ভালুকা(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি॥
ময়মনসিংহের ভালুকার আখালিয়া গ্রামে অতি পুরানো ধোবাজান নামে সরকারী খালে মাটি ভরাট ও একাংশে সাইনোর্ড লাগিয়ে জনৈক মিজানুর রহমান পাঠান গংদের জমি প্রতিপক্ষরা জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান পাঠান বাদী হয়ে একই এলাকার হেলাল উদ্দীন শিকদার গংদের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মিজানুর রহমান পাঠানের ভাই জসীম উদ্দীন পাঠান জানান ধামশুর মৌজার ২৬৭ নং দাগে তাদের পৈত্রিক ২১ শতাংশ জমির উপর গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় একই এলাকার হেলাল উদ্দীন শিকদার লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক পাশের একটি কোম্পানীর নামীয় সাইনবোর্ড স্থাপন করে জবর দখলের চেষ্টা করে। এ সময় তারা বাধা দিতে গেলে তাদেরকে প্রাণনাশের হমকি প্রদর্শন করে। জসীম পাঠান আরও জানান উজান হতে আসা সরকারী ধোবাজান খালটি হেলাল গংরা মাটিফেলে ভরাট করায় পানি চলাচলের গতিপথ সম্পুর্ণ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পরেছে। আগামী বর্ষায় উজানে পানি আটকা পরে জন দুর্ভোগের সৃষ্টি হবে।
এ ব্যাপারে হেলাল শিকদার জানান আরটি কোম্পানীর মালিক আব্দুর রাজ্জাক ও তৌফিকুর রাজ্জাকের কাঠালী মৌজার ২৬৮ দাগে ১.৬৬ শতাংশ জমির অনুকুলে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট হাইকোর্ট ডিভিশন ঢাকা রায় প্রদান করেছেন। তার প্রেক্ষিতে ওই সাইনবোর্ডটি লাগানো হয়েছে যেখানে আব্দুর রাজ্জাক গংদের জমি রয়েছে।
কোম্পানীর সীমানা প্রাচীরের বাইরে দক্ষিন অংশের ২৬৭ নং-দাগের জমি মিজানুর রহমান পাঠান গংরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে বসতবাড়ী সহ দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগ দখলে রয়েছেন বলে জানান।