• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন

১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ চলছে

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৮

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতা সংলাপে অংশ নেন।
ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ নেতা সংলাপে অংশ নেন।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় এই সংলাপ শুরু হয়।
এর আগে বহুল আলোচিত এই সংলাপে যোগ দিতে বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসা থেকে যাত্রা শুরু করে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দল। রওনা হওয়ার আগে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর তারা গণভবনে পৌঁছান। অপরদিকে জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় গণভবনে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ব্যাংকোয়েট হলে বসেন। সন্ধ্যা ৭টার পরপরই সেখানে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শুরুতেই সবাইকে সালাম জানিয়ে একটি সূচনা বক্তব্য দেন।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার অংশ হিসেবে গত রবিবার সংলাপের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। পরদিনই সংলাপে রাজি হওয়ার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ঐক্যফ্রন্ট সূত্রে জানা যায় তাদের ৭ দফা দাবির ভিত্তিতে সংলাপে আলোচনা করা হবে।
৭ দফা দাবিগুলো হলো:
১. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ। জাতীয় সংসদ বাতিল, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।
২. নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা দেওয়া।
৩. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন, সামাজিক গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা।
৪. ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
৫. নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্যন্ত বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া।
৬. নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা। গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ না করা।
৭. তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ