• বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে উন্নীত করতে সংস্কার হচ্ছে: ড. ইউনূস আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সিরিয়ার অন্তবর্তী প্রেসিডেন্টের আঙ্কারায় বৈঠক বাংলাদেশ ব্যাংকে যে কোনো সময় অভিযান, খালাস পেলেন শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজাপাপ্ত সব আসামি গাজাবসীকে ‘অন্য কোথাও’ সরিয়ে উপত্যকা দখল করবে যুক্তরাষ্ট্র মেসি, ম্যারেডোনা কিংবা পেলে নন, তিনি নিজেই সর্বকালের সেরা বাড়তি সুবিধা সহ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার সুখবর কোটা বহালের দাবিতে জাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা তক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ভূঞাপুর নিকরাইলে পাখির কৃত্তিম অভয়াশ্রম

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি॥
প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবল থেকে পাখিদের বাঁচানো ও নিরাপদে আশ্রয় দেওয়ার জন্য চলছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইলে কৃত্রিম বাসস্থান ব্যবস্থা। গতকাল বৃহস্পতিবার পাখি নিরাপদে থাকার জন্য গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসানোর  ব্যবস্থা করে দেয় ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল আঞ্চলিক বিবর্তন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ ইমরান প্রধান রবিন । বৈশাখের ক্রমাগত তাপদাহের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঝড়-বৃষ্টিতে পাখিরা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ে। অনেক পাখি মারা যায় প্রকৃতির আপন খেয়ালে। এসব কথা চিন্তা করে পাখি রক্ষা ও পাখিদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ভূঞাপুর, নিকরাইল আঞ্চলিক বিবর্তন ক্লাবের  উদ্যোগে পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে পাখি রক্ষায় বিভিন্ন গাছে গাছে মাটিরহাঁড়ি বসিয়ে দিয়েছেন। এখনও চলছে এই হাঁড়ি বসানোর কার্যক্রম। প্রথম পর্যায়ে নিজ বাজার ও গ্রামের গাছগুলোতে শতাধিক হাঁড়ি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমের গ্রামের বিভিন্ন গাছে আরো এক হাজার হাঁড়ি বসানো হবে বলে জানা গেছে।
নিকরাইল আঞ্চলিক বিবর্তন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান প্রধান রবিন বলেন, “পাখির নিরাপদ আশ্রয়, পাখি রক্ষা ও তাদের ডিম দেয়ার জন্য হাঁড়িগুলো বসানো হয়েছে। এতে ঝড়, বৃষ্টি, রোদ থেকে পাখিরা বাঁচবে। হাড়িগুলোতে ছোট ছোট ছিদ্র করে দেয়া হয়েছে বৃষ্টির পানি ঢুকলেও নিচের ছিদ্রগুলো দিয়ে পড়ে যাবে। তাছাড়া হাড়ির দুদিকে বড় দুটি মুখ রাখা হয়েছে। একদিক দিয়ে পাখি ঢুকলে আবার সোজা অপর মুখ দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে। এতে পাখির হাঁড়ির মধ্যে ঢুকতে ও বের হতে কোন বাধা বা সমস্যা হবে না। আশা করছি আগামী দু’মাসের মধ্যে গ্রামের প্রায় এক হাজার গাছে হাড়ি বসানো হবে। এতে বিলুপ্তপ্রায় পাখিগুলো রক্ষা পাবে এবং হাঁড়িগুলোতে বাসা বেধে বংশ বিস্তার করতে পারবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ