এস কে কামরুল হাসান॥
জেলায় প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকরা শতভাগ A+ পাওয়ানোর আশ্বাস দিয়ে কোচিং শুরু করেছেন। প্রতি শিক্ষার্থীর কোচিং ফি দেড় হাজার টাক। তারা শতভাগ A+ পাওয়াতে ও সক্ষম হচ্ছেন। এর রহস্য কি প্রশ্ন ফাঁস, জানতে চায় সাধারন জনগন?
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী পরীক্ষায় বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এর মধ্যে শতভাগ কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতিতে (সৃজনশীল) প্রশ্ন প্রণয়ন, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা বাতিল, নতুন সফটওয়ারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে প্রশ্ন বিতরণ, আগের চেয়ে প্রশ্নসেট বেশি ছাপানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার প্রায় প্রতিটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড নিয়ে সারাদেশে সৃষ্টি হয়েছে বির্তক। এ কারণে সমাপনী–ইবতেদায়ি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আরও সর্তকতা অবলম্বন করছে মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাসিক সমন্বয় সভায় পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্নপত্র থেকে এমসিকিউ (নৈর্ব্যক্তিক) বাদ দিয়ে রচনামূলক কী কী প্রশ্ন যুক্ত করা যায় সে বিষয়েও কাজ শুরু হয়েছে।
সফট্যাওয়ার এর মাধ্যমে আগে প্রশ্ন পত্র বিতরণ করতে ২৫ দিন সময় লাগতো । বর্তমানে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে তা ৮ দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে। আগে মোট ৬ সেট প্রশ্ন পত্র তৈরি করা হতো । বর্তমানে তা ৮ সেট করার সিদ্ধান্ত করা হয়েছে । প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এক সভায় মন্ত্রনালয়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ প্রাথমিক শিক্ষা প্রাশাসনের উদ্ধতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান ২৫ শে ফেব্রেুয়ারী সভায় মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রাথামিক পরিক্ষায় বহু নির্বাচনি প্রশ্ন তুলে দেওয়া সমীচীন হবে বলে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন ।