তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্ত সংলগ্ন খড়িবাড়ি পিয়ার সরদার উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা আর্থিক সুবিধা নিয়ে সাজানো নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে জাহিদ হোসেন নামের অযোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। স্থানীয়রা এই নিয়োগ পক্রিয়া বাতিল ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পুনঃনিয়োগ দেয়ার দাবিতে চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল বৃহ¯প্রতিবার চেয়ারম্যান রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়রা জানান, ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি ও মেথা নয় অর্থের বিনিময়ে এই নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, ডোনেশানের নামে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে জাহিদকে নিয়োগ করা হলেও স্কুলের ফান্ডে একটি টাকাও জমা করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, এই নিয়োগ নিয়ে এলাকার বিবাদমান দুটি পক্ষের মধ্যে টান টান উত্তেজনার সুষ্টি হয়েছে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এদিকে স্থানীয়দের বঞ্চিত করে বহিরাগতকে নিয়োগ করায় এই নিয়োগ কেন্দ্র স্থানীয়দের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় এলাকাবাসি শঙ্কিত হয়ে উঠেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক বলেন, রবিউল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে স্কুলটি অনিয়ম ও দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিগত ২০১৬ সালে খড়িবাড়ি পিয়ার সরদার উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথমবার ও ২০১৭ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তাদের চাহিদামত দরদাম না উঠায় তা দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তৃতীয়বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় ও বড় অঙ্কের আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে সাজানো নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে অযোগ্য প্রার্থী জাহিদ হোসেনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৮ সালের ২১ মার্চ ৯ জন আবেদনকারি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছে এদের মধ্যে জাহিদের অবস্থান ৫ম হলেও প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা আর্থিক সুবিধা নিয়ে তাকেই নিয়োগ করা হয়েছে বলেও ব্যাপক গুঞ্জন বইছে। এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যথাযথ নিয়মানুসারে নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এব্যাপারে স্কুলের সভাপতি আহম্মদ সরদার বলেন, নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ন দেখভাল করেছেন প্রধান শিক্ষক তাই এবিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নাই। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল খাঁন বলেন, নিয়োগের বিষয়ে তাদের কোনো হাত নাই, কমিটির সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত। তিনি বলেন, এতোদিন পরে নিয়োগের বিষয়ে কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়। #