• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন

‘‌গ্রেনেড মামলার রায়ের মাধ্যমে দুটি লক্ষ্য পূরণ করতে চাচ্ছে সরকার’

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিশ্চিহ্ন করতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়। এই নিশ্চিহ্ন প্রক্রিয়ার অন্যতম টার্গেট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২১ আগস্টের ঘটনা, আওয়ামী লীগ নেতাকে দিয়ে পুনঃতদন্ত এবং সবশেষ আদালত কর্তৃক ‘ফরমায়েশি’ রায়- এ সব কিছুই প্রশ্নবিদ্ধ। জনগণ এসব কিছুই মেনে নেয়নি। আমরা এই ভয়াবহ গ্রেনেড বোমা হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।
আজ বৃহস্প‌তিবার রাজধানীর নয়াপল্ট‌নে বিএন‌পির কেন্দ্রীয় কার্যাল‌য়ে এক সংবাদ স‌ম্মেল‌নে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।
রিজভী বলেন, কোনো রকম সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আক্রোশমূলক এই রায়ে জাতীয়তাবাদী শক্তির অন্যতম অগ্রনায়ক তারেক রহমানকে প্রহসনের বিচারে সাজা দেয়া হয়েছে। সরকার এই রায়ের মাধ্যমে মূল দুটি লক্ষ্য পূরণ করতে চাচ্ছেন।এক.আওয়ামীলীগ শাসনামলে চারিদিকে যে নৈরাশ্যের ছবি মানুষ অবলোকন করছে সেখান থেকে দৃষ্টি ফেরানো। দুই. তারেক রহমানের ওপর প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে জিয়া পরিবারকে হেয় করা।
তিনি বলেন, মঈন-ফখরুদ্দিনদের সহায়তায় ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের নিজ বাসভবন থেকে বের করে দেয়া, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্থাপনা থেকে শহীদ জিয়া ও বেগম জিয়ার নাম মুছে ফেলা, হত্যার উদ্দেশ্যে কাওরান বাজারে বেগম জিয়ার গাড়িবহরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের আক্রমণ, বালির ট্রাক দিয়ে চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় ও তার বাসভবন অবরুদ্ধ করে রাখা, একের পর এক সাজানো মামলায় বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা দিয়ে কারাগারে আটকিয়ে রাখা, সবই করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জিয়া পরিবারকে হেয় করার জন্য।
রিজভী বলেন, ২০০৪ সালের ১৭ আগস্ট মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের জন্য আবেদন করে ১৯ তারিখ তারা পুলিশের অনুমতির কপি পেয়েছে। কিন্তু পুলিশকে কোনো কিছু না জানিয়ে মুক্তাঙ্গন থেকে সমাবেশ হঠাৎ তাদের দলীয় অফিসের সামনে নেয়া হলো কেনো? অথচ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে রায়ে সাজা দেয়া হলো। তারা সমাবেশের ভেন্যু সম্পর্কে আগে ওয়াকিবহাল না হলে নিরাপত্তা দিবে কিভাবে? ২১শে আগস্ট হঠাৎ করে দুপুরে ভেন্যু পরিবর্তন খবর শোনার পরেও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রচেষ্টা তারা করেছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেরাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়ার কোনো স্পেস রাখেনি। এসব কিছুতে প্রমাণিত হয় তাদেরই কোনো পক্ষ এই ঘটনার নাটের গুরু। এই ঘটনা নিয়ে জনগণ ও সচেতন শ্রেণির মনে কিছু প্রশ্ন দানা বেঁধেছে।
রিজভী বলেন, একতরফা নির্বাচনের গোপন মাস্টার প্ল্যানের বিরোধিতা করায় সরকার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের পদত্যাগ দাবি করছে। নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তারা সরকারের কাছে পরাধীন থাকতে চাচ্ছেন। সরকার যেটা চাইছে সেটাই বলছে তারা।
রিজভী বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে দিতে হবে এ কথা কোনো কমিশনার বললে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কিছু তো দেখছি না। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা মন্ত্রীরা এখন বলছেন এটা চাওয়া সংবিধান সম্মত না।
এর আগে প্রধান বিচারপতির কী অবস্থা করেছেন তা জাতি দেখেছেন। আমার আশঙ্কা হচ্ছে এক তরফা নির্বাচনের বিরোধিতা করায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারকে নিয়ে সরকার কখন কী ঘটাবে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হাসান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, দপ্তরসহ সম্পাদক মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ