• বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

রাব্বানীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা তানোরে স্বরণকালের সর্ববৃহত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

আপডেটঃ : সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

তানোর(রাজশাহী) প্রতিনিধি॥
রাজশাহীর তানোরের কামারগাঁ ইউপির ছাঔড় মোহাম্মদপুর গ্রামে স্বরণকালের সর্ববৃহত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রোববার ছাঐড় মোহাম্মদপুর গ্রামের যুবসমাজ বাংলা নববর্ষ বরণ ও পুরুস্কার বিতরণ উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, মুন্ডুমালা পৌর মেয়র, তিন প্রজন্মের জনপ্রতিনিধি ও এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানীকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে রাব্বানীকে প্রধান অতিথি করায় রাব্বানীবিরোধী শিবিরে চরম হাতাশা দেখা দেয় এতে তারা ক্ষুব্ধ ও হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ওই অনুষ্ঠান পন্ড করতে পথে পথে বাধা, একই স্থানে তাদের সভা আহবান ও নানা কৌশল অবলম্বন করেও ব্যর্থ হয়। এদিকে রাব্বানীবিরোধী শিবিরের অনুষ্ঠান বানচালের পরিকল্পনার কথা জানাজানি হলে পুরো এলাকাবাসি চরম বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এলাকার সাধারণ মানুষ এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে দুপুরের পর থেকে দলে দলে মানুষ রাব্বানির ছবি সংবলিত ব্যানার-পোস্টার-ফেস্টুন নিয়ে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে অনুষ্ঠানে যোগদান করে। ফলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশাল জনসভায় রুপ নেয় ও সাধারণ মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয় রাব্বানি। গোলাম রাব্বানি যে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে এখানো জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের এই জনস্রোতের মধ্য দিয়ে তা আবারো প্রমাণ হয়েছে, আবার কেনো তাকে গণমানুষের নেতা বলা হয় সেটিও প্রমাণ হয়েছে। এর মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের পরাজয় ও সাধারণ মানুষের বিজয় হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছে, সাধারণ মানুষের এই বিজয়ের মধ্যে দিয়ে রাব্বানি মনোনয়ন প্রতিযোগীতার দৌড়ে অন্যদের থেকে অনেকটা এগিয়ে গেছে।
জানা গেছে, রাব্বানিকে ঘিরে সাধারণ মানুষের বিপুল আগ্রহ, উৎসাহ ও উদ্দীপনার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাব্বানীর বিরোধীশিবির রণেভঙ্গ দিয়েছে। তৃণমূলের অভিমত, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রাব্বানীর কোনো বিকল্প নাই তিনি ইতমধ্যে এমপি ফারুক চৌধূরীর গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। একদিকে রাব্বানী মনোনয়ন পেলে রাজনীতিতে এমপি ফারুকের একচ্ছত্র আধিপত্যর অবসান হবে,অন্যদিকে এমপি ফারুক চৌধূরী বা অন্যকেউ মনোনয়ন পেলেও মাহাম পরিবার বা রাব্বানীকে বাইরে রেখে ভোট করতে পারবেন না এটা অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে রাব্বানিকে ঘিরে অনুষ্ঠানে জনস্রোতের মাধ্যমে। আর এসব বিবেচনায় রাব্বানী এখন এমপি ফারুক চৌধূরীর মনোনয়নের বিষয়ে প্রধান বাধা হয়ে উঠেছেন বলে রাব্বানী শিবিরের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। তৃণমূলের অভিমত রাজনৈতিক অঙ্গনে রাব্বানীর হাজারো কাজের মধ্যে দু-একটা কাজ নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে এটা যেমন সত্য, তেমনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রয়াত মাহাম পরিবার ও রাব্বনির যেই অবদান রয়েছে তা অশিকার করা যাবে না। এসব বিবেচনায় রাব্বানিবিরোধী শিবিরে চরম হতাশা ফুটে উঠে, দিয়েছে রণেভঙ্গ।
জানা গেছে, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগে রাব্বানীবিরোধী শিবির বলে পরিচিত একশ্রেণীর বগী (আক্যামা) নেতার নেতৃত্ব গড়ে উঠা একটি চক্র আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে গোলাম রাব্বানীকে মাইনাস করতে নানা পরিকল্পনা ও কৌশল অবলম্বন করে। অথচ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে রাব্বানী পরিবারের একচ্ছত্র আধিপত্যর কথা ভুলে গিয়ে তাকে তারা দলের বাইরে রাখতে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ও নানা কুট-কৌশলের আশ্রয় নেয়। এমনকি রাব্বানীকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি শুরু করে দীর্ঘদিন রাব্বানীকে দলের বাইরে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে তারা মনে করেন আওয়ামী লীগে রাব্বানী অধ্যায় শেষ সেই দিবাস্বপন্ন নিয়ে তারা মহাধুমধামে তৃপ্তির ঢেঁকুর গেলেন। কিšত্ত আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য তারা মাঠে নেমে আওয়ামী লীগের আদর্শিক তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণের তোপের মূখে প্রতিকুল পরিস্থিতি বুঝতে পেয়ে তারা রণেভঙ্গ দেয়, উবে যায় সব স্বপ্ন ভেস্তে যায় সব পরিকল্পনা। রাজনীতির মাঠে নেমে তারা বুঝতে পেরেছে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যাকেই দেয়া হোক প্রয়াত মাহাম পরিবার ও গোলাম রাব্বানীকে উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের বিজয় ঘটানো কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রায় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী মাহাম পরিবার ও বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী তিন প্রজন্মের জনপ্রতিনিধি গোলাম রাব্বানী উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সফলতা অর্জন করাটাও সম্ভব নয় সেটা তারাও উপলব্ধি করেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এখানো প্রয়াত মাহাম পরিবার ও তার পুত্র গোলাম রাব্বানীর কোনো বিকল্প নাই তাকে ঘিরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে। তৃণমূলের অভিমত, আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূলের মতামত, নেতার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, পারিবারিক ঐতিহ্য, নেতাকর্মীদের মনোভাব ইত্যাদি বিবেচনা করে মনোনয়ন দেয়া হলে গোলাম রাব্বানী আওয়ামী লীগের (মনোনয়ন) দলীয় প্রার্থী হবে এই বিষয়ে কোনো সংশয় নাই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তানোরে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের রাজনীতিতে প্রয়াত মোহাম্মদ আলী মাহাম পরিবার ও গোলাম রাব্বানীর বিকল্প তেমন কোনো নেতৃত্ব এখনো গড়ে উঠেনি সেই সম্ভবনাও নাই। মাঠপর্যায়ের তৃণমূলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার জরিপের ভিত্তিত্বে ইতমধ্যে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড আওয়ামী লীগের (সাম্ভব্য)  দলীয় প্রার্থী হিসেবে গোলাম রাব্বানীকে মাঠে নামার জন্য সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। হাইকমান্ডের সবুজ সঙ্কেত পেয়ে নির্বাচনী এলাকায় ইসলামী জালসা, ফুটবল-ক্রিকেট-ভলিবল ইত্যাদি আয়োজন ও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের সক্রিয় করতে ব্যাপক প্র¯ত্ততি নিয়ে এগুচ্ছে আবার মূলত রাব্বানীকে ঘিরেই তৃণমূলে দলের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে। অথচ এমন জননন্দিত ও তারকাখ্যাতি সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতাকে মাইনাস করার পরিকল্পনা কার স্বার্থে ?। এদিকে গোলাম রাব্বানীর আমন মহিমায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মকান্ড গতিশীল করতে নিরবে কাজ করে চলেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী তথা বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম রাজনৈতিক সচেতন ও সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে গোলাম রাব্বানির জন্ম তিনি বর্নাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। ব্রিটিশ আমল থেকে এখানো গোলাম রাব্বানির পরিবারের কেউ না কেউ জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। গোলাম রাব্বানির দাদা প্রয়াত হাজী কবির উদ্দীন মন্ডল পঞ্চায়েত প্রধান ও ইউপি প্রেসিডেন্ট হিসেবে এক টানা প্রায় ৩৫ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার হাত ধরেই তার পুত্র প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ আলী মাহাম পাচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ও ৭৫ থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রায় সাড়ে ৮ একর সম্পত্তি দান করে ফুটবল মাঠ তৈরী ও সাড়ে ৩ একর সম্পত্তি দান করে সেখানে একটি প্রাথমিক ও একটি উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন। আবার কলমা ইউপির কন্দপুরে তিন একর জমি দান করে কন্দপুর স্কুল নির্মাণ করেছেন। তার হাত ধরেই তার সুযোগ্য পুত্র গোলাম রাব্বানী দু’বার পাচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং পরবর্তীতে দু’বার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়ে এখানো দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তিনিও প্রায় সাড়ে ৩ একর সম্পত্তি দান করে সেখানে প্রকাশ আদর্শ গ্রাম করেছেন। এছাড়াও তিনি প্রায় ১০ বছর ধরে রাজশাহী জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি ছাত্র জীবনে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তানোর-গোদাগাড়ীর রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত নাম গোলামা রাব্বানি, দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে তিনি ‘রাব্বানি ভাই’ বলে পরিচিত, সবার কাছে তিনি একজন সৎ নেতা ও রাজনীতিকের প্রতিকৃতি, এই অঞ্চলের মানুষ রাজনীতিতে সৎ নেতার উদাহারণ দিতে গিয়ে সবার আগে গোলাম রাব্বানির নামটি উচ্চারণ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি যেমন বিলাস বিমূখ সাদামাটা, তেমনি কর্মী ও জনবান্ধব রাজনৈতিক নেতা হিসেবেও সর্ব মহলে প্রশংসিত। তাঁর কার্যালয় বা বাড়িতে গিয়ে অন্তত্ব এক কাপ চা পান করেননি এলাকায় এরকম একজন মানুষকেও খুঁজে পাওয়া দুঃস্কর। আবার বিভিন্ন আবদার নিয়ে তার কাছে গিয়ে তার আচরণে দুঃখ-কষ্ট পেয়েছেন এমন এক জনকেও খুজে পাওয়া যাবে না। এমনকি বিরোধীমতের রাজনৈতিক দলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকরা ‘রাব্বানি’ ভাই সম্বোধন করে খুব সহজেই তার কাছে গিয়ে যে কোনো সমস্যা তুলে ধরে সহযোগীতা চাইতে পারেন। রাব্বানি এখনও তার নেতৃত্বের গুণে সফল নেতা হিসাবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছে সমান জনপ্রিয়। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো তকেই তাদের প্রতিনিধি মনে করেন এবং তাদের যে কোনো সমস্যায় ছুটে আসেন তাঁর কাছেই। সমস্যার সমাধান পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়, কিšতু রাব্বানি তাদের কথা শুনেন, চেস্টা করে সেটা পুরুণের না পারলেও কখনো কউকে কস্ট দিয়ে কথা বলেন না বরং নিজে না পারলেও পথ দেখিয়ে দেন। রাব্বানি দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড যেখানেই তিনি যান সেখানেই সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশে যান। তিনি তাদেরই প্রতিনিধি হিসাবে শোনেন সুখ-দুঃখ ও বঞ্চনার কথা। রাব্বানির মতে তৃণমুল নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণ। তারা সুবিধা পেতে দৌড়ে যান না বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভরসাও তারাই।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ