• বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে উন্নীত করতে সংস্কার হচ্ছে: ড. ইউনূস আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সিরিয়ার অন্তবর্তী প্রেসিডেন্টের আঙ্কারায় বৈঠক বাংলাদেশ ব্যাংকে যে কোনো সময় অভিযান, খালাস পেলেন শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজাপাপ্ত সব আসামি গাজাবসীকে ‘অন্য কোথাও’ সরিয়ে উপত্যকা দখল করবে যুক্তরাষ্ট্র মেসি, ম্যারেডোনা কিংবা পেলে নন, তিনি নিজেই সর্বকালের সেরা বাড়তি সুবিধা সহ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার সুখবর কোটা বহালের দাবিতে জাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা তক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

গঙ্গাচড়া শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতি, সরকারি নীতিমালা লঙ্ঘন করে বদলী বাণিজ্য

আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮

রংপুর অফিস॥
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, উৎকোচ গ্রহণ ও বদলী নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে সহকারি শিক্ষক পদে সর্বাধিক ১০% পদের অধিক উপজেলার বাইরে থেকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক শিক্ষক বদলী করায়, বদলীকৃত শিক্ষদের স্ব-স্ব উপজেলায় ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে সচিব প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয় গঙ্গাচড়া উপজেলায় ১০% এর অধিক শিক্ষক বদলী করা হয়। যা পরিপত্র বহির্ভূত। গত ২১ মার্চ ২০১৮ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটি বদলীর সর্বশেষ নীতিমালা যার স্মারক নং- ৩৮.০০৮.০২২.০০.০০২.২০১১-৪৩৪ তারিখ ৫ জুলাই ২০১৫ এর আলোকে শিক্ষা কমিটির সভায় গৃহিত মোট পদের ১০% এর বেশি শিক্ষক বদলী করা যাবে না এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসার উপজেলাধীন বিদ্যালয়ের বাইরে থেকে বদলীকৃত শিক্ষকদের হাল নাগাদ তালিকা সংশ্লিষ্ট রেজিষ্টার সংরক্ষণ করতে বলা হয়। গত ৪ এপ্রিল ২০১৮ উপজেলা পরিষদ কার্যালয় থেকে উপজেলার বহিরাগত শিক্ষক ১০% এর মধ্যে কতজন শিক্ষক কর্মরত আছেন তা হালনাগাদ তালিকা চেয়ে শিক্ষা অফিসারকে পত্র প্রেরণ করা হয়। যাহার স্মারক নং- উপকা/গংগা/রং-২০১৮-৪/১(৩)। নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও শিক্ষা অফিসার পত্রের জবাব দেননি। উপজেলা শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সর্বশেষ শিক্ষক বদলীর নীতিমালা ভঙ্গ করে অন্য উপজেলা থেকে এ উপজেলায় শিক্ষক বদলী করেন। যার ফলে সংশ্লিষ্ট এই উপজেলায় শূন্য পদ না থাকায় স্থানীয় মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষক নিয়োগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাপ্ত অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের পদ রাজস্ব ৪২৭ জন, ১ম ধাপ জাতীয়করণ পদ ৩৩২ জন, পিইডিপি সহকারী শিক্ষকদের পদ ৮৪ জন, ১৫০০ বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প ২টি বিদ্যালয়ে ৮ জন, ২য় ধাপ জাতীয়করণ ৪টি বিদ্যালয়ের মোট ১৬, সর্বমোট ৮৬৭ জন। ৮৬৭ জনের ১০% হচ্ছে প্রায় ৮৭ জন কিন্তু এ যাবত বহিরাগত শিক্ষক এই উপজেলায় ১৩৭ জনের বেশি বদলী করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার অনিয়ম, দুর্নীতি ও উৎকোচের বিনিময়ে শিক্ষক বদলী করা হয়েছে অত্যন্ত দুঃখ জনক। এ ব্যাপারে গঙ্গাচড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম আসাদুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উৎকোচের বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন উপরের নির্দেশ মোতাবেক নীতিমালা অনুযায়ী শুন্যপদের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন বহিরাগত শিক্ষক ১০% এর মধ্যে কতজন শিক্ষক কর্মরত আছেন তার হাল নাগাদ তালিকা চেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে পত্র প্রেরণ করেছি। তিনি অদ্যবধি পত্রের জবাব দেননি। তিনি আরো বলেন, আমি জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে আমার জবাবদিহিতা থাকায় সরেজমিনে যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতঃ বদলীকৃত শিক্ষকদের স্ব-স্ব উপজেলায় ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থাসহ উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম আসাদুজ্জামান এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ