পাকিন্তান যদি আবারও সন্ত্রাসবাদ নীতিতে পুরাতন পদ্ধতি অনুসরণ করে তাহলে ইসলামাবাদকে কঠোর পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ৭৯তম অধিবেশনে বক্তৃতাকালে পাকিস্তানের কঠোর সমালোচনা করেছেন তিনি। খবর এনডিটিভি’র।
জয়শঙ্কর তার ২০ মিনিটের বক্তৃতার শেষের দিকে পাকিস্তানের সমস্যা তুলে ধরে বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই পাকিস্তান যদি আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের দিকে হাঁটে তাহলে সেক্ষেত্রে তারা সফল হবে না।
তিনি আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বর্তমান সময়ে দেশটির সবচেয়ে বাজে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তারা এ থেকে উত্তোরণের চেষ্টার পথে না গিয়ে ধ্বংসের পথে হাঁটছে।
জয়শঙ্কর তার বক্তৃতায় বলেন, অনেক দেশ নিজেদের সংযত করতে না পারলে পিছিয়ে যায়। আবার কেউ আছে সচেতনার সঙ্গে নিজেদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পছন্দ করে। পাকিস্তান হলো আমাদের যেরকম একটি প্রতিবেশী দেশ। তাদের এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড প্রতিবেশীরকে সমস্যায় ফেলবে।
ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের ভূমি নিয়ে কথা বলেছেন। এব্যাপারে আমরা তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি।
এর আগে জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফাস্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন তার বক্তৃতায় পাকিস্তানকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন বলেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাধেও পাকিস্তানের জড়িত থাকার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
২০১৯ সালে ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অর্থাৎ সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করায় তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এসব কথা বলেন।
ভাবিক বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়, তাদের সন্ত্রাসবাদের কথা সবার জানা, যে দেশে মাদকের কারবার চলে, তাদের কী করে সাহস হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নিয়ে সমালোচনা করার।
ভারতের এই প্রতিনিধি বলেন, পাকিস্তানের চিত্র আসলে কেমন, তা সবারই জানা। এই প্রসঙ্গে তিনি ২০০১-এর সংসদ হামলা ও ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার কথা তুলে ধরেন।