• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫০ অপরাহ্ন

সেতুমন্ত্রীর উদ্যোগেই মুক্তি পেলেন তার ছবি বিকৃতিকারী রুমি

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্যোগেই মুক্তি পেল তারই ছবি বিকৃতি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া রুমি আক্তার (৪০)।
মুক্তি পাওয়া রুমি আক্তার শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ভালুকা গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন সরকারের মেয়ে।
সম্প্রতি কে বা কারা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের একটি ছবি  বিকৃতি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। ওই ছবিটা গত সোমবার নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রুমি আক্তার (৪০)।
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মজিবর রহমান সোমবার রাতে রুমির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, রুমি আক্তার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি বিকৃত করে তার ফেসবুকে পোস্ট দেন। এতে মন্ত্রীর সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এবং বাদীসহ অন্যরা মর্মাহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ঝিনাইগাতী পুলিশ রাতেই রুমি আক্তারকে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালতে হাজির করে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ।
বিষয়টি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নজরে আসলে ঘটনাটি তিনি খতিয়ে দেখেন। এতে রুমির সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি পাওয়া যায়নি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি শেরপুর পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেন এবং মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে বলেন। ফলে দ্রুত পুলিশ রুমির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মুমিনুন্নিছা খানম পুলিশের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে (রুমি) জামিনের আদেশ দেন। ফলে কাদেরের হস্তক্ষেপে ডিজিটাল আইনের অপপ্রয়োগ থেকে রক্ষা পেলেন রুমি।
আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. আমিনুর রহমান তরফদার বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, রুমির জামিন পেয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মজিবর রহমান সোমবার রাতে রুমির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, রুমি আক্তার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছবি বিকৃত করে তাঁর ফেসবুক পোস্ট দেন। এতে মন্ত্রীর সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং বাদীসহ অন্যরা মর্মাহত হয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশ বলেন, ‘বিষয়টি আমার নজরে আসার পর দেখলাম, মেয়েটি আমার ছবি বিকৃতি করেনি। অন্য কারো ফেসবুক পেজ থেকে সে শুধু মাত্র শেয়ার করেছে। সে কারণে আমি পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলেছি। মেয়েটিকে মুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে বলেছি। পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য। কোনো নিরপরাধ লোক এ আইনে শাস্তি পাবে না।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page