খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২ একর জমি, খুলনায় দুটি বাড়ি ও কেসিসি মার্কেটে ১৩০ বর্গফুটের তিনটি দোকানসহ মোট ১৩ বিঘা জমি জব্দ এবং ১৪টি ব্যাংক হিসাবের ৩১ লাখ ৮ হাজার ৮৭৩ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে আখতারুজ্জামানের বাড়ি, দোকান ও জমির মূল্য ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৩২ লাখ ৬ হাজার ৮৭০ টাকা।
এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন এসব সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী আক্তারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ নামে ঠিকাদারি ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের মালিকানাধীন ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন, যা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, আদালত বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্তকরণসহ সব উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।
তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধান এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে স্থাবর সম্পত্তিগুলো জব্দ ও অস্থাবর সম্পত্তিগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।