টাঙ্গাইল প্রতিনিধি॥
টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব এলাকায় ভূঞাপুরের পাথাইলকান্দি বাসস্ট্যান্ডে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে বাসের ভিতর রানু খাতুন(২৮)এক প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী বাস চালক আলম খন্দকার ওরফে বিষু মিয়াকে(৪৫) গ্রেফতার করেছে বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টারদিকে নিকরাইল ইউনিয়নের ২ নং পুণর্বাসন এলাকার বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে ভূঞাপুর উপজেলার ৪ নং পুনর্বাসন এলাকার ইন্নছ আলীর ছেলে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই কবিরুল হক জানান গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে একটি লোকাল বাস যাত্রী নিয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব ভূঞাপুরের পাথাইলকান্দি বাসস্ট্যান্ডে আসে। বাসের চালক আলম খন্দকার টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ডে ঘুরতে থাকা এক প্রতিবন্ধী নারীকে গাড়িতে তুলে নিতে বলে হেলপার নাজমুলকে। হেলপার ওই প্রতিবন্ধীকে গাড়িতে তুলে পেছনের আসনে বসিয়ে রাখে।বাস পাথাইলকান্দি বাসস্ট্যান্ডে পৌছালে সব যাত্রী নেমে যায়।এসময় বাসের চালক আলম খন্দকার ওই নারীকে ধর্ষণ করে। এ সময় হেলপার নাজমুল গেট আটকে পাহারায় থাকে। প্রতিবন্ধী নারীর চিৎকারে পাথাইলকান্দি বাজারের পাহারাদার বাসের কাছে গিয়ে ঘটনা দেখতে পান। তিনি টহলরত পুলিশকে জানান। টহল পুলিশ সেখানে গিয়ে বাসের হেলপার নাজমুলকে আটক করে। কিন্তু ধর্ষক আলম খন্দকার জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই নুরে আলম বাদী হয়ে বাসের চালক আলম খন্দকার ও হেলপার নাজমুলকে আসামি করে ৩১ সেপ্টেম্বর একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন । প্রাাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে হেলপার নাজমুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।এই মামলার প্রধান আসামি বাস চালক আলম খন্দকার পলাতক ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টারদিকে নিকরাইল ইউনিয়নের ২ নং পুণর্বাসন এলাকার বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মোশাররফ হোসেন বলেন, বাসের চালক আলম খন্দকার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
You cannot copy content of this page