কেঁচো জন্মাল ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলের মাটিতে। এই প্রথম। মাটি মঙ্গলের হলেও ভূপৃষ্ঠেই জন্মাল সেই কেঁচো। যা যা দিয়ে তৈরি ‘লাল গ্রহ’ এর মাটি, পৃথিবীতে আদ্যোপান্ত সেভাবেই বানানো মঙ্গলের মাটিতে জন্ম নিয়েছে দু’টি কেঁচো। যা আগামীদিনে ‘লাল গ্রহ’ এ মানবসভ্যতার ‘দ্বিতীয় উপনিবেশ’ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা আরো জোরালো করে তুললো।
এখনো যে প্রাণ থাকতে পারে মঙ্গলে, এই নজীরবিহীন ঘটনা একইসঙ্গে সেই সম্ভাবনার পালেও জোর বাতাস দিল। গতকাল মঙ্গলবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
নেদারল্যান্ডসের ভাগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের দৌলতেই এটা সম্ভব হয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, মঙ্গলে গিয়ে মানুষের পক্ষে দীর্ঘদিন টিঁকে থাকা ও বংশবৃদ্ধি করা সম্ভব হবে কিনা, ফসল ফলানো সম্ভব হবে কিনা মঙ্গলে, এই ঘটনার ফলে সে ব্যাপারে কিছুটা দিশা মিললো।
তবে এ ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে হলে আরো গবেষণার প্রয়োজন। কিন্তু পৃথিবীর বুকে কৃত্রিমভাবে বানানো মঙ্গলের মাটিতে কেঁচো জন্মানোর ঘটনাকে কেন খুব গুরুত্ব দিচ্ছে গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীমহল?
অন্যতম প্রধান গবেষক ও নেদারল্যান্ডসের ভাগেনিনজেন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা কেন্দ্রের অধ্যাপক ভিগার ওয়েমলিঙ্ক বলেছেন, কোনো প্রাণহীন জৈব বস্তুকে ভেঙে দিতে পারে কেঁচো। তার ফলে জন্মানো অন্য জৈব বস্তুকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারে আগের জৈব বস্তুতে আর তাতে প্রাণও দিতে পারে। এর ফলে কেঁচো একটা চক্র তৈরি করে জৈব বস্তুর মধ্যে। যাকে বলে ‘রিসাইকল’।
মাটিকে উর্বর, তরতাজা রাখতেও বড় ভূমিকা নেয় কেঁচো। সাহায্য করে মাটিকে ফলনশীল হতে। তাই কৃত্রিমভাবে বানানো মঙ্গলের মাটিতে কেঁচো জন্মানোয় আগামীদিনে চাঁদ ও ‘লাল গ্রহ’ এ কোনো ঢাকা-চাপা দেওয়া জায়গাতেও ফসল ফলানো যেতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।