• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন

জয় বাংলা ইয়ুথঅ্যাওয়ার্ডের তৃতীয় আয়োজন শুরু

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৮

আরো একবার তারুণ্যে আলোয় ঝলসে উঠবে জয় বাংলা ইয়ুথঅ্যাওয়ার্ডের মঞ্চ। সারাদেশ থেকে আবেদন করা সংগঠনগুলোর মধ্য থেকে বাছাই করা শীর্ষ ৫০ জনকে নিয়ে ২৭ অক্টোবর শুরু হবে জয় বাংলা ইয়ুথঅ্যাওয়ার্ডের তৃতীয় আয়োজন। কারা থাকছেন শীর্ষ ৫০ জনের তালিকায়? এ বছর দেশের সেরা ৫০টি সংগঠনকে এক নজরে দেখে নেই:
১. অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশন
স্বাস্থ্য সম্মত জীবন ব্যবস্থা পরিচালনার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশন। ঢাকায় কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা কামরুননেসা মিরা বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয়সীমার মধ্যে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সম্মত জীবন ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সংগঠনটির মূল লক্ষ্যে রয়েছে দরিদ্র নারী ও তাদের শিশুরা, যারা স্বাস্থ্য সম্মত জীবন ব্যবস্থার অভাবে ঝুঁকির মাঝে রয়েছে। সেই সঙ্গে সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছে অল ফর ওয়ান।
২. অনুশীলন মজার স্কুল
২০১৫ সালে খুলনায় যাত্রা শুরু করে অনুশীলন মজার স্কুল। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা অলক চন্দ্র দাস বঞ্চিত শিশুদের জন্য ভিন্ন ধারার এক স্কুল তৈরির ইচ্ছা থেকে কাজ শুরু করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরাসরি শিক্ষা সুবিধা লাভ করছে ২৫০ জন সুবিধা বঞ্চিত শিশু। অলক চন্দ্র বলেন, ৪১ জন সদস্য নিয়ে আমাদের এই স্কুলটি বর্তমানে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এ কাজে সহায়তা করছে ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবী।
৩. বিডি অ্যাসিস্ট্যান্ট
কলেজ থেকে পড়ালেখা ছেড়ে দেয়া শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী প্রযুক্তিগত শিক্ষাদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিডি অ্যাসিস্ট্যান্ট। প্রতিষ্ঠানটি দুই ভাবে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমত তারা রংপুর এলাকায় খুঁজে বের করে সেই সকল শিক্ষার্থীকে যারা অর্থাভাবে বা অন্যকোন কারণে কলেজে থাকা অবস্থায় পড়ালেখা ছেড়ে দিয়েছে। এরপর সেই সকল শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছেলেদের ‘ডোর-টু-ডোর সার্ভিস’-এর আওতায় এনে বিভিন্ন স্থানে কাজের জন্য প্রেরণ করা হয়।
বিডি অ্যাসিস্ট্যান্টের প্রতিষ্ঠাতা আবু সাইদ জানান, ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে যারা ঘরে ঘরে গিয়ে সার্ভিস প্রদান করছে।
প্রতিষ্ঠানটির ৫০ জন সদস্য ১০ জন কর্মী রয়েছে।
৪. বায়ান্ন
দেশের তরুণ প্রজন্মের জ্ঞান আহরণ এবং একটি বুদ্ধিজীবী নতুন প্রজন্ম উপহার দেয়ার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে চট্টগ্রামে বায়ান্ন নামের সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন নাজনিনআক্তারনাজু। তরুণদের জন্য বই পড়ার ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি শিক্ষামূলক আরো বেশ কিছু কার্যক্রম পরিচালনা করছে তাদের সংগঠন। এ প্রসঙ্গে নাজনিনআক্তার বলেন, আমাদের লক্ষ্য চট্টগ্রামে একটি শিক্ষিত নতুন প্রজন্ম তৈরির যারা পরবর্তীতে দেশের সম্পদে পরিণত হবে। এ লক্ষ্যে আমাদের সংগঠনের ২০ জন সদস্য ও ১৮৪ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সংগঠনের পক্ষ থেকে সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে ৩৩৬ জন।
৫. ব্রিজ ফাউন্ডেশন
বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ২০১৩ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে ব্রিজ ফাউন্ডেশন। এই সংগঠনের সহ প্রতিষ্ঠাতা স্বর্ণাময়ী সরকার জানান, আমার অনলাইন প্লাটফর্মে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য গ্রাফিকাল রিপ্রেজেন্টেড বিভিন্ন শিক্ষা মূলক বিষয় রয়েছে। এখানে ইন্টারনেট মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং চিত্রকর্ম সহ আরো বেশ কিছু শিক্ষা কার্যক্রমের বর্ণনা রয়েছে যা থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহঅপারপরপ্রতিবন্ধীরা।
এই সংগঠন থেকে সরাসরি সেবা গ্রহণ করছে ৩৫ জন। স্বেচ্ছা সেবক রয়েছে ১৫ জন।
৬. বৃহন্নলা
বাংলাদেশে তৃতীয় লিঙ্গের বঞ্চিত মানুষদের উন্নয়নে কাজ করছে বৃহন্নলা। ঢাকা ভিত্তিক সংগঠনটি ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ৫০ জন বৃহন্নলাকে নিয়ে কাজ করছে। ২১ সদস্য ও ৫০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে কাজ করে যাওয়া সংগঠনটি প্রসঙ্গে এর প্রতিষ্ঠাতা সাদিকুল ইসলাম বলেন, সমাজের সবচাইতে বঞ্চিত শ্রেণী এই বৃহন্নলা। আমি এমন ঘটনাও জানি যাদের জন্মের পর নিজ বাবা-মা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। সমাজের মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা বিভিন্ন অপারধমূলক কার্যক্রম জড়িয়ে পরে। আমাদের লক্ষ্য সমাজের মূল ধারার সাথে তাদের সম্পৃক্ত করা।
৭. কল ফর ব্লাড
শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত বিনামূল্যে রক্তদানের জন্য নির্মিত সংগঠন ‘কল ফর ব্লাড’। ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করা সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মো. সারওয়ার কামাল বলেন, আমাদের ১৩৪ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে ৬ বছরের বেশি সময় ধরে বিনামূল্যে রক্ত সরবরাহ করে আসছি আমরা।  আমাদের সাথে যুক্ত আছে ৩ লাখের বেশি রক্তদাতা সদস্য। এখন পর্যন্ত ১ লাখের বেশি মানুষকে রক্ত সরবরাহ করেছি আমরা।
৮. ডিজিটাল সেন্টার
২০১৪ সাল থেকে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও সেবা প্রদান করে আসছে ডিজিটাল সেন্টার। মাদারীপুরের এই সংগঠনটির ডাইরেক্টর আল শাহরিয়ার করিম বলে, ২০২০ সালের মধ্যে ২০০ নারীকে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করব আমরা।
বর্তমানে ৬ জন কর্মী ও সদস্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি যাদের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সহায়তা লাভ করেছে ৭ জন।
৯. দুর্বার প্রগতি সংগঠন
দুস্থদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, বিনামূল্যে শিক্ষা এবং বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করছে দুর্বার প্রগতি সংগঠন। চট্টগ্রামে ২০১১ সাল থেকে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শরিফ উদ্দিন বলেন, সমাজের বঞ্চিত এই মানুষগুলোকে শিক্ষা সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।
সংগঠনটিতে বর্তমানে ১১৮ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ২৪৩ সদস্য রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা গ্রহণ করেছে ১ হাজার জনের বেশি সুবিধা বঞ্চিত মানুষ।
১০. একতা উন্নয়ন সংগঠন
বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলেরপ্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষা সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ঝিনাইদহের সংগঠন একতা উন্নয়ন।
২০১১ সালে সুমন পারভেজ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, আমার এলাকা ৮৫ জন প্রতিবন্ধীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে একতা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন। সংগঠনে বর্তমানে ৩০০ সদস্যের পাশাপাশি ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।
১১. দ্য ফ্লাগগার্ল
বিভিন্ন দেশের নারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগের একটি প্লাটফর্ম দ্য ফ্লাগগার্ল। বিদেশে বা অন্য এলাকায় ভ্রমণের ক্ষেত্রে সেই এলাকার নারীদের সহায়তার জন্য ২০১৩ সালে এই প্লাটফর্ম তৈরি করেন ঢাকার প্রিয়তিইফতেখার। তার এই গ্রুপে বর্তমানে ২০২৩ সদস্য এবং ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে সহায়তা লাভ করেছেন ৫০ জন নারী। প্রিয়তি বলেন, আমি মনে করি যে কোন স্থানে নিরাপদে ভ্রমণ এবং ভ্রমণ সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে আমার এই প্লাটফর্ম দারুণভাবে সকল নারীকে সহায়তা করবে।
১২. ঘুড়ি ফাউন্ডেশন
অসহায় এবং এতিম শিশুদের শিক্ষা প্রদান ও আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস শিক্ষা দেয়ার জন্য ২০১৪ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে ঘুড়ি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা রাকিবুল হাসান বলেন, এই বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত করা আমাদের লক্ষ্য। আর সে জন্যই কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সংগঠনের ৫৫ সদস্য এবং ১০০ স্বেচ্ছাসেবক। এই সংগঠনের মাধ্যমে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে ৫০০ শিশুকে।
১৩. গুরুকুল
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য প্রযুক্তিগত ভাবে দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পূর্ণ এক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ নিয়ে ২০০৮ সাল থেকে খুলনায় কাজ করে যাচ্ছে গুরুকুল। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আল-মাসুম বলেন, আমরা বিনামূল্যে পেশা পরামর্শ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছি। এখন পর্যন্ত আমাদের এই কার্যাবলীর আওতায় ২২ হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ লাভ করেছে। ৭ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কর্মক্ষেত্রে দক্ষ এক প্রজন্ম তৈরির অঙ্গীকার নিয়ে।
১৪. জীবন
রাঙ্গামাটিতেরক্তদানকারী একমাত্র সংগঠন হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে জীবন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সাজিদ বিন জাহিদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বিনামূল্যে আমরা রাঙ্গামাটি জেলায় রক্ত সরবরাহের কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সদস্য সংখ্যা ৩০০ জন। সাথে আছে ১৫০০ স্বেচ্ছাসেবক।  এখন পর্যন্ত ৬ হাজার মানুষকে রক্ত সরবরাহ করেছে জীবন।
১৫ ক্ষ্যাপা
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের অনুপ্রেরণা দানে ২০১৬ সালে ব্যান্ড দল গঠন করেন জসিয়াসাঙ্গামা। ৭ সদস্যের এই ব্যান্ড দল নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে গান গেয়েছেন তিনি ও তার ব্যান্ড দল। শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাওয়া এই ব্যান্ড দলের প্রতিষ্ঠাতা জসিয়া বলেন, আমরা গানের ছন্দে মানুষের কাছে একটি বার্তা নিয়ে যেতে চাই। আর তা হল, প্রতিবন্ধীদের সমাজে স্থান করে নিতে সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টা থাকা চাই। সেই লক্ষ্যে গান গেয়ে যাচ্ছি আমরা।
১৬. লালমনিরহাটতাইকোয়ান্দোঅ্যাসোসিয়েশন
নারী ও শিশুদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখানোর জন্য ২০১৬ সাল থেকে  কার্যক্রম শুরু করে লালমনিরহাটতাইকোয়ান্দোঅ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শান্তনা রানী রায় বলেন, ৩০ সদস্য নিয়ে আমার এই সংগঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। লক্ষ্য আমার এলাকার নারী ও শিশুদের নিরাপদ রাখা। আর এই লক্ষ্য অর্জনে এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি আমরা।
১৭. লাইট অব লাইফ
মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরামর্শ প্রদানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে লাবিবতাজনেউৎসব। এখন পর্যন্ত ৬০০ জনকে তারা সেবা প্রদান করেছে। ৫০০ সদস্যের এই সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ দূর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
১৮. নড়াইল ভলান্টিয়ার্স
বঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় ২০১৭ সালে স্থাপিত হয় নড়াইল ভলান্টিয়ার্স। খুলনা ভিত্তিক এই সংগঠনটিতে ৩০০ স্বেচ্ছাসেবক ও ৪০ সদস্য রয়েছে।  সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মো. সাদাত রহমান সাকিব বলেন, আমরা সুবিধা বঞ্চিত এই শিশুদের বিনামূল্যে আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রদান করি। সেই সঙ্গে তরুণদের সমাজ গঠনে সচেতন হবার জন্যও বেশ কিছু অনুষ্ঠান রয়েছে আমাদের। এখন পর্যন্ত আমাদের সংগঠন থেকে সুবিধা লাভ করছে ১৫ জন বঞ্চিত শিশু।
১৯. নারী শক্তি ফাউন্ডেশন
বয়স্ক শিক্ষা, দুর্যোগে জরুরি সহায়তা সরবরাহ, বৃক্ষরোপণ এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদানে পঞ্চগড়ের মত প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে নারী শক্তি ফাউন্ডেশন। ৮ বছর ধরে কাজ করে যাওয়া সংগঠনটির পরিচালক মোসাম্মৎ ফারজানাজেবুন জানান, ২০১০ সাল থেকে যাত্রা শুরু করা নারী শক্তি ফাউন্ডেশনের বর্তমানে ৩৬৭ জন সদস্য রয়েছে। এই সংগঠনের কাছ থেকে সরাসরি সেবা পেয়েছেন ৮৭ জন।
২০. নীড় সেবা কেন্দ্র
নীর সেবা কেন্দ্রে ২ বছর ধরে জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করছেন ফারজানা আফরোজ। ২০১৭ সালে স্থাপিত এই সংগঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিনামূল্যে শিক্ষা, পুষ্টি সরবরাহ, চাষাবাদের পরামর্শ প্রদান এবং নিরাপদ স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন ব্যবস্থা প্রবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে নীড় সেবা কেন্দ্র। বর্তমানে সংগঠনটির সাথে যুক্ত রয়েছে ১০ জন স্বেচ্ছাসেবক যাদের মাধ্যমে ২ হাজারের বেশি মানুষ সেবা লাভ করছে।
২১. নতুন জীবন
পথ শিশুদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং প্রণোদনা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে কক্সবাজারের সংগঠন নতুন জীবন। ২০১৮ সাল প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন চার বছর আগে শুরু করে তাদের কার্যক্রম। সংগঠনের কার্যকরী সদস্য তৌহিদুল ইসলাম জানান, ৩৫ সদস্যের এই প্রতিষ্ঠানের সাথে ১৫ স্বেচ্ছাসেবক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে সেবা লাভ করছে ১২০ পথ শিশু।
২২. অণুবীক্ষণ
প্রাথমিক শিক্ষার জন জনসচেতনতা সৃষ্টি করে যাচ্ছে অণুবীক্ষণ। সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট শফিকুল ইসলাম করিম বলেন ৩০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে সিলেটে কাজ করে যাচ্ছে অণুবীক্ষণ। সম্মেলিত প্রচেষ্টায় ৬৫ জনকে সহায়তা করতে পেরেছি আমরা।
২৩. পাখি ফাউন্ডেশন
প্রতিবন্ধীদের জন্য পুরাতন ঢাকায় স্থাপিত একমাত্র স্কুল পাখি ফাউন্ডেশন। ২০১৭ সালে ঝুমনা মল্লিক ঝুমু এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন, ২০০ সদস্য ও ৯ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষক নিয়ে ২০০ প্রতিবন্ধীর শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। আশা করছি আরো অনেক প্রতিবন্ধী শিশুরা কাছে ভবিষ্যতে পৌঁছে যাবে আমাদের সেবা।
২৪. পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংগঠন
৫০ জন সেচ্ছাসেবী নিয়ে সুনামগঞ্জেরহাওরাঞ্চলে কাজ করে যাচ্ছে পরিবেশন ও হাওর উন্নয়ন সংগঠন। প্রায় ৫ লাখ মানুষ তাদের সেবার আওতায় রয়েছে। হাওর অঞ্চলের কৃষক ও মৎসচাষীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন গ্রহণে সহায়তা করে আসছে এই সংগঠনটি। এর প্রতিষ্ঠাতা নাবিদ হাসান বলেন, আমার এলাকার মানুষের আর্থিক সমস্যা লাঘবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
২৫. প্রাণ ও প্রকৃতি
পাখির নিরাপত্তা ও বনরক্ষার মিশন নিয়ে ২০১০ সাল থেকে নওগাঁয় কাজ করে যাচ্ছে প্রাণ ও প্রকৃতি। ১২০ সদস্যের এই সংগঠনটিতে যুক্ত আছেন ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবক। এই কার্যক্রমের আওতায় আরো ১২০ জনকে বন ও পাখি রক্ষায় সহায়তা প্রদান করেছে সংগঠনটি।
২৬. প্রকৃতি ও প্রজন্ম
ড. তানজিবা রহমান বাংলাদেশ প্রান্তিক উপজেলায় নিয়ে যেতে চান আইসিটি শিক্ষাকে। এই লক্ষ্যে ২০১৭ সালে তিনি প্রতিষ্ঠিত করেন প্রকৃতি ও প্রজন্ম। ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে আইসিটি বিষয়ক জ্ঞান ছড়িয়ে দিচ্ছে তার সংগঠন। তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে ১ হাজার শিশু আইসিটি বিষয়ক জ্ঞান লাভ করেছে।
২৭. প্রথম সূর্য অ্যাগ্রো ফার্ম
নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে ফার্ম তৈরির জন্য আর্থিক সহায়তাও প্রদান করে প্রথম সূর্য অ্যাগ্রো ফার্ম। ২০১৬ সাল থেকে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন কামরুন নাহার। তিনি জানান, ৪ সদস্য এবং ৮ কর্মচারী নিয়ে তার এই সংগঠন থেকে এখন পর্যন্ত ৮৫৫ জন সহায়তা গ্রহণ করেছে।
২৮. প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি
৭৮১ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে পরিচালিত প্রতিবন্ধী কল্যাণ ফাউন্ডেশন ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ২০০১ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। এর বর্তমান জেনারেল সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ৩০০ প্রতিবন্ধী এই সংগঠনের মাধ্যমে সহায়তা লাভ
২৯. প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা
খুলনা জেলার প্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ২০১০ সালে যাত্রা শুরু করে প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থা। এর সহ প্রতিষ্ঠাতা শিরিন খাতুন বলেন ১২ স্বেচ্ছাসেবক এবং ৩৯২ সদস্য নিয়ে পরিচালিত তার এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরাসরি সেবা গ্রহণ করছে ৮৫ জন। খুলনার এই প্রতিবন্ধীদের সার্বিক সহায়তার পাশাপাশি আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণও প্রদান করা হচ্ছে।
৩০. রিলেশন টু পিউপিল
সিলেটের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষগুলোকেজরুরি অবস্থায় ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে রিলেশন টু পিউপিল। ২০১৬ সালে স্থাপিত এই সংগঠন সম্পর্কে এর প্রতিষ্ঠাতা ইমতিয়াজ মুহাম্মদ পাপন বলেন, ৭২ সদস্যের এই সংগঠনে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবক। সিলেটের বঞ্চিত মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।
৩১. সফল শ্রিম্প সার্ভিস সেন্টার
সাতক্ষীরার চাষীদের জন্য বিনামূল্যে পানি ও মাটি পরীক্ষা করে সহায়তা করছে সফল শ্রিম্প সার্ভিস সেন্টার। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন সম্পর্কে সহ-প্রতিষ্ঠাতা মুকুল ইসলাম বলেন, আমরা এলাকার মাছ চাষীদের জন্য নিরাপদ চিংড়ি চাষ থেকে শুরু আরো বেশ কিছু ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে আসছি। এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৯০ জনকে সরাসরি সহায়তা প্রদান করেছি আমরা। ১২ সদস্যের এই সংগঠনে কাজ করছেন ৩৭ জন স্বেচ্ছাসেবক।
৩২. সালান্দার হাইস্কুল নারী বাস্কেটবল দল
ঠাকুরগাঁও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী বাস্কেটবল দল তৈরি করে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে রশিদাআক্তার। সালান্দার হাইস্কুল নারী বাস্কেটবল দল গঠনের পর এখনো ১০ মাস শেষ হয়নি, কিন্তু তার আগেই এই দল থেকে ৪ জন খেলোয়াড় বাংলাদেশ জাতীয় নারী বাস্কেটবল দলে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। বিষয়টি দারুণ সারা ফেলেছে ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে।
৩৩. শিক্ষার আলো পাঠশালা
ঢাকায় বঞ্চিত ও এতিম শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে ২০১৪ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে শিক্ষার আলো পাঠশালা। ২০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া এই প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি শিক্ষা সহায়তা গ্রহণ করছে ৩০০ শিশু। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠাতা সানি রহমান বলেন, বঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকে এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা। আশা করছি বড় পরিসরে এই সংগঠন নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাব আমরা।
৩৪. শিশু নাট
সিলেটে শিশুদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছে শিশু নাট। ২০১৫ সালে তন্ময় পাল চৌধুরী শিশু নাট স্থাপনের পর থেকে এখানে নিয়মিত শিশুরা নাট্য চর্চা করে আসছে। ৫০ সদস্যে এই সংগঠনে বর্তমানে ১০ জন শিশু নাট্য চর্চার সাথে সংশ্লিষ্ট। তন্ময় পাল বলেন,শিশুদের সংস্কৃতি চর্চার সাথে সংযুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে শিশু নাট।
৩৫. শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র
বঞ্চিত শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট করা এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়েদেয়ার কাজ করে যাচ্ছে শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান ২০১৬ সালে এই কার্যক্রম শুরু করার পর বর্তমানে এখানে ৩৯ জন সদস্য এবং ২২০ জন সেচ্ছাসেবী রয়েছেন। এই সংগঠন থেকে সুবিধা পাচ্ছে ১২৬০ জন শিশু।
৩৬. স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন
চট্টগ্রাম অঞ্চলে দরিদ্রদের বিনামূল্যে শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা এবং খাবার সরবরাহের কাজ করছে স্বপ্নযাত্রীফাউন্ডেশন। ২০১৪ সালে সংগঠনটি স্থাপন করেন মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী। ২০০ সেচ্ছাসেবী নিয়ে চলা এই সংগঠন বর্তমানে ১০০ জন দরিদ্রকে তাদের সেবার আওতায় রেখেছে।
৩৭. স্বপ্ন সারথি পাবলিক লাইব্রেরি
২০১৬ সালে নওগাঁয় যাত্রা শুরু করে স্বপ্ন সারথি পাবলিক লাইব্রেরি। এর প্রতিষ্ঠাতা মিজানুর রহমান জানান, আমার জেলায় তরুণদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এই লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০ জন সেচ্ছাসেবী নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু। আর বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণী আমাদের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়ছে।
৩৮. স্বপ্ন তরী ফাউন্ডেশন
নারী ক্ষমতায়ন এবং আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে নারীদের জুডো শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাহমুদা আক্তার। ২০১৬ সালে ৫০ সেচ্ছাসেবী নিয়ে সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। বর্তমানে এই সংগঠন থেকে ৯০০ জন সার্বিক সহায়তা লাভ করেছেন।
৩৯. সোশাল ওয়েলফেয়ারইনিস্টিটিউট
ময়মনসিংহে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে সোশাল ওয়েলফেয়ারইনিস্টিটিউট। এর পরিচালক মনস কান্তি শাহা বলেন, ১৫৫ সেচ্ছাসেবী নিয়ে প্রতিবন্ধীদের মানসিক চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছি আমরা। এর পাশাপাশি তাদের জন্য গান, পরামর্শ প্রদান এবং ভাষা ব্যবহারে সহায়তা করছে আমাদের সংগঠন। এখান থেকে সহায়তা লাভ করছেন ৩৯৭ জন।
৪০. স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন অব ইয়ুথ পাওয়ার
মুহাম্মদ শোয়েবুর রহমান সজীব ২০১৬ সালে গাইবান্ধার তরুণদের ক্যারিয়ার সচেতন করতে প্রতিষ্ঠা করেন স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন অব ইয়ুথ পাওয়ার। পরবর্তীতে এলাকায় মাদক বিরোধী সচেতনতা কার্যক্রমসহ আরো বেশ কিছু সচেতনতা কার্যক্রম নিয়ে স্কুল-কলেজগুলোতে কাজ করে যায় তার সংগঠন। তিনি বলেন, ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। আমদের মাধ্যমে সরাসরি সহায়তা লাভ করেছেন ১০ জন। এলাকা থেকে মাদক নিরসনে এবং তরুণদের ক্যারিয়ার সচেতন করতে সামনে আরো কাজ করবে আমাদের সংগঠন।
৪১. সিলেট আর্ট অ্যান্ডঅটিজমফাউন্ডেশন
২০১৩ সাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক ইতিহাস প্রচার এবং স্থানীয় প্রতিবন্ধীদের নিয়ে চিত্রকর্ম চর্চার কাজ করে যাচ্ছে সিলেট আর্ট অ্যান্ডঅটিজমফাউন্ডেশন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করছেন ইসমাইল গণি হিমন। ২০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে নিজেদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি।
৪২. তারা ইনিশিয়েটিভ
সমাজের দরিদ্র ও বঞ্চিত গোষ্ঠীর মানুষদের পাশে দাড়াতে অপুপ্লেসিড প্রতিষ্ঠা করেন তার সংগঠন তারা ইনিশিয়েটিভ। ৩০০ সেচ্ছাসেবী ও ১১৭ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠান থেকে এখন পর্যন্ত সরাসরি সহায়তা লাভ করেছেন  ২১০০ হতদরিদ্র। অপু বলেন, এই হত দরিদ্র মানুষদের পাশে দাড়াতে এবং তাদের খাদ্যাভ্যাসেপুষ্টি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
৪৩. তরু ছায়া
মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে এবং বাল্য বিয়ে রোধে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু করে তরু ছায়া। এর প্রতিষ্ঠাতা ফরিদপুরের মো. খালিদ মাহমুদ সজীব। ৪৫০ সেচ্ছাসেবী নিয়ে এই সংগঠনটি ৪০০জনকে নিজেদের সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।
৪৪. তারুণ্য ৭১
বাল্য বিবাহ রোধ, প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং আইসিটি প্রশিক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সাল থেকে কুষ্টিয়ায় কাজ করে যাচ্ছে তারুণ্য ৭১। এর প্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার জামান ধ্রুব বলেন, ৩০০ সেচ্ছাসেবী নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এখন পর্যন্ত ২ হাজার মানুষকে আমাদের সেবার আওতায় এনেছি। সামনে এ কাজ চালিয়ে যেতে চাই।
৪৫. তেতুলিয়া পাঠশালা
যৌতুক মুক্ত বিবাহ, বাল্য বিবাহ নিরোধ ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে বরিশালের সংগঠন তেতুলিয়া। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ইমরান মৃধা বলেন, ২ হাজারের বেশি মানুষকে সহায়তা করেছে আমাদের সংগঠন। ১৫৭ জনের শক্তিশালী সেচ্ছাসেবীদের একটি দল রয়েছে আমাদের।
৪৬. ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ
ড. সাকিয়া এবং তার বন্ধু ড. মনোহীশাহা নারী ক্ষমতায়নে আত্মরক্ষার কৌশল শিক্ষা এবং যে কোন ধরণের সহিংসতা মোকাবিলায় একটি সংগঠন তৈরির কথা ভাবেন এবং ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ট্রাভেলেটস অব বাংলাদেশ। বর্তমানে সংগঠনটির ২৩ হাজারের বেশি সদস্য এবং ১০০ জনের বেশি সুবিধাভোগী রয়েছেন।
৪৭. ইউনিভার্সিটি টি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন
চা শ্রমিকদের জন্য শিক্ষা নিশ্চিতে বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করায় ২০১২ সাল থেকে মৌলভীবাজারে কাজ করে যাচ্ছে রাজুকুরমির সংগঠন ইউনিভার্সিটি টি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। তিনি বলেন, আমার এলাকার সবচাইতে পিছিয়ে থাকা গোষ্ঠী চা শ্রমিকেরা। তাদের কাছ থেকে আমাদের বাংলাদেশের মানুষ অনেক কিছু পেয়েছে। এবার সময় এসেছে তাদেরকে কিছু দেয়ার। ৪ হাজার সেচ্ছাসেবী নিয়ে কাজ করা তার এই সংগঠন থেকে সরাসরি সুযোগ সুবিধা লাভ করছেন ২ হাজার জন।
৪৮. ভোরের আলো
পথ শিশুদের শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে ২০০৭ সালে ভোরের আলো সংগঠন গড়ে তোলেন শফিকুল ইসলাম খান। এখন পর্যন্ত তার এই সংগঠনের মাধ্যমে শিক্ষা লাভ করেছে ১ লাখ ৯ হাজার ১৭০ জন পথ শিশু। এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ১৬৭০ জন। শফিকুল ইসলাম খান বলেন, পথ শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা, নেতৃত্বের গুণাবলী সৃষ্টি এবং আরো নানানকার্যাবলীর মাধ্যমে এগিয়ে চলছে আমাদের কার্যক্রম।
৪৯. উইশ ফর বেটার জামালপুর
জামালপুরের এতিম শিশুদের জন্য বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও বই পড়ার ব্যবস্থা করছে উইশ ফর বেটার জামালপুর। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সজীব মিয়া বলেন, ২০১৪ সাল থেকে ৭০০ সেচ্ছাসেবী ও ৩০০ সদস্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। এখন পর্যন্ত প্রায় দের লাখ এতিম ও পথ শিশুদের নিয়ে কাজ করেছে আমাদের সংগঠন।
৫০. ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস
জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ঝুঁকির সাথে বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের সংযুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস। সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক শাকিলা ইসলাম বলেন, ১২০০ সদস্য নিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা উপকূলীয় অঞ্চলের ৫০০ মানুষের কাছে আমাদের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। সামনে আরো বড় পরিসরে এই সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
উল্লেখ্য, এখানে সংগঠনগুলোকে ইংরেজি অ্যালফাবেট অনুসারে সাজিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। এদের বাছাই ক্রম অনুসারে নয়।
Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page