হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়েকে হত্যা ও লেবাননে নজিরবীহিন বিমান হামলায় শীর্ষ সামরিক জেনারেলকে হত্যার জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।বিভিন্ন শক্তি মাত্রার প্রায় ১৮১টি শক্তিশালী মিসাইল তেল আবিবকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ মিসাইল সফল আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি কার্ড কোর (আইআরজিসি) ঘনিষ্ট বার্তা সংস্থা ফারস।ইতিমধ্যে বেশ কিছু মিসাইল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার খবর ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে বিশ্ব গণমাধ্যমে।
মিসাইল ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আঘাত হানার খবর দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি স্বীকার করলেও আক্রান্ত স্থানের ব্যাপারে মুখ খুলেননি।ধারণা করা হচ্ছে,ইসরায়েলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা ছিল ইরানের ছোড়া মিসাইলের লক্ষ্যবস্তু।
এর আগে ইরানের মিসাইল হামলা শুরুর পর ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বাজতে থাক্র এবং দেশটির নাগরিকেরা বোমা প্রতিরোধী আশ্রয় কেন্দ্রের সন্ধানে ছুটত থাকেন। ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার চলাকালে রিপোর্টারদের মাটিতে শুয়ে পড়তে দেখা গেছে।
লেবাননে ইসরায়েলের বোমা হামলায় ইরান–সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার পর এর বদলা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তেহরান।
ইসরায়েলি বাহিনী মঙ্গলবার লেবাননে সীমিত পরিসরে স্থল অভিযান শুরু করার পর তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান।এর আগে গত এপ্রিলে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান।প্রায় এক বছর আগে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালায় ইসরায়েল। তাদের নির্বিচার বোমা হামলায় গাজায় ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ওই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আজ লেবাননে ইসরায়েলের স্থল অভিযান শুরুর মধ্য দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত নতুন মাত্রা নিয়েছে।