• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৭ অপরাহ্ন

দেওড়াছড়া চা-বাগানে সাজানো/মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানীর অভিযোগ

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি॥
কমলগঞ্জে পল্লীবিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের প্রয়োজনে ১টি গাছের ডাল কাটা নিয়ে দু’জনের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজানো/মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে- মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নস্থিত দেওরাছড়া চা-বাগানে পল্লীবিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের জন্য বাগানের হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তার পাশের ১টি গাছের ডাল কাটার প্রয়োজন হয়। তাই, পল্লীবিদ্যুতের সুপারভাইজার ওই এলাকার ছমির উদ্দিনের (লাল বাবু) পুত্র নাছিম মিয়াকে উক্ত গাছটির ডাল কাটার দায়িত্ব দেন। এর প্রেক্ষিতে নাছিম মিয়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে গাছটির ডাল কাটতে গেলে একই এলাকার মৃতঃ কুরফান আলীর পুত্র আবু সুফিয়ান বাবুল নিজেকে উক্ত গাছের মালিক দাবী করে ডাল কাটতে আপত্তি জানান।
এ নিয়ে আবু সুফিয়ান বাবুল ও নাছিম মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি সংঘটিত হয়। এসময় বাগানের লোকজন উভয়কে নিবৃত্ত করে এবং রহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমদ বদরুল তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন।
তা সত্তেও আবু সুফিয়ান বাবুল পরিকল্পিতভাবে ওইদিনই বিকালে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে পরদিন ১৯ অক্টোবর বাড়ী ফিরেন। এরপর ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বরের পর পর ২ দিন দু’টি হামলা-মারধোরের সাজানো/মিথ্যা ঘটনা এবং ১ম ঘটনার পর মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ও ২য় ঘটনার পর কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ উল্লেখে নাছিম মিয়া এবং তার সহযোগী হিসাবে ফয়জুল মিয়া, জসিম মিয়া ও আব্বাছ মিয়াকে আসামী করে ২০ অক্টোবর মৌলভীবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৩নং আমল আদালতে একটি সাজানো/মিথ্যা মামলা (নং- ২০৯/২০১৮ কমল) দায়ের করেন।
অথচ, পল্লীবিদ্যুতের নতুন সঞ্চালন লাইন স্থাপনের প্রয়োজনে ১টি গাছের ডাল কাটা নিয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর দু’জনের মাঝে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি ঘটনার পর আর কোন ঘটনা না ঘটা সত্তেও কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উৎকোচের বিনিময়ে ‘পুলিশ কেইস’ সীলযুক্ত চিকিৎসাপত্র সংগ্রহ করে মামলার ঘটনা সাজানো হয়েছে। মামলায় যাদেরকে স্বাক্ষী করা হয়েছে, তারা পর্যন্ত ১৯ সেপ্টেম্বর কোন ঘটনা ঘটেছে বলে জানেন না। স্থানীয় ১০/১২ জন বাসিন্দা ও ২ ব্যবসায়ী উল্টো জানতে চান- বলতে গেলে আমাদেরই ঘরে আমরা কোন ঘটনা ঘটতে দেখলাম না জানলামও না, আপনারা জেলা শহরে বসে ঘটনা ঘটেছে বলে জানলেন কিভাবে ? এর জবাবে ‘মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে’ বলা হলে, তারা সবাই জানান- মামলার এজাহারে উল্লেখিত ১৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো/মিথ্যা। তারা বলেন- ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়া সত্তেও নীরিহ লোকজনকে হয়রানীর করতেই আবু সুফিয়ান বাবুল এ সাজানো/মিথ্যা ঘটনা উল্লেখে মামলা দায়ের করেছে।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page