কারাগারে বন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উটেছে পাকিস্তান। শনিবার রাজধানী ইসলামাবাদে একদিনের বিক্ষোভ করলেও এই কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তান তেহরিক- ই ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির নেতারা তারা বলেছেন,দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের পক্ষ থেকে কোনও নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।
শনিবার এই বিক্ষোভ মোকাবিলায় পুলিশ শহরের রাস্তাঘাট বন্ধ করে, মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং টিয়ার গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের দমনের চেষ্টা করে।
পিটিআই দাবি করেছে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের নেতা আলী আমিন গান্দাপুরকে ‘অপহরণ করে অবৈধভাবে আটক’ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে ইসলামাবাদ-পেশোয়ার হাইওয়েতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর নেতৃত্ব দেন গান্দাপুর। পুলিশ তাদের শহরে প্রবেশ ঠেকানোর জন্য টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে।
পিটিআই বলছে, দলীয় নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়েছে পিটিআই। লাহোরেও শনিবার বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করা হয়।
ইমরান খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, আমি আমাদের সব সমর্থকের ওপর অত্যন্ত গর্বিত।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৮০ জনের বেশি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, পিটিআই’কে পরামর্শ দিয়েছিলাম, তারা যেন কূটনৈতিক কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ধরনের জমায়েত না করে। উল্লেখ্য, ১৫-১৬ অক্টোবর ইসলামাবাদে সাংহাই কোঅপারেশন অরগানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন চীন, রাশিয়া এবং ভারতের প্রতিনিধিরাও।
নাকভি সতর্ক করে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা এসসিও সম্মেলন ব্যাহত করার পরিকল্পনা করেছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, আমরা তা কোনওভাবেই হতে দিতে পারি না। আমি আবারও বলছি, তারা যেন আর কোনও লাল রেখা অতিক্রম না করে, অন্যথায় কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। সূত্র: ডন নিউজ, আল-জাজিরা