। অথচ আগামি সংসদ নির্বাচনের পূর্ব মুহুর্তে এমন কর্মী ও জনবান্ধব নেতার বিরুদ্ধে মাদকের পৃষ্ঠপোষক দাবি করে কোনো প্রচার করা হলো এর নেপথ্যে কি ? অন্যকিছু রয়েছে। এক জন রাজনৈতিক নেতার কারো বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া বা কারো সঙ্গে (সলফি) ছবি উঠানো নিয়ে তাকে বিচার করা যায় না। তাহলে তো প্রতিনিয়ত দেশের রাস্ট্র প্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী বা এমপিদের সঙ্গে অনেকে অহরহ ছবি উঠাচ্ছেন তাই বলে ওই সব ছবির ব্যক্তির সঙ্গে তাদের তুলনা করা হবে। এক জন রাজনৈতিক নেতার মঞ্চে কত মানুষ আসে তাদের সবার সঙ্গেই কি তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তাহলে তো রাজকার গোলাম আজম, জঙ্গি নেতা বাঙ্গলা ভাই, মুসাবিন সমশের, পাকিস্থানের সামরিক জান্তা আইয়ুব খাঁন, এরশাদ শিকদার বা হিটলালের সঙ্গে যাদের ছবি রয়েছে সেই ছবি দেখে কি ছবির ব্যক্তির সঙ্গে তাদের তুলনা করা হবে ? সেটা কি ? ঠিক ?। এমনকি যারা এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাদের সঙ্গে অনেক মাদকসেবী রাজনৈতিক নেতা, গণমাধ্যম কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের ছবি রয়েছে বলে প্রচার আছে যদি সেটা হয় তাহলে এদের সঙ্গে কি ? তাদের তুলনা করা হবে ?।
অনুসন্ধানে উদ্বেগজনক তথ্য পাওয়া গেছে, রাজশাহী-১ আসনে এমপি নির্বাচিত হবার পরপরই তোষামদির রাজনীতি না করায় এমপি ফারুক চৌধূরীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের এক শ্রেণীর নেতার মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। তারা জানেন যে এখানে এমপি ফারুক চৌধূরীর কোনো বিকল্প নাই এমপির বিরুদ্ধে এমন কোনো শক্ত অভিযোগ নাই যেটা হাইকমান্ডের কাছে উঙ্খাপন করে তার মনোনয়ন ঠেকানো যায়। তার পর থেকে এমপিবিরোধী শিবির তার বিরুদ্ধে শক্ত অভিযোগ দাঁড় করাতে নানা অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়। এমনকি এমপির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে তারা হাইকমান্ডের কাছে লিখিত অভিযোগ করেও তা প্রমাণে ব্যর্থ হয়ে হাইকমান্ডের কাছে ধরা খায়। এর পর থেকেই তারা এমপিকে বির্তকিত করতে তার বিরুদ্ধে শক্ত অভিযোগ দাঁড় করাতে নানা অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়ে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, এমপি ওমর ফারুক চৌধূরীর মাদকবিরোধী দুটি সুপারিশ নিয়ে পুলিশের একশ্রেণীর কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়। তার একটি সুপারিশ ছিল কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি কলেজে ভর্তির পুর্বে ও সরকারি চাকরিতে যোগদানের আগে তাদের রক্তের নমূনা পরীক্ষা করতে হবে তারা মাদক সেবি কি না সেটা প্রমাণের জন্য। এটা করা হলে সমাজের উচ্চ শিক্ষিতরা কেউ আর মাদক সেবনে জড়াবে না। অপর সুপারিশটি ছিল অধিকাংশক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটককৃত মাদক পরীক্ষায় ফেন্সিডিল হয়ে যায় পানি, হেরোইন হয়ে যায় পাউডার, গাঁজা হয়ে যায় খড়ি ইত্যাদি। এসব অনিয়ম দূর করতে তিনি আটককৃত একই মাদক একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তিনটি বিভাগে পরীক্ষার সুপারিশ করেন যেটা একশ্রেণীর পুলিশ কর্মকর্তা সহজে মেনে নিতে পারেনি। আর একশ্রেণীর এসব পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আরেক (সাবেক) পুলিশ কর্মকর্তা আর তাঁর সঙ্গে কারা যোগ দিয়েছেন সেটা প্রায় সকলেই জানে। মূলত এই চক্রটি এমপি ফারুক চৌধূরীকে বির্তকিত করে তার দলীয় মনোনয়ন আটকাতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেস্টা শুরু করেন। তাদের সেই প্রচেস্টায় এমপি ফারুক চৌধূরীর বিরুদ্ধে এমন প্রতিবেদন পাঠাতে সহায়তা করেছে বলে নির্বাচনী এলাকার মানুষের অভিমত। আবার তার বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির নেততর্মীদের চাকরি দেয়ার যে অভিযোগ সেটাও ভিত্তিজীন। তিনি তো সরাসরি কাউকে চাকরি দেননি, চাকরি দিয়েছেন উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতারা। তারা প্রার্থী ঠিক করে তাকে চাকরি দেয়ার জন্য এমপির কাছে সুপারিশ করেছেন আর তিনি দলের এসব নেতার সুপারিশ সমর্থন করেছেন মাত্র তাহলে এখানে এমপি ফারুকের কথা আসছে কোনো। কারণ এই দায় তো ওইসব নেতার যারা এদের চাকরির জন্য এমপির কাছে সুপারিশ ও তদ্বির করেছেন। অথচ এমপি ফারুক বিনা পয়সায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-পুলিশের এসআই থেকে শুরু করে প্রাথমিক স্কুলের দপ্তরি হিসেবে অসংখ্য মানুষকে চাকরি দিয়েছেন। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় চাকরির মেলা করে বিনা পয়সায় হাজার হাজার বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, এমনকি সংসদ সদস্যর সম্মানির একটি টাকাও তিনি এখানো গ্রহণ না করে সেই টাকা দলের হতদরিদ্র নেতাকর্মীদের দিয়ে আসছেন যেটা নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মানুষ জানেন। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ সব সম্ভাবের দেশ, যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে জাল টাকা পাওয়া যায়, পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়, বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে আসামি জামিন হয়, সেখানে একজন এমপিকে বির্তকিত করতে মনগড়া প্রতিবেদন দেয়া এটা তো মামুলি ঘটনা। তিনি যে যাই বলুক এমপি মাদকের পৃষ্ঠপোষক এই কথা তার বিরোধীরাও বিশ্বাস করবে না এটা রাজনৈতিক পতিপক্ষের একটি ষড়যন্ত্র।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page