• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন

নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না খালেদা জিয়া: এটর্নি জেনারেল

আল ইসলাম কায়েদ
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৮

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় আপিলে খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিমকোর্টের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এটর্নি জেনারেল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় আপিলে খালাস পেলেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনে অংশ নিতে হলে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির পরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান তিনি।

অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী এডভোকেট খুরশিদ আলম খানও বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালত থেকে সম্পূর্ণ খালাস বা দণ্ড স্থগিত না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

এর আগে ফৌজদারি অপরাধে বিচারিক আদালতে কোনো ব্যক্তির দু’বছর বা তার বেশি মেয়াদে সাজা (কনভিকশন অ্যান্ড সেন্টেন্স) হলে ওই দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল চলাকালে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে মত দেয় হাইকোর্ট।

দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিত চেয়ে পাঁচ বিএনপি নেতার আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়ার সময় বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ মত দেয়।

মাহবুবে আলম বলেন, অ্যাডভোকেট ফখরুল ইসলাম, ওয়াদুদ ভূঁইয়া, মশিউর রহমান, এমডি আব্দুল ওয়াহ্হাব, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন দণ্ড স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালতে আমি বলেছিলাম-ফৌজদারি আদালত বিশেষ করে ফৌজদারি আপিল আদালত অবশ্যই তাদের সাজা (সেনটেন্স) স্থগিত করতে পারে। কিন্তু কনভিকশন বা তাকে যে দোষী সাব্যস্থ করা হয়েছে সেটির স্থগিত নেই।

তিনি বলেন, বিশেষ করে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের ২(ঘ) উল্লেখ করে বলেছিলাম, সেই সমস্ত ব্যক্তিরা জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না বা সংসদ সদস্য হতে পারবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলন জনিত কারণে অন্যূন্য ২ বছরের জন্য সাজাপ্রাপ্ত হন এবং মুক্তি লাভের পর ৫ বছর সময় অতিবাহিত না হয়।

যারা দরখাস্ত করেছিলেন তারা সবাই দণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা তাদের দণ্ড থেকে মুক্তি লাভ করেনি। এবং তাদের ৫ বছর সময় অতিবাহিত হয়নি।

আরো পড়ুনঃ ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না

এমতাবস্থায় যদি তাদের দণ্ড স্থগিত করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেয়া হয় তা হবে আমাদের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। কাজেই আদালত আমাদের আবেদন গ্রহণ করে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ফলে দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আর নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার কোন অবকাশ থাকবে না বলে আমি মনে করি, বলেন এটর্নি জেনারেল।

Share Button


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page