• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী-১ এমপি ফারুকের সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের পার্থক্য

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮

তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি এই সংসদীয় আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনে আওয়ামী লীগের এমপি মনোনয়ন নিয়ে আড্ডা-আলোচনায় চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে মেলছে প্রতিনিয়ত নানা গুঞ্জনের ডালপালা। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দাবি এখানো এখানে এমপি ফারুক চৌধূরীর কোনো বিকল্প নাই তিনি আবারো এমপি প্রার্থী হচ্ছেন এটা নিশ্চিত। অপরদিকে এমপি ফারুকের সঙ্গে কথিত মানোনয়ন প্রত্যাশীদের অবস্থান বিশ্লেষণ করতে গিয়ে উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে, যেখানে কথিত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের থেকে এমপি ফারুক জনপ্রিয়তায় যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন। আবার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ প্রায় কুড়ি বছরের পরীক্ষিত নেতৃত্ব এমপি ফারুককে কেনো বঞ্চিত করা হবে আর কেনো তাদের কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে এই প্রশ্নের উত্তর কথিত মনোনয়ন প্রত্যাশীদেরই জানা নাই-?। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভিমত, রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হচ্ছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধূরী এটা নিয়ে কারো কোনো শংসয়ের অবকাশ নাই। যারা এমপি মনোনয়নের খোয়াব দেখছেন তারা ষড়যন্ত্রবারী এরা কোনো ভাবেই মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও কেবলমাত্র এমপি ফারুকের বিজয় ঠেকাতে গোপণে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে তাদের অর্থে আওয়ামী লীগের অত্যন্ত সম্ভবনাময় গোছানো ভোটের মাঠ নস্ট করছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের আজকের যেই জয়জয়কার অবস্থান সেটি এমপি ফারুকের রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় তার নেতৃত্বে হয়েছে সেই অবদানের কথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আওয়ামী লীগে তার আশার আগের ও পরের অবস্থান বিশ্লেসণ করলেই এই সত্য সকলের কাছে দৃশ্যমান হবে। এছাড়াও রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হবার অনেক আগেই এমপি ফারুক চৌধূরী সিআইপি মর্যাদা অর্জন করেছেন হয়েছেন রাজশাহীর প্রথম স্বচ্ছ আয়কর দাতা হয়েছেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি এছাড়াও তিনি শহীদ পরিবারের সন্তান ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনার ভাগ্নে, তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে সম্পাদক ও সভাপতি হয়ে রাজশাহী আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন তিনি দু’বার সাংসদ ও একবার প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। তাহলে তার কুড়ি বছরের রাজনৈতিক জীবনে তার কাছে থেকে কি কুড়ি হাজার মানুষ উপকৃত হয়নি তাহলে তো তার কুড়ি হাজার ভক্ত অনুরাগী ও বিশাল কর্মী বাহিনী রয়েছে। অথচ এমপিবিরোধীদের ভাষ্যমতে এমপি ফারুকের এতো অর্জন অবদান থাকার পরেও যদি তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হয় তাহলে যারা কথিত মনোনয়নের স্বপ্নে বিভোর তারা কিসের ভিত্তিত্বে মনোনয়ন পাবেন, তাদের কি এমন অবদান বা অর্জন রয়েছে যেটা এমপি ফারুকের অর্জন-অবদানের থেকেও বেশি যদি সেটা না হয় তাহলে তারা কিসের আশায় মনোনয়ন প্রত্যাশী দাবি করে আওয়ামী লীগের সম্ভবনাময় গোছানো ভোটের মাঠ নস্ট ও তৃণমূলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় কুড়ি বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমপি ফারুক তানোর-গোদাগাড়ী অনেক দৃশ্যমান উন্নয়ন করেছেন। আর যিনি মনোনয়ন পাবেন বলে একশ’ ভাগ আশাবাদি তিনি দুই মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যান ও দুই মেয়াদে পৌরসভার মেয়র তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের উন্নয়নের একটি মাত্র উদাহারণ কেউ দেখাতে পারছেন না। আবার তিনি তো এখানো প্রায় সাত বছর মেয়রের দায়িত্বে রয়েছেন এই সাত বছর সময়ে পৌরসভায় সাত কোটি টাকার দৃশ্যমান উন্নয়নের কোনো চিত্র রয়েছে কি না সেটাও পৌরবাসি বলতে পারছে না অথচ তিনি এমপি হয়ে তানোর-গোদাগাড়ীর উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন তার হাতে কি আলাদিনের সেই জাদুর চেরাগ আছে। কারণ যিনি এমপি ফারুকের ইচ্ছায় দলের সভাপতি ও পৌর মেয়র হয়েছেন, আবার দুবার দলীয় মনোনয়নে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির দুর্বল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন অথচ এখন তিনি এমপি ফারুককে টেক্কা দিয়ে এমপি হবার খোয়াব দেখছেন এর নেপথ্যে কি, আসলে তিনি এমপি নির্বাচন করতে এসব করছেন না কি জামায়াত-বিএনপির কাছে থেকে বিপুল অঙ্কের আর্থিক সুবিধা নিয়ে এমপি ফারুকের বিজয় ঠেকাতে ষড়যন্ত্র করছে। এমপিবিরোধী শিবিরের আদর্শিক এই নেতা ইতমধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি কত বড় আদর্শিক আওয়ামী লীগ। আবার তিনিই এমপি ফারুকের বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপির নেতাকর্মীদের চাকরি দেয়ার অভিযোগ এনেছেন সেটা ডাহা মিথ্যা কারণ এমপি তো সব প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন না তাহলে তার নামে অপপ্রচার কেনো। সূত্র জানায়, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতারা চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে গিয়ে তদ্বির করেছেন এমপি তাতে সুপারিশ করেছে মাত্র তাহলে দায় কার-?। আজ যিনি নিজেকে আদর্শিক দাবি করে এমপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন অথচ সেদিন কেনো উপজেলা কমিটির সভা ডেকে এমপির বিরুদ্ধে এসব নালিশ করেনি কেনো জেলা বা কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবগত করেননি আসলে ঠাকুর ঘরে কে আমি কলা খায়নি। অথচ এমপি ফারুকের প্রায় কুড়ি বছরের রাজনৈতিক জীবনে প্রায় আঠারো বছর এই নেতা ঘনিষ্ঠভাবে তার সঙ্গে থেকে ষোল কলার পনের কলা পুরুণ করে এক কলা পুরুণ না হওয়ায় এই নেতা রাতারাতি এমপির বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে উঠে তার বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপিপ্রীতির অভিযোগ তুলেছে তাহলে এতোদিন নিশ্চুপ ছিল কোনো। আবার উসি প্রয় শত বছরের রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ও তিনপ্রজন্মের জনপ্রতিনিধি তিনি না কি এমপি ফারুককে আওয়ামী লীগে নিয়ে এসে এমপি করেছেন যদি বির্তকের খাতিরে সেটা সত্য বলে ধরে নেয়া হয়, তাহলে প্রশ্ন হলো যেই নেতা এতো জনপ্রিয় সেই নেতা নিজে এমপি না হয়ে ফারুক চৌধূরীকে কেনো এমপি করলেন আবার তার সঙ্গে প্রায় ১৮ বছর রাজনীতিও করেছেন। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর তার মনে হলো এমপি ফারুক চৌধীরী খারাপ মানুষ। তাহলে আপনারা জনসভা দিয়ে বলেন না কেনো ফারুক চৌধূরী খারাপ আর কেনো আপনারা ভাল, কেনো তিনি মনোনয়ন পাবেন না আর কেনো আপনাদের কেউ মনোনয়ন পাবেন।
এদিকে তৃণমূলের অভিযোগ বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হক তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত শীষ মোহাম্মদ ও এমরান আলী মোল্লা এবং আব্দুল মজিদ মাস্টার ও ইসাহাক আলী প্রমূখদের হারিয়ে রাজনীতিতে অনেকটা সঙ্গীহীন একা হয়ে পড়েছেন মাঠ গোছানোর মতো নেতাকর্মীর বড় অভাব। ওদিকে এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তিনি কৌশলে আওয়ামী লীগের একশ্রেণীর নেতার পিছনে বিপুল অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করে তাদের আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ দাঁড় করিয়েছে। আর মূলত তারাই আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এটা নিশ্চিত হয়েও আওয়ামী লীগের পরাজয় ঘটাতে এমপি ও দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তবে তৃণমূল বলছে, মানুষ এখন এতো বোকা নয় সব বুঝে এসব অপপ্রচার করে এমপি ফারুকের বিজয় আপনারা ঠেকাতে পারবেন না।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page