• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন

পেজেশকিয়ানের আমন্ত্রণে সৌদি যুবরাজ জানান, ইরান সফর তার জন্য “গর্বের”

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

এছাড়া, পেজেশকিয়ান সৌদি যুবরাজকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানান। এমবিএস এতে সাড়া দিয়ে বলেন, ইরান সফর তার জন্য “গর্বের” হবে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) রোববার সন্ধ্যায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। এই আলাপের সময় তিনি ইরানি জনগণকে “ভাই” বলে সম্বোধন করেন এবং তাদের সাফল্য কামনা করেন। এ সময় পেজেশকিয়ান গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি কার্যকর সমাধান আসবে, যা যুদ্ধ ও রক্তপাতের ইতি ঘটাবে।

লেবাননের মিডিয়া আল-মায়েদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই আলাপে সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে ভবিষ্যতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

পেজেশকিয়ান আসন্ন আরব লীগ ও ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) যৌথ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারছেন না, কারণ তিনি রাষ্ট্রীয় কাজ নিয়ে ব্যস্ত। তবে তিনি জানান, সম্মেলনে ইরানের প্রতিনিধি হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রেজা আরেফ অংশ নেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট এমবিএসের নেতৃত্বে সম্মেলনটি সফল হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “গাজা এবং লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে এই সম্মেলন কার্যকর ভূমিকা রাখবে।” পেজেশকিয়ান সৌদি যুবরাজকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি তার অনুপস্থিতি বুঝতে পারছেন।

এমবিএস এই মুহূর্তকে “ঐতিহাসিক বাঁক বদল” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, সৌদি আরব এবং ইরান তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি জানান, ভবিষ্যতে ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং পেজেশকিয়ানকে সৌদি আরব সফরের জন্য আবারও আমন্ত্রণ জানান।

এছাড়া, পেজেশকিয়ান সৌদি যুবরাজকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানান। এমবিএস এতে সাড়া দিয়ে বলেন, ইরান সফর তার জন্য “গর্বের” হবে।

আজ সোমবার থেকে সৌদি আরবে আরব লীগ এবং ওআইসি সম্মেলনে অংশ নিতে আরব ও মুসলিম দেশগুলোর কর্মকর্তারা পৌঁছাতে শুরু করেছেন। এই সম্মেলনে গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হবে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, অক্টোবরের শেষ দিকে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দেয়। এই সম্মেলনের মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকটের সমাধানের জন্য একটি “আন্তর্জাতিক জোট” গঠনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে উপস্থিত নেতারা ফিলিস্তিন এবং লেবাননে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করবেন। সূত্র: আল-মায়েদিন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ