ভালুকা (ময়মনসিংহ)॥
ময়মনসিংহের ভালুকা বাজারসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৮/১০ টি কসাইয়ের দোকানে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করে ভেজাল মাংস বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ভালুকা বাজার কসাই পট্রিতে সবুজ মিয়া ও কালামের মাংসের দোকানে পেটে বাছুরসহ গাভী জবাই করায় লিটন ও মাহবুব নামে দুই সহযোগী কসাইকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করে ছেড়ে দেন। ৪ দিন দোকান বন্ধ থাকার পর ২৯ অক্টোবর সোমবার সকাল হতে পুনরায় ওই দোকানে গরুর মাংস কিক্রি শুরু হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে পৌর এলাকার লাইসেন্সবিহিন এসব কসাইরা যে যার মত গোপন স্থানে রোগা, অস্বাস্থ্যকর গরু, গাভী, ছাগী জবাই করে তা দোকানে তুলে দেদারসে বিক্রি করছে। ছাগী বা বরকীর মাংস খাসীর মাংসের সমান দামে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। সোমবার সকালে ভালুকা উপজেলা মসজিদ হতে কয়েকজন মুসুল্লী ভালুকা বাজারের ঈদগা মাঠ সংলগ্ন একটি ছাপড়া ঘরের সামনের ডালা ফেলা অবস্থায় ভিতরে ছাগী (বরকী) জবাই করছে শোনে তা দেখতে যান। এসময় তারা দেখতে পান ভিতরে থাকা বেশ কয়েকটি ছাগী জবাইয়ের প্রস্তুতি চলছিল আর পাশে ছাগলের চামড়া স্তুপিকৃত রয়েছে। ভিতরে থাকা ব্যাক্তিরা জানায় ওই ঘরটি বাবুল কসাইয়ের পশু জবাইখানা।
এ দিকে উপজেলার প্রায় হাট-বাজাওে গরুর নামে মহিষ, খাসির নামে ছাগল জবাই করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে। উপজেলার জামিরদিয়া মাস্টারবাড়ী বাজাওে সবচেয়ে বেশী প্রতারনার শীকার হন ক্রেতা। এ এলাকাটি জনবহুল ও কারখানা সমৃদ্ধ। দেশের বিভিন্ন জেলার লাখ লাখ লোকের বাস এই জামিরদিয়ায়। সেই শ্রমিক শ্রেণীর সরলতার সুযোগে এক শ্রেণীর কসাইরা কখনো মহিষকে গরু আর গরুকে মহিষের মাংস বলে বিক্রি করছে বলে জানা গেছে। ওই বাজারের সুলতান নামে এক মাংস ক্রেতা জানান, প্রতিদিন এই বাজারে ৫/৭ টা পশু জবাই হয়। চামড়া ছাড়ানোর পর কোনটা গরু কোনটা মহিষ বোঝা দায়।
উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হেলাল আহম্মেদ জানান প্রজননক্ষম কোন গাভী,বকন, ছাগী, ভেড়া জবাই সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ, তাছাড়া ডাক্তারী পরীক্ষার ছারপত্র ছাড়া পশুজবাই নিয়ম বহির্ভূত। ভালুকা পৌর এলাকার হাট বাজারে মাংস বিক্রেতাদেরকে প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে কোন লাইসেন্স দেয়া হয়নি এটা পৌরসভার আওতাধীন। পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানাযায় কসাইদের কোন লাইসেন্স দেয়া হয়নি।
You cannot copy content of this page