• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০০ অপরাহ্ন

‘দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার সমন্বয় সাধন আবশ্যক’

আপডেটঃ : শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি বলেন, প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও দুর্যোগের সঠিক পূর্বাভাস প্রদানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়াও আবশ্যক। রাষ্ট্রপতি এক্ষেত্রে স্ব স্ব কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। মো. আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার এক বাণীতে এই প্রত্যাশা করেন।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস ও দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণে সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে এ উদ্যোগ সহায়ক হবে বলে মনে করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব দুর্যোগের সংখ্যা ও মাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি রয়েছে অগ্নিকা- ও দূষণজনিত মানবসৃষ্ট দুর্যোগ।
তিনি বলেন, এসব দুর্যোগ মোকাবিলা ও তার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে দুর্যোগপূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৮’র প্রতিপাদ্য ‘কমাতে হলে সম্পদের ক্ষতি, বাড়াতে হবে দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি’ যথাযথ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম দেশ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি লাভ করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পৃক্তকরণের লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) গ্রহণ করেন, যা সদ্য স্বাধীন দেশে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে একটি মাইলফলক। বাসস।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ