• বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৭ অপরাহ্ন

ফিরেছে সবজির বাজারে স্বস্তি মাছে অস্বস্তি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৪

টানা কয়েক সপ্তাহ উত্তাল থাকার পর এবার স্বস্তি ফিরেছে সবজির বাজারে। কমেছে সকল সবজির দাম। এমনকি কাঁচামরিচের আকাশছোঁয়া দামেরও অবসান ঘটেছে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে কাঁচামরিচ। যা এক সপ্তাহ আগেও ৪০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ৬০০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছিল কাঁচামরিচ।

নগরীর একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে বিক্রি হওয়া সব সবজির দামই কমেছে। ৮০ থেকে ১০০ টাকা পিস দরে বিক্রি হওয়া লাউ এখন ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শতকের ঘর থেকে নেমে করল্লা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। বাজারভেদে টমেটো মিলছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়।

৫০ এর ঘর থেকে নেমে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, মুলা ৫০-৬০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৷ শীতের আগাম সবজির মধ্যে বাজারে শিমের দেখা মিলেছে। কেজি ১৫০ টাকা। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পিস দরে।

কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। বরবটি ৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁকরোল। এছাড়া লেবুর হালি ২০ টাকা। ধনিয়া পাতার কেজি ২০০ টাকা। বিক্রেতারা জানান, শুক্রবার হওয়ায় ধনিয়া পাতার দাম কিছুটা বেড়েছে। গতকাল এই ধনিয়া পাতা ছিল ১৫০ টাকা কেজি।

তবে বাজার ঘুড়ে দেখাযায় সবজির দামে পরিবর্তন হলেও মাছের দামে ক্রেতাদের অস্বস্তি

বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম নিয়মিত ওঠানামা করলেও মাছের বাজার দীর্ঘদিন ধরে বাড়তিই থেকে যাচ্ছে। ক্রেতাদের মতে, মাছের বাজারের অস্থিরতা কাটছে না কোনোভাবেই। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ফিডের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে, যা আর কমেনি।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তিই দেখা গেছে। পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি আগের মতো বাড়তি দামে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা আর খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারে আগের মতো বাড়তি দামেই অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরনের মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাঁতল মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, রুপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, চাপিলা মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী তুহিন  বলেন, বাজারের সব ধরনের পণ্যের দাম উঠানামা করলেও ব্যতিক্রম দেখি মাছের বাজারে। ‌দীর্ঘদিন যাবত মাছের দাম কমার কোনো নাম নেই। সবসময় অতিরিক্ত দামে সব ধরনের মাছ কিনতে হচ্ছে। একসময় পাঙাস, তেলাপিয়া, চাষের কই এসব মাছের দাম কম থাকলেও বর্তমান বাজারে এগুলোরও দাম বেশি।

একদিনে ব্রয়লার মুরগিতে বেড়েছে ১০ টাকা, ডিমের দামও বাড়তি

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের আরেক ক্রেতা অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এতদিন ধরে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে মাছের বাজার মনিটরিং করার কোনো উদ্যোগ কখনো দেখি না। বিক্রেতারা নিজের ইচ্ছেমতো দামে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে মাছ বিক্রি করছে। বাজারে এমন কোনো মাছ নেই যার দাম বাড়তি না। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ ক্রেতারা তো আর মাছই কিনতে পারবে না।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ