বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন আলোচিত অনলাইন এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের একটি পোস্টে এ বিষয়ে তিনি বলেন, জিন্দেগীতে রাজনীতি না করা বিজ্ঞজনদের বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের ছবক দেই। ১৯৭৫/ সব রাজনৈতিক প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ তখন তরুণ সেনা অফিসার মুজিবকে উৎখাত করলো। ২০২৪/ ঈদের পরে সব আন্দোলন ব্যর্থ হওয়ার পরে ছাত্ররা অবিশ্বাস্যভাবে হাসিনাকে উৎখাত করে ফেললো। ১৯৭৫/ তরুণেরা অভিজ্ঞ খন্দকার মুশতাককে ক্ষমতায় বসালো। ২০২৪/ ছাত্ররা অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন প্রফেসর ইউনুসকে ক্ষমতায় বসালো।
তিনি আরো লিখেন, ১৯৭৫/ তরুণ মেজরদেরকে কোনঠাসা করে ফেললো ভারতীয় এস্টাব্লিশমেন্ট। দেশ ছাড়া তরুণ সেনা কর্মকর্তারা। ২০২৪/ ছাত্রদের কোনঠাসা করে ফেলছে এস্টাব্লিশমেন্ট আর প্রচলিত রাজনৈতিক দল। ক্ষমতাকেন্দ্র থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। ১৯৭৫/ খন্দকার মোশতাকের বিরুদ্ধে ভারত পন্থী সেনাদের ক্যু। খন্দকার মোশতাকের পতন। জেল। তাকে নির্বাচনের বাইরে রাখা। ২০২৪/ ওয়ায়ারের হুমকি। এরপরে নানা হাত ঘুরে একসময়ে জিয়া নিহত। দুর্বল সাত্তার প্রেসিডেন্ট। অরাজকতা আর ভারতপন্থী এরশাদের ক্ষমতা দখল। তারপরে কয়েক টার্ম নির্বাচনি খেলা খেলে হাসিনার দীর্ঘমেয়াদে ফ্যাসিবাদী শাসন যা মুজিবের শাসনের শিক্ষা নিয়ে আরো রোবাস্ট। আরো নির্মম। আরো শক্তিশালী।
তিনি আরো লিখেন, পরের অংশটা এমন হবে। ২০২৫ এর ডিসেম্বরে নির্বাচন। বিএনপির দুর্বল সরকার ক্ষমতা নেয়া। অর্থনৈতিক সমস্যা, ভারতের চাপে দিশেহারা দেশের ভিতরে আর বাইরে। গনবিক্ষোভে আওয়ামী লীগের অংশ নেয়া। বিএনপির সরকারের পতন। আবার নির্বাচন। কোনটা বেশী বাস্তবের কাছাকাছি মনে হচ্ছে? এইটাই ভারতের প্লে বুক। আগেও খেলেছে। এবারো তাই খেলবে। পিনাকী কাঙ্গালের কথা বাসি হয়ে আগেও ফলেছে। এইবারো ফলবে যদি বেকুবদের ভুদ্দিজীবি ভাবেন আর তাদের চিন্তার খপ্পড়ে পড়েন। ১৯৭৫ এর চাইতে এইবারে পরিস্থিতি ভিন্ন জনগনের এজেন্সি আছে। পিনাকী ইলিয়াসের মতো বেপরোয়া লোকেরা আছে। বাংলাদেশকে আমরা হারতে দেবোনা।