• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জে এমএসএম ও হিজড়া জনগোষ্ঠীকে এইচআইভি

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি॥
গ্লোবাল ফান্ডের অর্থায়নে লাইট হাউস সিরাজগঞ্জ ডিআইসির উদ্যোগে মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় সিভিল সার্জন সিরাজগঞ্জ সম্মেলন কক্ষে সেন্সিটাইজেশন সভা সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ ‘‘এমএসএম ও হিজড়া’’ জনগোষ্ঠীকে এইচআইভি মুক্ত রাখার লক্ষ্যে এবং সুস্থ-সুন্দর জীবন যাপনে অভ্যস্থ করতে এইডস বিষয়ক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিআইসি ম্যানেজার মোঃ জিয়াউল হকের সঞ্চাচালনায় সভায় প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফিরোজ মাহমুদ এবং সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মোঃ কাজী শামীম হোসেন সভাপতিত্ব করেন।
সভায় আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোঃ মতিয়ার রহমান, সহকারী পরিচালক সমাজ সেবা বিভাগ, সিরাজগঞ্জ। ডা. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন, মোঃ ইমান আলী, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন অফিস সিরাজগঞ্জ, সরকার সানোয়ার হোসেন, প্রধান শিক্ষক, জাহানারা হাইস্কুল, সাজেদুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক, ভিক্টোরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, সিটেট, মোঃ খোরশেদ আলম খসরু, আইনজীবী, মোঃ মতিন মিয়া, সমাজ সেবক, মোঃ নওশাদ আলী, ইমাম, হিজড়া গুরু পায়েলসহ গণ্যমান্য উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ সভায় বক্তব্য রাখেন।
সভায় সকলে একমত হন যে, ঐওঠ ্ অওউঝ প্রতিরোধে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। প্রত্যেকের জায়গায় থেকে পরিবার, সমাজ, স্কুল, কলেজ, সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের মাঝে ঐওঠ ্ অওউঝ বিষয়ে সবাইকে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে সমাজে বসবাসরত হিজড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে এবং সব ধরনের সমস্যায় তারা পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করবেন তবে সরকারের প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহোদয় বলেন, লাইট হাউস কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পটি সময়পোযোগী বলে আখ্যায়িত করেন। হিজড়াদের সার্বিক সহযোগিতা দরকার কারন লাইট হাউস-এর একার পক্ষে হিজরা,এমএসএমদের আচরন পরিবর্তন ও চিকিৎসা করা সম্ভম নয়।
বিশেষ করে হিজড়াদের নিজেদেরকে আতœ নির্ভর নির্ভশীল হতে হবে। শুধু সরকার আর অপরের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবেনা কারন বিশ্ব এখন সকল জাতি-মানুষকে উন্নত দেখতে চায়। তিনি আরো বলেন ইমাম, শিক্ষকসহ সকলে ঐওঠ ্ অওউঝ প্রতিরোধে কাজ করা প্রয়োজন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হিজড়াদের আচরণগত সমস্যা নিয়ে সমালোচনা হয়।
বর্তমানে হিজড়াদের প্রশিক্ষণ ও ভাতা দেয়া হচ্ছে বলে সমাজ সেবার কর্মকর্তা জানান। তাদের পরিবারকে ইতিবাচক ভুমিকা রাখার পাশাপাশি হিজড়াদের শিক্ষার প্রতি ও পরিবারভুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা এবং সৌহার্দ্য পূর্ণ আচরণের মাধ্যমে সমাজের সাথে বসবাস করার সুযোগ তৈরি করতে হবে, পাশাপাশি এইচআইভি,এইডস প্রতিরোধ করতে হবে। হিজড়াদের এখন আর বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করতে কম দেখা যায়, লাইট হাউস ও হিজড়া সংগঠন থাকায় কিছুটা সভ্য হয়েছে। তবে সকল জায়গায় আরো কাজ করতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরো বলেন কেবলমাত্র সচেতনতা এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার মাধ্যমেই এই ঝুকিপূর্ণ আচরন প্রতিহত করা সম্ভব।
এ বিষয়ে সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকতে হবে সকল স্তরের পক্ষ হতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তিনি লাইট হাউসকে সরকারের ঐওঠ্অওউঝ প্রতিরোধ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে মনে করেন। সভাপতি ডা. মোঃ কাজী শামীম হোসেন, সিভিল সার্জন, তাঁর বক্তব্যে এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে শুধু এমএসএম এবং হিজড়া জনগোষ্ঠি নয় তাদের পাশা পাশি সমাজের প্রত্যেক মানুষকে এইচআইভি, এইডস এর রক্ত পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে সুযোগ হতে পারে। পরিশেষে লাইট হাউস এর সেবামুলক কার্যক্রমের প্রশংসা করার পাশাপাশি সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই এইডস প্রতিরোধে অংশগ্রহন করায় ধন্যবাদ জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ