এস কে কামরুল হাসান : সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড় সংলগ্ন ট্রাফিক পুলিশ বক্সের ৩০ গজ দুরত্বে ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগায়, চলছে যৌন মিনি পতিতলায় ব্যাবসা, এবং সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ লাইন হতে ৩০০ গজ দূরত্বে অবস্থিত পদ্মা আবাসিক হোটেল এবং স্বদেশ আবাসিক হোটেল সাইনবোর্ডে নাম ব্যবহার করে রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ও দেহ ব্যবসা।
সাতক্ষীরা শহরে দিনের পর দিন অলিতে গলিতে গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেলের নামে রমরমা মাদক ও দেহ ব্যবসা। ফলে বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়। ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে যুব সমাজ। অল্প সময়ে অতি লাভজনক হওয়ায় একটি হোটেল থেকে একাধিক হোটেল গড়ে তুলেছে সংশ্লিষ্টরা। মাঝে মধ্যেই অভিযান চালান হয় এবং সিলগালা করা হয় হেটেল কিন্তু দিন কতক যেতে না যেতেই বিভিন্ন কৌশলে কখনও নাম পরিবর্তন করে আবার খোলা হয় এসব আবাসিক হোটেলগুলো। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে দালালদের মাধ্যমে অল্প বয়স্ক তরুনী যৌনকর্মী এনে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে এই দেহ ব্যবসা।
সাতক্ষীরা খুলনা রোড মোড় সংলগ্ন পদ্মা আবাসিক হোটেল এবং স্বদেশ আবাসিক হোটেল সাইনবোর্ডে নাম ব্যবহার করে রমরমা ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ও দেহ ব্যবসা। যার পরিচালনায় নোয়াখালী জেলার জনৈক বেলাল হোসেন এর নাম থাকলেও প্রকৃতপক্ষে মালিক আজহারুল ইসলাম (জনি) জন্ম ভারত পঁঞ্চিম বঙ্গে বশির হাট, পিতা আব্দর রহমান ( কসাই )। যার উত্থান শুরু হয় কসাই থেকে। সমপ্রতি সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনের পার্শ্বে তার আলিশান বাড়ি রয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া কসাই এর পাশাপাশি তিনি মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত বলে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়। বর্তমানে সে একটি হোটেল থেকে একাধিক হোটেলের মালিক হয়েছে , এবং এছাড়া বিপুল পরিমান সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, জনি নিজেকে সরকার দলীয় নেতা এবং প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় এসব কর্মকান্ড করে দাপট দেখিয়ে অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ও মাদক ব্যবসা। সাতক্ষীরা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এখানে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বিভিন্ন মাদকদ্রব্য আসছে। এখানে হাত বাড়ালেই মাদক, পা বাড়ালেই পতিতালয়। এই ভাবেই চলছে আবাসিক হোটেলের অন্তরালে দেহ ব্যাবসা । এই ব্যাপারে স্থানীয় নয় পত্র-পত্রিকায় একাধিক বার সংবাদ প্রকাশিত হলেও আইন শৃঙ্খালা বাহিনীর কোন টনক নড়েনি,
নাম বলতে অনিচ্ছুক এক যৌনকর্মী জানান,তার এক সপ্তাহ থাকার কন্টাক থাকলেও তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর করে আটক রেখে আরও কয়েকদিন থেকে আরও বেশী টাকা আয় করে দিতে হবে, কথা না শুনলে ম্যানেজারের কাছে তার কাজের পাওনা টাকা না দেওয়ার হুমকি দেয়। শুধু তাই নয় অনেক যৌনকর্মী ভুক্তভোগীদের অভিযোগ মানুষ নামের এই কসাই হোটেল মালিক তাদের দেহ বিক্রির টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে একাধিক। অল্প দিনে এসব পতিতালয়ের মালিক কোটিপতি বনে গেছেন।
উল্লেখ্য সাতক্ষীরা শহরে দীর্ঘদিন ধরে একই জায়গায় এই অবৈধ ব্যবসা চললেও মাত্র ৩০ গজ দূরত্বে সারাদিন পুলিশ কর্তব্যরত থাকলেও কোন প্রশাসনের বা কতৃপক্ষের নজর পড়ে নি বলে এই ধরণের অপরাধীরা ধরাছোয়ার বাইরে থাকে বলে সাধারণ মানুষ মনে করে। যার ফল¯্রুতিতে জনি প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে এই ধরনের ব্যবসা এবং নিজেকে সরকারদলীয় নেতা এবং অনেক বড় মাপের নেতাদেরকে ম্যানেজ করে চলেন বলে সদর্পে গর্ব ভরে বিভিন্ন চায়ের আড্ডায় বলে বেড়ান বলে জানা যায়। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ – প্রশাসন থাকতেই সাতক্ষীরার কেন্দ্রবিন্দুতে অর্থ্যাৎ সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে কয়েক গজ দূরত্বে এই ধরণের অবৈধ ব্যবসা কীভাবে চলে তা সাধারণ মানুষ সহ সচেতন মহলের বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে জনির মোবাইল ফোনে যেগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যবহ্নত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বিভিন্ন সময় পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হলেও টনক নড়েনি কতৃপক্ষের। অথচ বিগত কয়েক বছর আগেও বিভিন্ন সময় এসব পতিতালয় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সিলগালা করে দেওয়া হলেও পরে তা আবার কয়েকদিন যেতে না যেতেই খুলে দেওয়া হয়। এই অসামাজিক ঘৃণ্য ব্যবসা বন্ধ না হলে সাতক্ষীরার সামাজিক অবস্থান একসময় মুছে যাবে। এজন্য এই ঘৃণ্য ব্যবসা বন্ধের জন্য সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনের উদ্ধর্তন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ মানুষ এবং সচেতন মহল।