নোয়াখালী সদর উপজেলায় গণপিটুনিতে আবদুস শহিদ (৪৩) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় গণপিটুনির শিকার আরও তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিকে, গণপিটুনির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
শনিবার বিকালে উপজেলার পূর্ব চর মটুয়া গ্রাম থেকে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী।
পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে একজনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক।
আবদুস শহিদ ওই গ্রামের মমিন উল্যাহ মুন্সির ছেলে। গণপিটুনিতে আহত অন্যরা হলেন- মো. জামাল (৪৩), মো. জাবেদ (২৮) ও মো. রিয়াদ (২৮)।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, অস্ত্র থাকার খবরে বিকালে শহিদসহ চারজনকে আটক করেন স্থানীয়রা। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি শটগান উদ্ধার করা হয়। পরে উত্তেজিত জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়। এতে চারজনই গুরুতর আহত হন।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর ১৬ রেজিমেন্ট আর্টিলারি ক্যাপ্টেন ইফতেখার আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযানে চারজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার এবং একটি শটগান জব্দ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, উদ্ধারের পর তাদের ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে যৌথ বাহিনী। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টার দিকে শহিদ মারা যান। অন্য তিনজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শহিদকে ‘থানা-পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী’ হিসেবে উল্লেখ করে ওসি বলেন, তার বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ আটটি মামলা আছে।