আশ্বিনের শেষদিকে এসে টানা বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বাড়ছে ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষের। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গতকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলবে আরও কয়েকদিন। এরমধ্যে শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালের দিকে রাজধানী ঢাকায় কয়েক দফায় থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও দুপুরের দিকে শুরু হয় ভারী বৃষ্টি। এতে অতীতের মতো ঢাকার রাস্তাঘাট পানিতে ডুবেছে।
কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও আবার কোমর সমান পানি হয়েছে বৃষ্টিতে। বিশেষ করে কিছুটা নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে অনেক বেশি। তবে পান্থপথ, কাঠালবাগান, পুরানা পল্টন, শান্তিনগর, মৌচাক, ফকিরাপুল, রাজারবাগ, মতিঝিল এলাকায় বৃষ্টি থেমে গেলেও কয়েক ঘণ্টা পর এসে পানির কষ্ট কমেনি।
বৃষ্টি থামার কয়েক ঘণ্টা পার হলেও পানি থাকায় রিকশা-সিএনজি চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকাচ্ছেন। অল্প দূরত্বেও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া নিয়ে মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছেন।
মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট আসার পথে সংসদ ভবনের সামনের সড়কেও অনেক পানি দেখেছেন বলে জানিয়েছেন যাত্রী।
এদিকে, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় একদিকে পানি, অন্যদিকে যাত্রী সংকটও দেখা দিয়েছে কোনো কোনো গণপরিবহনে। অবশ্য কোনো কোনো বাসে উপচে ভিড়ও লক্ষ্য করা গেছে। ভিক্টর ক্লাসিক বাসের চালকের সহকারী জানান, ‘একদিকে শনিবার যাত্রী কম থাকে। এরমধ্যে বৃষ্টি। পানির কারণে যাত্রীরা বাসে ওঠারও সুযোগ পাচ্ছে না।’
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও বৃষ্টির আভাস দেওয়া হয়েছে। ওইদিন ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারা দেশে দিন ও রাতের সামান্য বাড়তে পারে।