বিপ্লব রায়,ভোলা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। এমপি ও মন্ত্রীদের শপথ শেষে মন্ত্রী পরিষদও গঠিত হল। এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি নির্বাচনের পালা।
সংসদীয় আসন–১১৫ (নারী আসন–১৫) ভোলা থেকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য’র মনোনয়ন চেয়ে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন ভোলা জেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক খাদিজা আক্তার স্বপ্না।
তিনি একজন ত্যাগী আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তার বাবা মো. মোতাহার হোসেন মিয়া সদর উপজেলার ইলিশা ইউ.সি. মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন ও ইলিশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দিনের সিনিয়র সহ–সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
খাদিজা আক্তার স্বপ্নার স্বামী মো. রফিকুর রহমান ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি। তার ছোট ভাই জাকির হোসেন অমি ভোলা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। সব মিলিয়ে একটি স্বচ্ছ আওয়ামী লীগ পরিবারে বড় হয়েছেন খাদিজা আক্তার স্বপ্না।
খাদিজা আক্তারা স্বপ্না জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনে ইতিহাস বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করে ভোলার বাংলা বাজার ফাতেমা খানম ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতা করছেন। এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটি থেকে সফলতার সাথে এলএলবি সম্পন্ন করেছেন।
তার প্রার্থিতা ঘোষণার পর থেকে ভোলা সর্বত্রই চলছে আলোচনা। ভোলা সাধারণ জনগণ খাদিজা আক্তার স্বপ্নাকে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হিসেবে পেতে চায়।
শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি এলাকায় গরীব দুখী মানুষের পাশে থাকেন সব সময়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ ভোলা জেলার আহবায়ক, জেলা মহিলা ক্রিড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক, জেলা ক্রিড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য, মহুয়া নারী কল্যান সমিতির সভানেত্রী, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সহ–সভাপতি, ভোলা আবৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক। এক কথায় তিনি ছোট বেলা থেকেই আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে জেলার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং রাজনৈতিক পরিমন্ডলে সাংগঠনিক অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ নারী হিসেবে সবার কাছে বেশ পরিচিত।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কুটুক্তিকারী ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের বিরুদ্ধে ভোলার আদালতে মানহানি মামলা করে নারী সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী নেত্রী হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি।
খাদিজা আক্তার স্বপ্না বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নির্বাচিত করে তাহলে আমার মাধ্যমে ভোলাবাসী উপকৃত হবে।
তিনি আরও বলেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে আমাকে মনোনয়ন দিলে ভোলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করব। নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমি সবার উন্নয়নে কাজ করব ইনশাল্লাহ্।
স্বপ্না আরও বলেন, ছোট বেলা থেকেই মনে প্রাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করে তাদের কর্মজীবনকে হৃদয়ের মনি কোঠায় লালন করে বড় হয়েছি। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ভোলা–১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের হাত ধরেই আমি আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে কাজ করে আসছি। তোফায়েল আহমেদের সান্নিধ্য আমার রাজনৈতিক ও দেশপ্রেমের চেতনাকে উজ্জ্বল করেছে। সেই আদর্শ ও অভিজ্ঞতাকে মানুষের কাজে ব্যবহার করতে চাই।
এলাকাবাসী জানায়, খাদিজা আক্তার স্বপ্নার মত একজন শিক্ষিত, সাংগঠনিক দক্ষ ও পরোপকারী নারী সংরক্ষিত আসনের এমপি হওয়া দরকার। তাহলে ভোলার মানুষ তার মাধ্যমে উপকৃত হবে। সাথে সাথে এ এলাকার নারীদের সংগঠিত করে প্রধান মন্ত্রীর শেখ হাসিনরা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
You cannot copy content of this page