চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল শুক্রবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গায় পদ্মার ভাঙ্গন কবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এসময় সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক, ৫৩ বিজিবি’র ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর এখলেশুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর হোসেন সফরসঙ্গী ছিলেন। পরিদর্শন দল ভাঙ্গন কবলিত মানুষের সাথে কথা বলেন এবং ভাঙ্গনরোধে আগামী ডিসেম্বরে কাজ শুরুর আশ্বাস দেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাল বাগডাঙ্গা মৌজার রোড পাড়া, কাঁইড়া পাড়া, চাকপাড়া পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, হাটবাজার, বিজিবি ক্যাম্প, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক স্থাপনা।
চাকপাড়া গ্রামের মাইনুল ইসলাম ও মো. রেজাউল ইসলাম জানান, তার ৭০ বিঘার ফসলী জমি ও আমবাগান পদ্মায় বিলীন হয়ে যাওয়ায় পথে বসে গেছেন। এছাড়া, গত ২ বছরে এ ইউনিয়নের মাল বাগডাঙ্গা মৌজার রোড পাড়া, কাঁইড়া পাড়া, চাকপাড়া পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে ৪ ও ৯ নং ওয়ার্ড।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ শাহিদুল আলম জানান, চলতি বন্যায় ৪৮৫ মিটার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে, পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে ২৯০০ মিটার এলাকা জুড়ে নদীতীর সংরক্ষন কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২’শ ৫৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে, সেটি অনুমোদন পেলে দ্রুতই কাজ শুরু করতে পারা যাবে।
এদিকে, বাংলাদেশ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব আবু ইউসুফ মো. রাসেল ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, ঢাকায় ফিরে গিয়ে তিনি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাথে আলোচনা স্বাপেক্ষে পদ্মার ভাঙ্গনরোধে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ^াস প্রদান করেন।
এব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ জানান, ২০০৮ সালে দল ক্ষমতায় আসার পর সদর উপজেলার সুন্দরপুর-চরবাগডাঙ্গা পর্যন্ত ১১ কি.মি নদীর বাঁধের কাজ সম্পন্ন হয়। পরিকল্পনার অভাবে তারা ২ কি.মি বাঁধের কাজ করতে না পারায় প্রচন্ড হারে ভাঙ্গন শুরু হয়। আর এ ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে না পারলে পদ্মার বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প’র পুরোটায় ভেস্তে যাবে। তিনি আগামী শুস্ক মৌসুমে এ কাজ শুরু করা হলে পদ্মার ভাঙন প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
You cannot copy content of this page