স্মৃতিশক্তি লোপ, বৃদ্ধিবৃত্তি হানির মত বিষয় যা প্রতি দিনের জীবনকে বিপর্যস্ত করে এমন সব সমস্যাই ডিমেনশিয়া। নানা রূপেই এর প্রকাশ পায়। যেমন-ভাসকুলার ডিমেনশিয়া, পার্কিনসন্স্, হাটিংটনস্ আর সব চেয়ে বেশি দেখা যায় আলজিমার্স। ডিমেনশিয়ার কিছু কিছু ঝুকিতো ঠেকানো যায়।
lমাথায় আঘাত বা আহত হওয়া
lথাইরয়েড কাজ কর্মে বিঘ্ন
lশরীর চর্চার অভাব হলে
lঅপুষ্টি, ভিটামিন ঘাটতি
lওষুধ গ্রহণ যা ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
lহূদরোগের ঝুকি যেমন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচুমান কোলেস্টেরল
lএলকোহল পান
lধূমপান ইত্যাদি।
সাধারণত নয়ভাবে এই ঝুকি কমানো যায়-
ধূমপান বর্জন করা-
ধূমপানে শরীরের হয় বড় ক্ষতি, মগজের ক্ষতিও হয় অনেক। গবেষকগণ বলেন, অধূমপায়ীদের তুলনায় ধূমপায়ীদের আলজেইমার্স হওয়ার ঝুঁকি ৪৫% ভাগ বেশি। তাই এই ক্ষতির অভ্যাস অবশ্য বর্জন করা উচিত।
শরীরচর্চা করতে হবে-
হূদযন্ত্র ও রক্তনালী মজবুত রাখতে হলে রক্ত চলাচল সচল রাখতে হবে। হূদযন্ত্রকেও রাখতে হবে সচল। তাই প্রতিদিন অন্তত: আধা ঘন্টা শরীর চর্চা করলে ক্রনিকসব রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
ভিটামিন বি-
বি ভিটামিন হোমোসিসটিন নামে একটি অনুর মান হ্রাস করে, যা রক্তনালীদের ক্ষতি করে। উচ্চ মান থাকলে বাড়ায় স্ট্রোক, ও অন্যান্য রক্তনালী সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বি ভিটামিন খেলে বয়সী বুদ্ধি বৃত্তির অধোগতি কিছুটা কমানো যায়।
ভিটামিন ডি-
গবেষগণ ভিটামিন ডি মান হ্রাস হওয়ার সাথে বুদ্ধিবৃত্তি লোপ পাওয়ার একটি যোগসূত্র বা সম্পর্ক খুজে পেয়েছেন। ডিমেনশিয়ার উপসর্গ হয়। তাই ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট সুফল দিতে পারে।
মগজকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করুন-
গবেষকগণ দেখেছেন, যারা একটি ভাষা জানেন তাদের ডিমেনশিয়া উপসর্গ দেখা দেওয়া, যারা একাধিক ভাষা জানেন তাদের তুলনায় ৫ বছর বিলম্বিত হয়েছে। মগজকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করা গেলে মগজের অনেক উপকার হয়। সামান্য শব্দ জব্ধ খেলেও অনেক সময় স্মৃতি শক্তি অধোপতি দেরী করানো যায় অন্তত: প্রায় ২-৫ বছর।
মাথায় আঘাত লাগা ঠেকানো-
বাইক চালালে মাথায় হেলমেট পরে নিতে হবে। কলকেলি বা শীতকালীন স্প্রোটর্স খেলায় মাথাকে সুরক্ষা দিতে হবে মগজের আঘাত ঠেকানোর জন্য।
মদ্যপান বর্জন করতে হবে-
মদ্যপানে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই স্মৃতিশক্তি লোপ ঠেকাতে মদ্যপান একেবারেই বর্জন করতে হবে।
শরীরের খেয়াল রাখতে হবে-
নিজের ওজন, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল ও সুগার পরিমাপ করে দেখতে হবে নিয়মিত। ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি লোপ সমস্যার অন্যতম সূচক হলো হূদস্বাস্থ্য ও বিপাক স্বাস্থ্য। তাই সুস্থ শরীর ও সুস্থ মনও চাই মগজের সুস্থতার জন্য।
সামাজিকতা ও সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখা-
নিঃসঙ্গতার ক্ষতিকর প্রভাব এড়ানো সম্ভব অন্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্ক বজায় রেখে। বন্ধুর সঙ্গে বা জীবন সঙ্গীর সঙ্গে হাটা পথে, উদ্যানে, পার্কে হাটুন একসঙ্গে। আড্ডা জামান বেড়ান এক সঙ্গে। নতুন কিছু করুন, মগজ চাঙ্গা হয়ে যাবে।