• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৮ অপরাহ্ন

হাসপাতালের যন্ত্রপাতি আত্মসাতের অভিযোগ, দুদকের অভিযান

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : সোমবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮

ট্রেনিংয়ের যন্ত্রপাতি ক্রয় না করে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট টিম রাজধানীর মোহাম্মদপুর আওরঙ্গজেব সড়কে অবস্থিত মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারে এ অভিযান চালায়। দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও উপসহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলামের সমন্বয়ে সাত সদস্যের বিশেষ টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে রাজধানীর রায়েরবাজারে রাজউকের সহায়তায় দুর্নীতির মাধ্যমে ভবন নির্মাণের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদকের অপর একটি টিম।
দুদক জানায়, মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার ১০০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু স্বাস্থ্য হাসপাতাল। যা মোহাম্মদপুর আওরঙ্গজেব সড়কে অবস্থিত। মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানসহ একটি সিন্ডিকেট স্বাক্ষর জাল করে যন্ত্রপাতি ক্রয় না করে ট্রেনিং সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি বাবদ ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬) এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে যায় দুদকের একটি বিশেষ টিম।
এদিকে রাজধানীর রায়েরবাজারে রাজউকের সহায়তায় দুর্নীতির মাধ্যমে ভবন নির্মাণের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদকের অপর একটি টিম। দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ খায়রুল হকের নেতৃত্বে রাজউকের সহকারী অথরাইজড অফিসারের (জোন-৫) সমন্বয়ে পুলিশসহ দশ সদস্যের একটি টিম গতকাল সোমবার এ অভিযান চালায়।
দুদক টিম সরেজমিনে গিয়ে দেখতে পায়, রায়েরবাজারের সুলতানগঞ্জের ৫২ নম্বর প্লটটিতে রাজউকের বিধানমতে চতুর্পাশে ৩০ শতাংশ জায়গা সংরক্ষণের কথা থাকলেও কোন জায়গা না ছেড়ে সমগ্র প্লট জুড়েই ৭ (সাত) তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এতে যান ও পথচারী চলাচল ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। অভিযানকালে রাজউকের কর্মকর্তা ভবনটিতে নিয়মবহির্ভূত স্থাপনা নির্মাণের কথা স্বীকার করেন। এ বর্ধিত স্থাপনা অপসারণে রাজউক শীঘ্রই পদক্ষেপ নেবে বলে দুদককে জানায়। অতিসত্বর এ বিষয়ে রাজউকের কঠোর আইনী পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ মর্মে দুদক টিম অভিমত ব্যক্ত করে।
এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, এ ধরনের ভবন নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্নীতির কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শাসন দুর্বল হয়, রাজউক তার প্রমাণ। রাজউকের দুর্বল এনফোর্সমেন্টকে দুদক শক্তিশালী করতে চায়, নগরায়নে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে দুদক দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page