• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪২ অপরাহ্ন

সিনহার ব্যাংক একাউন্টে ৪কোটি টাকা স্থানান্তরে প্রমাণ পেয়েছে দুদক

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার ব্যাংক একাউন্টে ৪ কোটি টাকা স্থানান্তর করার তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) অনুসন্ধান টিম। ফারমার্স ব্যাংক থেকে দুই ব্যবসায়ীর নামে নয়া এই ৪ কোটি টাকা ওই একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এ জালিয়াতিতে একাধিক ব্যক্তি জড়িত ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে নিজ কার্যালয়ে দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ফারমার্স ব্যাংক থেকে ৪ কোটি টাকা ঋন নিয়ে ওই টাকা সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহার ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তরে জালিয়াতি ছিল বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। এ জালিয়াতির সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি জড়িত। তবে কারা কিভাবে এ জালিয়াতি করেছে তাদের নাম পরিচয় এখনি প্রকাশ করবো না আমারা।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৪কোটি টাকা ঋণের ব্যাপারে আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত শেষ হয়েছে। অনেকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা  তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ঋণ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। সেখানে অনেকেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো বিচার-বিশ্লেষণ করছি।
এ জালিয়াতিতে সাবেক প্রধান বিচারপতির জড়িত কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকুক আর যেই থাকুক, যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বা যাবে তাদের বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।
তিনি বলেন, দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে ঋণ প্রক্রিয়া এবং এই টাকা মানিলন্ডারিং বা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া, নগদ উত্তোলন, সকল বিষয়ে অনেক কিছু এসেছে। যদি প্রমান পাওয়া যায় তাহলে আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে।
এসকে সিনহার ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি টাকা জমা হওয়ার বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ৬ মে ও ২৬ সেপ্টেম্বর আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর ফারমার্স ব্যাংকের  সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এম শামীমসহ ছয় কর্মকর্তাকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। আর গত ৬ মে দুই ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন চন্দ্র সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুই ব্যবসায়ী এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে ৪ কোটি টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি স্বীকার করেন।
তবে দুই ব্যবসায়ীর পক্ষে আসা দুই আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, এসকে সিনহাকে তার বাড়ি বিক্রির ৪ কোটি টাকা পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করেছেন। এসকে সিনহার উত্তরার ছয় তলা বাড়িটি পাঁচ কাঠা জমির ওপর ছিল। এ বাড়িটি ২০১৬ সালের শুরু দিকে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা শান্তি রায় ৬ কোটি টাকায় কিনেন। এ সময় বায়না দলিলকালে তিনি ২ কোটি টাকা পরিশোধ করেছিলেন। বাকি টাকা পরিশোধের জন্য ব্যবসায়ী নিরঞ্জন ও শাহজাহানের সহযোগিতা নেন। নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা শান্তি রায়ের স্বামী রনজিতের চাচা শ্বশুর। আর শাহজাহান রনজিতের বন্ধু। বাড়ি কিনতে বাকি ৪ কোটি টাকা ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে নিরঞ্জন ও শাহজাহান (২ কোটি টাকা করে) ঋণ নেন। তাদের তথ্য অনুযায়ি, ২০১৬ সালের মে মাসে জমির বায়না দলিল হয় এবং ওই বছরের ৮ নভেম্বর দুটি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এসকে সিনহা সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখার মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা গ্রহণ করেন।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page