রাজশাহী(তানোর) প্রতিনিধি॥
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) ভিআইপি সংসদীয় আসন এবার অনেকের টার্গেট তবে জনমত জরিপে এগিয়ে গোলাম রাব্বানী। জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে প্রায় শত বছরের রাজনৈতিক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান ও তিন প্রজন্মের জনপ্রতিনিধি হওয়ার গৌরবময় বিষয়টিই মূলত প্রার্থী হবার দৌড়ে অন্যান্যদের থেকে রাব্বানীকে যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রেখেছেন। প্রায় একটানা শত বছর ধরে রাব্বানীর পরিবার থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে আসছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, তিন প্রজন্মের জনপ্রতিনিধি ও বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রাথী হবার্র সবুজ সঙ্কেত পেয়েছেন বলে ব্যাপক গুঞ্জন বইছে ও এলাকার মানুষের মূখে মূখে প্রচার হচ্ছে। এদিকে এমন প্রচারের পর পরই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলকায় কেউ কেউ আবার মিস্টি বিতরণ করে আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করেছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। ইতমধ্যে রাব্বানিকে ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে গণজোয়ার। এতে সাম্ভব্য অনেক হেভিওয়েট প্রার্থীর মাথায় বাজ পড়েছে চেহারায় বিষন্নতা ও হতাশার ছাপ ফুটে উঠেছে।
জানা গেছে, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে তথা কথিত অপারেশন ‘ক্লিন হাট ও ওয়ানইলেভেনের বির্তকিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এর সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চেনামূখ অধিকাংশ নেতা এলাকা ছাড়া হয়ে আতœগোপণ করেছিল, তবে ব্যতিক্রম ছিলেন এক জন গোলাম রাব্বানি তিনি তখনও বীরদর্পে রাজনীতির মাঠে চষে বেড়িয়েছেন ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। আবার দেশে ওয়ানইলেভেনের সময়ও বিএনপি-আওয়ামী লীগের চেনামূখ অধিকাংশ নেতা এলাকা ছাড়া হয়ে আতœগোপণ করেছিলেন। দেশের চলমান রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম প্রতিকুল অবস্থার সময়েও গোলাম রাব্বানির আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা ছিল, তার কিছু হলে জনবিস্ফোরণ ঘটতে পারে সেই আশঙ্কায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যেও এক ধরণের ভীতি দেখা দিয়েছিল। আর চরম প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে তখনও গোলাম রাব্বানী এলাকায় থেকে রাজনীতির মাঠ চাঙ্গা করার পাশপাশি নেতাকর্মীদের আগলে রাখেন ও এলাকায় চরদলীয় জোট সরকারে বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দেন। রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তার বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে উঠতে না দেয়া, নিজের অবস্থান হারানো ও বশংবদ তৈরীর হিন উদেেেশ্য রাব্বানির মতো রাজনৈতিক তারকা সম্মপন্ন নেতাকে কোনঠাসা করে রাখতে নানা অপতৎপরতা করে চলেছে। তবে রাব্বানির পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হওয়ায় ওই নেতার সেই স্বপ্ন উবে গেছে। অথচ এখানো আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতারা রাজশাহী শহরে বসবাস করছেন এলাকায় তাদের ব্যক্তিগত কাজ ছাড়া তেমন নিয়মিত যাতায়াত করেন না নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখারও প্রয়োজন মনে করেন না। অথচ এখানো ব্যতিক্রম গোলাম রাব্বানী তিনি এখানো গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন ও নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন। তিনি তিন প্রজন্মের জনপ্রতিনিধি হিসেবে এক টানা প্রায় ২০ বছর ধরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকলেও তিনি সেই পথে পা বাড়াননি। এমনকি তার পরে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগে এসে অনেক হাইব্রিড নেতা কোটি কোটি টাকার সম্পদ আহরণ করেছেন, কিšত্ত রাব্বানি এখানো শহরে একটি বাড়ি নির্মাণ করতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে গোলাম রাব্বানি বলেন,তিনি তার পূর্ব পুরুষদের অনুসরণ করে রাজনীতি করেন। তিনি বলেন, অবৈধ পথে বিত্তশীল হয়ে নয় সাধারণ মানুষের কাজ করে সাধারণ মানুষের মাঘে তিনি বেচে থাকতে চান সেই প্রত্যয় ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করেই তিনি এখানো রাজনীতি করে চরেছেন। এসব বিবেচনায় তৃণমূলে জনমত ও জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করে প্রার্থী দেয়া হলেও রাব্বানির প্রার্থী হওয়া কেউ ঠেকাতে পারবেন না তৃণমূলের অভিমত। রাজশাহী তথা বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম রাজনৈতিক সচেতন ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে গোলাম রাব্বানির জন্ম এবং বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ব্রিটিশ আমল থেকে এখানো গোলাম রাব্বানির পরিবারের কেউ না কেউ জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গোলাম রাব্বানির দাদা প্রয়াত হাজী কবির উদ্দীন মন্ডল পঞ্চায়েত প্রধান ও ইউপি প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক টানা প্রায় ৩৫ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার হাত ধরেই তার পুত্র প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ আলী মাহাম পাচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ও ৭৫ থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রায় সাড়ে ৮ একর সম্পত্তি দান করে ফুটবল মাঠ তৈরী ও সাড়ে ৩ একর সম্পত্তি দান করে সেখানে একটি প্রাথমিক ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। তার হাত ধরেই তার সুযোগ্য পুত্র গোলাম রাব্বানী দু’বার পাচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং পরবর্তীতে দু’বার মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে এখানো দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনিও প্রায় সাড়ে ৩ একর সম্পত্তি দান করে সেখানে প্রকাশ আদর্শ গ্রাম করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি ছাত্র জীবনে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তানোর-গোদাগাড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত নাম গোলামা রাব্বানি, দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি ‘রাব্বানি ভাই’ বলে পরিচিত, সবার কাছে তিনি একজন সৎ নেতা ও রাজনীতিকের প্রতিকৃতি, এই অঞ্চলের মানুষ রাজনীতিতে সৎ নেতার উদাহারণ দিতে গিয়ে সবার আগে গোলাম রাব্বানির নামটি উচ্চারণ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি যেমন বিলাস বিমূখ সাদামাটা, তেমনি কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও সর্ব মহলে প্রশংসিত। তাঁর কার্যালয় বা বাড়িতে গিয়ে অন্তত্ব এক কাপ চা পান করেননি এলাকায় এরকম একজন মানুষকেও খুঁজে পাওয়া দুঃস্কর। আবার বিভিন্ন আবদার নিয়ে তার কাছে গিয়ে তার আচরণে দুঃখ-কষ্ট পেয়েছেন এমন এক জনকেও খুজে পাওয়া যাবে না। এমনকি বিরোধীমতের রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা ‘রাব্বানি’ ভাই সম্বোধন করে খুব সহজেই তার কাছে গিয়ে যে কোনো সমস্যা তুলে ধরে সহযোগীতা চাইতে পারেন। রাব্বানি এখনও তার নেতৃত্বের গুণে গণমানুষের নেতা হিসাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমান জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মনে করেন এবং তাদের যে কোনো সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšতু রাব্বানি তাদের কথা শুনেন, চেস্টা করে সেটা পুরুণের না পারলেও কখনো কউকে কস্ট দিয়ে কথা বলেন না বরং নিজে না পারলেও পথ দেখিয়ে দেন। রাব্বানি দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। রাব্বানির মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই। তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতার কারনেই এ অঞ্চলে রাজনৈতিক সহবস্থান সৃস্টি ও জনমনে পরম স্বত্তি ফিরে এসছে। কর্মী-জনবান্ধব, প্রবীণ, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক নেতা গোলাম রাব্বানিকে এবার এমপি হিসেবে দেখতে চাই দলমত নির্বিশেষে তানোর-গোদাগাড়ী অঞ্চলের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। এদিকে আওয়ামী লীগ বিরোধীরা রাব্বানিকেই ভোটের মাঠে শক্ত প্রতিপক্ষ ও সাম্ভব্য প্রার্থী বিবেচনা করে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা এগুচ্ছেন। অপরদিকে গোলাম রাব্বানি এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন এমন খবর এখন প্রায় প্রতিটি মানুষের মূখে মূখে প্রচার হচ্ছে। আর এই প্রচারণার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীনা ও উচ্ছাস লক্ষ্য করা গেছে। আবার প্রচারে এ্যাডঃ মকবুল খা, মতিউর রহমান প্রমূখ থাকলেও আলোচনার শীর্ষে রয়েছে গোলাম রাব্বানী।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলে আওয়ামী লীগ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে রাব্বানির আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা রয়েছে, তাকে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া অনেকটা সহজ হবে। এসব কারণে এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও সাধারণ মানুষ রাব্বানিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিতে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করেছেন। গোলাম রাব্বানী গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে থেকেছেন সামনের সারিতে দিয়েছেন সফল নেতৃত্ব। দল ও জনগণের অধিকার রক্ষার তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ, কর্মী, জনবান্ধব, পরীক্ষিত ও লড়াকু সৈনিক। দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারায় থাকলেও এবং অর্থ উপার্জনের অনেক সুযোগ থাকার পরেও অবৈধ অর্থের মোহে বা লোভ-লালসার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেননি। তিনি তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে থেকে এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। এই সংগ্রাম রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন সূচনার সংগ্রাম। তিনি আওয়ামী লীগকে অর্থ নয় মেধার কাছে জিম্মি রাখতে চান। রাব্বানী বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করতে চান। বিপুল জনসমর্থন ও জনপ্রিয়তা থাকলেও তিনি এমপি প্রার্থী হবার অশুভ প্রতিযোগীতা, কালোটাকা ও শেশী শক্তির কাছে বার বার হার মেনেছেন বলে তৃণমূলের অভিযোগ।
এদিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা দিয়েছেন এবার কারো মনোনয়নপত্র উত্তোলনের সুযোগ নাই। মাঠ জরিপ ও প্রার্থীর জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাই করে কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপত্র নিশ্চিত করা হবে। আর এ ঘোষণার পর পরই এই অঞ্চলের মানুষ গোলাম রাব্বানিকে এমপি প্রার্থী করা নিয়ে আশাবাদি হয়ে উঠেছে। তাদের অভিমত রাব্বানির এমপি হবার সব যোগ্যতা থাকার পরেও কেবলমাত্র প্রার্থী মনোনয়নের অশুভ প্রতিযোগীতার কারণে প্রার্থী হতে পারেননি। কিšত্ত কেন্দ্রীয় কমিটি তৃণমূলের মতামত ও মাঠ জরিপ করে মনেয়ন দেয়ায় এবার সেই অশুভ তৎপরতা কিছুটা হলেও বাধার মূখে পড়বে, আর সেই ক্ষেত্রে গোলাম রাব্বানীর এমপি প্রার্থী হবার উজ্জ্বল সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এসব বিবেচনায় এমপি প্রার্থী হবার দৌড়ে গোলাম রাব্বানী অন্যদের থেকে যোজন যোজন দুরুত্বে এগিয়ে রয়েছেন। এব্যাপারে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানি বলেন, তার ইচ্ছে আছে প্রার্থী হবার দলের হাইকমান্ড থেকেও এমন নির্দেশনার আভাস পাওয়া গেছে, তবে প্রার্থীতা চুড়ান্ত না হলে আগাম কিছু মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে দল থেকে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে ভোটের মাঠে কাজ করবেন।