• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

এইচএসসি পরীক্ষা ২০১৮

আপডেটঃ : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, এইচএসসি পরীক্ষা-২০১৮ উপলক্ষ্যে আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের তৃতীয় অধ্যায় (সংখ্যা পদ্ধতি ও ডিজিটাল ডিভাইস) এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন

 

সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল এন্ড কলেজের  প্রভাষক মো. নুরুল হক

 

 

সংখ্যা পদ্ধতি ও এর প্রকারভেদ

 

 

বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করে কোন সংখ্যা লেখা ও প্রকাশ করার পদ্ধতিকে বলা হয় সংখ্যা পদ্ধতি (Number Szstem) । সংখ্যা পদ্ধতির সাহায্যে সহজেই কোন কিছুর সংখ্যা গণনা ও প্রকাশ করা যায়। কান সংখ্যা পদ্ধতি লিখে প্রকাশ করার জন্য যে সমস্ত সাংকেতিক চিহ্ন বা মৌলিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অঙ্ক ডিজিট (Digit)বলে। যেমন বাইনারী সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য ০, ১ ব্যবহার করা হয়।

 

সংখ্যা পদ্ধতির বেস বা ভিত ঃ কোন সংখ্যা পদ্ধতিকে লিখে প্রকাশ করার জন্য যতগুলো মৌলিক চিহ্ন বা অঙ্ক ব্যবহার করা হয় তার সমষ্টিকে বলা হয় ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেস বা ভিত যেমন-বাইনারি সংখ্যাকে প্রকাশ করার জন্য দুইটি অংক ০ এবং ১ ব্যবহার করা হয়। এইজন্য বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেস হচ্ছে ২। দশমিক সংখ্যায় ১০টি ( ০ থেকে ৯ পর্যন্ত) অংক ব্যবহার করা হয় এই জন্য দশমিক সংখ্যার বেস হচ্ছে ১০।

 

 

সংখ্যা পদ্ধতির প্রকারভেদ

 

 

সভ্যতা বিকাশের প্রাথমিক পর্যায় থেকে বর্তমানে ডিজিটাল ডিভাইস কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ, হিসাব-নিকাশের সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যা পদ্ধতি চালু আছে। সংখ্যা পদ্ধতি প্রধানত দু ধরনের।

 

যথা :

 

১। নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (Non positional number system) এবং

 

২। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (Positional number system)।

 

১। নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (Non positional number system) : যে পদ্ধতিতে সংখ্যার মান ব্যবহূত চিহ্ন বা অঙ্কসমূহের পজিশন বা অবস্থানের ওপর নির্ভর করে না তাদের নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। এটি একটি প্রাচীন পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে প্রতীক হিসেবে বিভিন্ন হাতিয়ার, পশুপাখি, জীবজন্তুর ছবি এমনকি গাছ বা ফুল দিয়ে নির্দিষ্ট সংখ্যামান প্রকাশ করা হতো। Hieroglyphics সংখ্যা পদ্ধতি নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির উদাহরণ।

 

২। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি (Positional number system) : এ ধরনের সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যার মান ব্যবহূত চিহ্ন বা অঙ্কসমূহের পজিশন বা অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়। এই পদ্ধতিতে সংখ্যা বেস (Base), অঙ্কের অবস্থান (Position) ও র্যাডিক্স (Radix) পয়েন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংখ্যা পদ্ধতির সর্বাধুনিক ধাপ হিসেবে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বর্তমান বিশ্বে ব্যবহূত হচ্ছে। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতির এই সংখ্যায় বিভিন্ন অংশ রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ