• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৯ অপরাহ্ন

সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ-পাত্রখোলা সংযোগ রক্ষাকারী বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান সড়কের সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলজিইডি এর তত্বাবধানে পরিচালিত ৫ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পরিচালিত সংস্কার কাজে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির কারণে প্রকল্পের আসল উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবাসিত হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, বীরশ্রেষ্ট হামিদুর রহমান সড়ক মৌলভীবাজার জেলার পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এই সড়কে প্রতিদিন পর্যটকবাহী অসংখ্য হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করে। তাছাড়া আগামী শুক্রবার অনুষ্টিতব্য নৃতাত্বিক জনগোষ্টি মণিপুরি সম্প্রদায়ের আয়োজনে দেশের সর্ববৃহৎ সাংস্কৃতিক অনুষ্টান রাসোৎসব দেখতে উপজেলার আদমপুর ও মাধবপুরে হাজার হাজার লোকের আগমন ঘটবে। এই সড়কে চলাচল করবে হাজার হাজার যানবাহন। এহেন পরিস্থিতিতে রাস্তাটির সবচেয়ে বিপদজনক স্থান ধলাইর পার এলাকায় কার্পেটিং এ নি¤œ মানের ইটের খোয়ার উপর মাটি মিশ্রিত বালি দিয়ে কার্পেটিং এর কাজ করা হয়েছে। এই এলাকায় রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে রোলিং না করেই কাঁদা মাটি দিয়ে রাস্তার সাইট ভরাটের কাজ চলছে। বিষয়টি তদারকির দ্বায়িত্ব যাদের হাতে তারা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছেন। যার ফলে ঐ স্থানে ভারী যানবাহন ডেবে গিয়ে মারাত্মক দূর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। এদিকে একই সড়কের চলমান এই সংস্কার কাজের অংশ হিসাবে ভানুগাছ চৌমুহনীতে যে সংস্কার কাজ চলছে সেখানেও চলছে নানা অনিয়ম। পুরনো কার্পেট ভেঙ্গে রাস্তা লেভেল করে তার উপর ৩ ইঞ্চি ১নং ইটের খোয়া দিয়ে কার্পেটিং করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।
চলমান কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্টানটি আবর্জনা ও ডাষ্ট মিশ্রিত নি¤œ মানের খোয়া ব্যবহার করছেন। নিয়ম অনুযায়ী ১০ টন ওজনের রোলার ব্যবহারের কথা থাকলেও কাজ করা হচ্ছে ৫ টন রোলার দিয়ে। ৩ ইঞ্চি তো দূরের কথা অনেক জায়গায় এক ইঞ্চি খোয়াও পর্যন্ত নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে রাস্তা পরিদর্শনে গেলে এ কাজের তদারকিতে এলজিইডির কোন কর্মকর্তাকে মাঠে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ জাহিদুল ইসলামকে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এসে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আবর্জনা ও ডাষ্ট মিশ্রিত খোয়া সরিয়ে সেখানে পরিস্কার খোয়া বিছানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু তার সেই নির্দেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে আবর্জনা ও ডাষ্ট মিশ্রিত খোয়া বিছানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। দায়সারা গোছের নি¤œ মানের এই কাজের ফলে নির্মান কাজের কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তাটিতে আবার খানা খন্দের সৃষ্টি হবে বলে সচেতন মহল মনে করেন। তাই বিষয়টি প্রতি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page