জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। কোনো আসন থেকে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহও করেননি। এমনকি দলীয় মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেননি তিনি। অবশ্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেছিলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কিংবা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনো আগ্রহ বা ইচ্ছা আমার নেই।’
ড. কামাল নির্বাচন না করলেও তার জ্যেষ্ঠ মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছিল। এমনকি ঢাকা-১২ (তেজগাঁও) আসন থেকে তিনি ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে প্রার্থী হচ্ছেন বলে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত গুঞ্জণ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সারা হোসেন কোনো আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ইত্তেফাককে নিশ্চিত করে বলেন, ড. কামাল কিংবা সারা হোসেন কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
এদিকে, সুব্রত চৌধুরী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার লক্ষ্যে ঢাকা-৬ (সূত্রাপুর) আসনে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। এবারও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তিনি এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর বিএনপি দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন ও নগর নেতা কাজী আবুল বাশারকে। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, যাচাই-বাছাই শেষে সুব্রত চৌধুরী কিংবা ইশরাক দু’জনের যে কোনো একজন এই আসনে ঐক্যফ্রন্টের একক প্রার্থী হবেন।
You cannot copy content of this page