• বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দেশের শ্রম আইনকে আইএলওর মানদণ্ডে উন্নীত করতে সংস্কার হচ্ছে: ড. ইউনূস আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সিরিয়ার অন্তবর্তী প্রেসিডেন্টের আঙ্কারায় বৈঠক বাংলাদেশ ব্যাংকে যে কোনো সময় অভিযান, খালাস পেলেন শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় সাজাপাপ্ত সব আসামি গাজাবসীকে ‘অন্য কোথাও’ সরিয়ে উপত্যকা দখল করবে যুক্তরাষ্ট্র মেসি, ম্যারেডোনা কিংবা পেলে নন, তিনি নিজেই সর্বকালের সেরা বাড়তি সুবিধা সহ মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার সুখবর কোটা বহালের দাবিতে জাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা তক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

পিরোজপুরে নির্মিত হয়েছে একটি সম্ভাবনাময় ডেইরী ফার্ম

আপডেটঃ : শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮

পিরোজপুর প্রতিনিধি॥
বগুড়া আরডিএ প্রকল্পের আওতাধীন শ্রীকান্ত মজুমদার ফাউন্ডেশন পরিচালিত ক্যাটল গবেষণা কেন্দ্র একটি সম্ভাবনাময় ডেইরী ফার্মে পরিনত হয়েছে। ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিরোজপুর জেলার জুজখোলা গ্রামে এই ক্যাটল গবেষণা কেন্দ্রটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দুই তলা ভবনটির নিচ তলায় ৩২ টি গরু পালনের ব্যাবস্থা রাখা হয়েছে। আর দ্বিতীয় তলায় ফার্ম পরিচালনার কর্মচারীদের আবাসিক ব্যাবস্থা ও গরুর খাদ্য সংরক্ষণের গোডাউন রাখা হয়েছে। ডা. এসকে মজুমদার ফাউন্ডেশন ফার্মটি পরিচালনার জন্য ৩ জন কর্মচারী নিয়োগ করেছে। গরুর পরিচর্যা করার জন্য রয়েছে সন্তোষ মন্ডল ও সমীর মজুমদার। রয়েছে নিয়োগকৃত পশু ডাক্তার উজ্জল কুমার মন্ডল। বর্তমানে এখানে ৩০টি গরু রয়েছে। ৯টি গরু দুধ দিচ্ছে। এখন প্রতিদিন সকাল বিকালে প্রায় ১০০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। তবে অধিকাংশ গাভী প্রসুতি হওয়ায় বর্তমানে দুধ কম পাওয়া যাচ্ছে। নিয়োগকৃত পশু ডাক্তার উজ্জল কুমার মন্ডল জানান অবশিষ্ট গাভীগুলো বাচ্চা দিলে আগামীতে ১৩০ লিটার থেকে ১৬০ লিটার দুধ পাওয়া যেতে পারে। প্রকল্প ভবনটি আরডিএ নির্মান করলেও এখানকার গরুগুলো ও কর্মচারী বিনিয়োগ করেছে ডা. এসকে ফাউন্ডেশন।
গরুগুলোকে যে পর্যাপ্ত যতœ সহকারে পরিচর্যা করা হয় তার প্রমান মেলে ফার্মের গরুগুলোর স্বাস্থ দেখেই। এমন নিখুত স্বাস্থবান গরু খুব একটা দেখা যায়না। নিয়ম মেনে খাদ্য প্রস্তুত করা হয়। পশু ডাক্তার উজ্জল মন্ডল জানান তিনি ১৪টি পশুখাদ্য মিশ্রণ করে দানাদার খাবার তৈরি করেন। দানাদার খাবারের মিশ্রণগুলো হচ্ছে- ভূট্রা ৩৫%, অটোরাইস পালিশ ৫%, ডিওবি রাইস ব্রান অয়েল কেক ২৭%, সরিষার খৈল ৩%, র‌্যাপসিড খৈল ৩%, সানফ্লাওয়ার অয়েল কেক ৫%, মোলাসেস ৩%, গমের ভূষি ৭%, সয়াবিন খৈল ২%, মুগ ভূষি ৪%, ডিসিপি ০.৭৫%, লবন ১%, লাইম ষ্টোন ১% ও ভিটামিন প্রিমিক্স ডিবি ০.২৫%। প্রতি ১০০ কেজি দৈহিক ওজনে ১.২৫ কেজি দানাদার খাবার প্রতিটি গাভীকে দেওয়া হয়। এখানকার সবচেয়ে বড় গাভীটির ওজন ৫২৫ কেজি। আর এই গাভীটির দুধ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ লিটার। প্রতিদিন দুধ ক্রয় করার জন্য নির্দিষ্ট ক্রেতা ফার্মে এসে দুধ নিয়ে যায়। প্রতিলিটার বর্তমান মূল্য রয়েছে ৪০ টাকা। ফার্মটিতে গরমকালে অধিক উষ্ণতার হাত থেকে গরুগুলোকে রক্ষা করার জন্য রয়েছে অনেকগুলো ফ্যান। আর শীতকালে ফার্মের চারপাশে ছালার চট দিয়ে ঠান্ডা বাতাস প্রতিরোধের ব্যাবস্থা রয়েছে। রয়েছে আলাদা খাদ্য পানির ব্যাবস্থা।
পশু ডাক্তার জানান, এখানকার গরুগুলোকে অত্যান্ত যতœ করা হয়। ফার্মটির কোথাও ময়লা আবর্জ্যনা নেই। সে কারনেই এখানকার গরুগুলোর বিশেষ কোন রোগ বালাই নেই। তবে মাঝে মাঝে বাদলা, খুড়া, এ্যান্থ্রাক্স/তরকা, গলাফুলা ও দুধ দেয়া গাভীর ম্যাসটাইটিস রোগ দেখা যায়। ৪ মাস পর পর কৃমির ওষুধ ব্যাবহার করা হয়। বাদলা, খুড়া, এ্যান্থ্রাক্স/তরকা,  ও গলাফুলা  রোগের ভ্যাকসিন দেয়া হয়। ফার্মটির নিজস্ব ঘাস চাষের জমি রয়েছে। সেখানে নিচু জমিতে চাষযোগ্য পাড়াঘাস চাষ করা হয়। বছরের অধিকাংশ সময়ই ঘাস জন্মায়। ফলে গরুগুলো নিয়মিত সবুজ ঘাস খেতে পায়। ফার্মটির বায়োগ্যাস প্লান্টও রয়েছে। ৩০টি গরুর গোবর দিয়ে যে বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মিত হয়েছে তাতে প্রায় ৩২টি পরিবারে বায়োগ্যাস সংযোগ দেয়া সম্ভব বলে ধারনা করা হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ