ভোলা প্রতিনিধি ॥
ভোলা সদর উপজেলার দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ভুমিদস্যু সেলিমের নেতৃত্বে বিভিন্ন মানুষের জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার বটতলা বাজারের একটি চালকলসহ কয়েকটি ঘর ভেঙ্গে সেখানে ঘর তুলে জমিটি দখল করে সেলিম।
স্থানীয় লোকজন জানান, ক্রয়সুত্রে ওই জমির মালিক সৌদিআরব প্রবাসী আকবর হোসেন। আকবর হোসেন মুঠো ফোনে জানান, ইউপি সদস্য সেলিম তার চাচাতো ভাই। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সেলিম আমার জমি দখল করে নিয়েছেন। ওই এলাকার ২০/২৫ জন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল ১০ টার সময় বটতলা বাজারের উত্তর পুর্ব মাথায় ২৬ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্র দিয়ে চালকলসহ কয়েকটি ঘর ভেঙ্গে নতুন ঘর তুলে। দিঘলদী ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মানুষের জমি দখল করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ওই স্থানে নতুন ঘর তোলা হয়েছে। ভেতরে চালকলের ধ্ববসাবশেষ ও পাকা ভিত্তি পরে রয়েছে। স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন জানান, তিন দক্ষিণ বালিয়া মৌজার ১৪৩৩ নাম্বার দাগের চার শতক জমি আঃ ওয়ারেসের কাছ থেকে কিনে নেন। সেখানে তিনি প্রায় ১৫ বছর আগে চালকল বসান। সম্প্রতি তিনি জমিটি আকবর হোসেনের কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। কিন্তু সোমবার ইউপি সদস্য সেলিম সন্ত্রাসীদের দিয়ে নাজমুল কাজির পক্ষে জমিটি দখল করে নেন। এমনকি সেখানে নতুন ঘর তৈরি করেন।
স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন, সেলিম ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে তাদের মাধমে নানা অপরাধ সংঘটিত করে আসছে। গরু চরি, জমি দখল, টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির ঘর ভাঙ্গা গড়াসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তার নেতৃত্বে বাদশা, ফরিদ, ডাকাত আরিফ, মোশারেফ, মিজান, নজরুল বেপারী ও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মাইন উদ্দিনসহ একটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ দিয়ে সন্ত্রাসী কাজে পরিচালনা করছে। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে। অভিযোগ আছে সেলিমের ছেলে রাকিব পুলিশ সদস্য রাকিব তার পিতার সন্ত্রাসী কাজে প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিত করে থাকে। পুলিশে চাকুরী করলেও রাকিব বেশির ভাগ সময় ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসে মাদক ব্যবসাসহ অপকর্মে জড়িয়ে পরে। এলাকাবসী ভুসিদস্যু ইউপি সদস্য সেলিম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অবিযুক্ত সেলিম জানান, সালিস মিমাংসার মাধ্যমে কেউ কারো কাছ থেকে জমি পাওনা হলে তা বুজিয়ে দিয়ে থাকেন।