থাইল্যান্ডে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ৪৪ শিশু বহনকারী একটি স্কুল বাসে ভয়াবহ আগুন লেগে নিহত ২৫ শিক্ষার্থী। ইতিমধ্যেই ১৬ জন শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এবং তাদের অবস্থা সঙ্কটজনক। সুতরাং আরও শিক্ষার্থীর নিহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও আগুন লাগার প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি।
সূত্রের খবর, এদিন ওই স্কুলের শিক্ষকরা তাদের বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে রাজধানী ব্যাঙ্ককে ভ্রমণে গিয়েছিলেন। আর ব্যাঙ্ককের উপকন্ঠেই তাদের স্কুল বাসটিতে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। সেই সময়ে স্কুল বাসে প্রায় ৪৪ জন শিক্ষার্থী ছিল। ভয়াবহ আগুনে সকলেই গুরুতর আহত হয়েছে। ২৫ জন মারা গিয়েছেন এবং ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে হলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা বাসে আগুন নেভাতে ছুটে আসে। বাসটি ছিল ওয়াট খাও ফ্রায়া স্কুলের। ঘটনায় পুলিশ এখনও নিহতদের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেনি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রায় ২৫ জন মারা গিয়েছে। ঘটনাটি, স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থাইল্যান্ডের খু খোটের জির রঙ্গসিট শপিং মলের কাছে ফাহন ইয়োথিন রোডে ঘটেছে।
রাজধানী ব্যাংকক থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার (১৫৫ মাইল) উত্তরে উথাই থানি প্রদেশ থেকে বেরিয়ে স্কুলটি শিক্ষা সফরে যাচ্ছিল, এবং সেখানে ছয়জন শিক্ষকও ছিলেন। তারা দর্শনীয় সফরে আয়ুথায়ার দিকে যাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী পেতংটার্ন সিনাওয়াত্রা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। বাসে আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, বাসটির সামনের একটি টায়ার ফেটে গিয়েছিল। এর ফলেই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং একটি ধাতব বাধার সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয় এবং ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড পুরো বাসটিকে গ্রাস করে।
এই বিষয়ে অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কর্মকর্তারা এখনও নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারেননি কারণ তারা ঘটনাস্থলে তদন্ত শেষ করেননি। বাসটি এখনও খুব গরম, তাই তাদের পক্ষে নিরাপদে ভিতরে প্রবেশ করতে সম্ভব হচ্ছে না। আগুন লাগার কয়েক ঘণ্টা পরও বাসের ভেতরে লাশ ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওগুলিতে দেখা গিয়েছে যে, পুরো বাসটি রাস্তায় দাঁড় করানো অবস্থায় কালো ধোঁয়ার সঙ্গে আগুনে পুড়ে যাচ্ছে। ছাত্রদের বয়স ও অন্যান্য তথ্য এখনও জানা যায়নি।