আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমার মনে হয় সড়ক পরিবহন আইনটা না বুঝেই পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট করছেন। কারণ এই আইনে এমন কোন শর্ত বা প্রভিশন নাই যে অন্যায় না করা সত্ত্বেও ও চালকদেরকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। আমি তাদেরকে আহ্বান জানাবো তারা যেন এই পথ পরিহার করে।
তিনি বলেন, নতুন সড়ক পরিবহন আইন সড়কে দুর্ঘটনা কমানোর জন্য যেমন সহায়ক হবে তেমনি সঠিকভাবে বাস চালালে তা চালকদের জন্যও সহায়ক হবে।
আজ রবিবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সদ্য যোগ দেয়া বিচারকদের দ্বিতীয় ওরিয়েন্টশন কোর্সের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধান লংঘনের বিষয়ে ড. কামাল হোসেন যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়ে তাকে শক্তভাবে জবাব দিতে পারতাম। কিন্তু আমার বয়োজ্যেষ্ঠদের সাথে দুর্ব্যবহার করার অভ্যাস নেই। সেই জন্য আমি করবো না। কিন্তু আমি সবিনয়ে বলবো যে, আমরা কোন দিনই সংবিধান লংঘন করি না। আর সংবিধান লংঘন করার জন্য যদি কখনো আদালতে দাঁড়াতে হয় আমরা দাঁড়াবো। ড. কামাল হোসেন সংবিধান (খসড়া) প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন অথচ তারা যে সংবিধান দিয়ে গেছেন তার অনেক কিছুই আজকে উনি অস্বীকার করছেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তার বক্তব্যে পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আর সংশোধন হবে না। আমি তার সঙ্গে আর একটা কথা বলতে চাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা এবং অন্যকোন স্বাধীনতাই খর্ব করার জন্য করা হয়নি। এটা করা হয়েছে শুধু সাইবার নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য। সেক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেটা হয়েছে তাতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বা সাংবাদপত্রের স্বাধীনতা কোনটাই ব্যহত হবে না।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বক্তৃতা করেন। তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণে জেলা জজ পদমর্যাদার ৪৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।